আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শেখ হাসিনাই আলেমদের মূল্যায়ন করেন: শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে এদেশের আলেম সমাজ যথাযথ মূল্যায়ন পান। তিনি কওমীয়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে  সাধারণ শিক্ষার সমমর্যাদা দিয়েছেন।

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার ছারছিনা দরবার শরীফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের আলেমদের বিনা টাকায় হজ করার ব্যবস্থা করেছেন শেখ হাসিনা। যা অতীতে কোনো সরকারের সময়ে হয়নি। দেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে ইসলামী শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার কন্যাও দেশের আলেমদের সম্মান দেখান। 

এ সময় ছারছীনা শরীফের পীর শাহ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ বলেছেন, খাঁটি মুসলমান হতে কুরআন ও সুন্নাহর পথে চলার কোনো বিকল্প নাই। ইসলামী আদর্শে জীবন গড়ার লক্ষ্যে ইসলামের সকল হুকুম আহকাম মেনে চলতে হবে। 

দরবারের ১৩৩তম বার্ষিক মাহফিলের আখেরি মোনাজাত পূর্ব বয়ানে এসব কথা বলেন তিনি। 

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়ে আরো বক্তব্য দেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, এসএম শাহজাদা এমপি, মো. মহিবুর রহমান এমপি, অ্যাডভোকেট মো. আফজাল হোসেন এমপি, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মাওলানা আব্দুর রশিদ ও মাওলানা নুরুর রহমান বেগ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মহারাজ, ইউএনও মো.মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার, স্বরূপকাঠি উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল হক, স্বরূপকাঠি পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবির, বানারীপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকসহ বিশিষ্ট ওলামারা। তিন দিনব্যাপী এই মাহফিলে দেশের খ্যাতনামা আলেম ওলামারা ওয়াজ-নসিহত করেন। 


আরও খবর



ভোলায় বিপুল অস্ত্রসহ ৭ সন্ত্রাসী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি

Image

ভোলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মিজানসহ সাতজনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অপারেশন অফিসার) সালাউদ্দিন রশীদ তানভীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক সাতজন হলেন মো. মিজানুর রহমান, মো. মিরাজ হোসেন, আবুল কালাম, রাসেল আহমেদ, মো. মামুন, শামসুদ্দিন রহমান এবং সাইফুল মাহমুদ।

এদের মধ্যে মিজানুর রহমান সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধান। তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে তিনি কল্লাকাটা মিজান নামে পরিচিত।

জানা গেছে, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া এলাকা থেকে অস্ত্রসহ সাতজনকে আটক করা হয়।

কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অপারেশন অফিসার) সালাউদ্দিন রশীদ তানভীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান মিয়াজীর নেতৃত্বে একটি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দল স্থানীয় জনসাধারণকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও জুলুমের মতো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময়ে কোস্ট গার্ডের কাছে সাহয্য চাইলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১১টা থেকে থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলাউদ্দিন মিয়াজির বাড়ি, পালোয়ানের বাড়ি ও মিজি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মিজানুর রহমান মিজান মিয়াজিসহ সাতজনকে ২৫টি দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়। আটক সাতজন ও জব্দকৃত দেশীয় অস্ত্র এবং বিভিন্ন আলামতসহ ভোলা সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কোস্ট গার্ড

আরও খবর



ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরও এক যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মো. শোহান শাহ (২৭) এই যুবক সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইস) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তিনি রাজধানীর রামপুরা এলাকায় একটি গার্মেন্টসের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তাছাড়া তিনি বিএনপির কর্মী ছিলেন বলেও জানা গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার  দিকে তার মৃত্যু হয়।

মৃতের বাবা শাহ সেকেন্দার বলেন, শোহান রামপুরায় একটি গার্মেন্টসের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিল। সে বিএনপির কর্মী ছিল।

গত ১৯ জুলাই বিকেলে রামপুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পিঠের বাম পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হন শোহান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখান থেকে গত শুক্রবার তাকে সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

মৃত্যুর পর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান।

তিনি বলেন, গত ১৯ জুলাই বিকালে রামপুরা সিএনজি পাম্প এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অজ্ঞাতনামা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আগ্নেয় অস্ত্রে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ওই যুবক। সিএমএইচ হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মারা যান।

এসআই শাহজাহান আরও জানান, নিহত যুবক মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চন্ডিখালি গ্রামের কৃষক শাহ সেকেন্দারে ছেলে। রামপুরার ডিআইটি রোড হাজীপাড়ায় স্ত্রীসহ থাকতেন তিনি। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।


আরও খবর



রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যাওয়া যাবে না সেন্টমার্টিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটক সীমিত করার পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন বা অনুমতি ছাড়া কোনো পর্যটক দ্বীপটিতে যেতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে কনসালটেশন শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করে পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সেখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে। কক্সবাজার শহরকে গুরুত্ব দিয়ে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

সাগরকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখতে সকলের সহযোগিতা চেয়ে তিনি আরো বলেন, পাহাড় কাটা ও জলাশয় ভরাটের বিষয়ে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এটার জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে। দেশের নদীগুলোর দূষণ নিয়ে আমরা কাজ করছি। নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ইউনিডোর সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিডোর বাংলাদেশ প্রধান ড. জাকি উজ্জামান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী, বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার এবং সামুদ্রিক লিটার প্রতিরোধের দিকে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সোলেমান হায়দার, পরিচালক (এনভি. ক্লিয়ারেন্স) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম, পরিবেশবাদী সংগঠন ধরার কক্সবাজার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সারোয়ার আলম, ইউএনডিপির হেড অব এক্সপেরিমেন্টেশন রমিজ উদ্দিন, বাপার কক্সবাজার সভাপতি এইচ এম এরশাদ, বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু, ইয়েস কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে রিটের শুনানি পিছিয়ে রোববার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিটের শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন।

এর আগে, গত ২০ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

গত সোমবার (১৯ আগস্ট) ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।

মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন। এই রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

আওয়ামী লীগ ও দুর্নীতিমুক্ত শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের বর্তমান পরিচালনা পরিষদের অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থাপনা আর অর্থ আত্মসাতের যে ধারা চলছে তাতে সেবা নয়, জনসাধারণ পাচ্ছে উল্টো যন্ত্রণা।

দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হওয়া শিশু হাসপাতালকে বাঁচাতে হলে আজীবন সদস্যসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের নেতারা নিজেদেরকে আওয়ামী লীগের বড় নেতা হিসেবে জাহির করে এতদিন ধরে হাসপাতালকে লুটেপুটে খেয়ে শেষ করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও আজীবন সদস্য জাহিদুল হাসান।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠস্থ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে সচেতন আজীবন সদস্যদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড রিচার্স ইনস্টিটিউট পরিচালনায় অনিয়ম দুর্নীতি, জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি, আজীবন সদস্যদের অজান্তে ২৫ কোটি টাকার ব্যাংক লোনের বোঝা, অ্যাম্বুলেন্স সেবায় গাফিলতি,  অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিজেদের লোকদের নিয়োগ, রাউজানে অটিজম সেন্টার প্রবীণ নিবাস স্থাপন, কমিটির নেতাদের ঠিকাদারী ব্যবসা এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে সেবা বঞ্চিত রেখে এ হাসপাতাল পরিচালনা করে একপ্রকার কুক্ষিগত করে রেখেছে হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদ। শুধু তা নয়, হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের নেতারা বর্তমানে হাসপাতালকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছে। খালেদা জিয়া জমি দিয়ে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলেও কোথাও তার নামফলক পর্যন্ত রাখেনি আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করা এসব দায়িত্বশীলরা। আওয়ামী লীগের মতো তাদেরকেও তাড়িয়ে হাসপাতালকে দুর্নীতিমুক্ত করার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা।

হাসপাতালের আজীবন সদস্য হাজী হোসেন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও আজীবন সদস্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আজীবন সদস্য আবুল হোসেন, ফজলুর রহমান স্বপন, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন সর্দার, মোহাম্মদ মুছা, মোরশেদুল আলম, মোহাম্মদ আবদুস সবুর, এস এম ফরিদুল আলম, জহির উদ্দিন, জিয়াউর রহমান কনক, হানিফ সওদাগর, মনিরুজ্জামান টিটু, সাইফুল আলম, এস এম ইসমাইল, মোঃ নাছির, জাহেদ কায়সার, নুরুল আবছার, ওয়াহিদ পারভেজ, শফিউল আলম প্রমূখ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর