আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

সেফটি দিতে না পারলে ফ্লাইওভার-মেট্রোরেলে কোনো লাভ নেই : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এতো ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সেতু, রাস্তা করেছি। এসব যতই করি যদি রোডের সেফটি না থাকে তাহলে জনগণ এসব উন্নয়নের সুফল পাবে না।

বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনের সভাকক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প- সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়ে কথা হয়েছে। সড়কে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে। সেটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব রয়েছে।

প্রকল্প বিষয়ে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা যেভাবে বাড়ছে, নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার মোট ব্যয়ে সরকারি ১ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা ও ঋণ ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় প্রকল্পে ধরা হয়েছে। ৩০ জুন ২০২৮ সালে শেষ হবে প্রকল্পের মেয়াদ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, কল সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, পেট্রোল মোটরসাইকেল, ইন্ট্রিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজম্যান্ট, রেস্কিউ টিম, বিআরটিএ। বাংলাদেশ পুলিশ, তারা প্রকল্পের সহযোগিতায় থাকবে।

নিরাপত্তা প্রকল্পে কী ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা আছে। তারা পুলিশ সেন্টার করবে। অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল সার্ভিস করা হবে। ইমারজেন্সি রেসকিউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য

সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়ে ইরান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে গত ১ এপ্রিল হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে গত শনিবার তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। এরপর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নজর এখন ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতির দিকে।

দুই দেশের মধ্যে যদি আসলেই পূর্ণ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তাহলে কী ঘটবে? আর কে কার থেকে এগিয়ে আছে সামরিক শক্তিতে? এমন প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে।

দুটি দেশই সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। দুটি দেশই বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশের শীর্ষ কুড়িটি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে। তবে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর পরিসংখ্যান বলছে, ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। সামরিক সক্ষমতায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে র‍্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম।

সামরিক শক্তির তুলনা : প্রতিরক্ষা খাতে ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তবে বাৎসরিক সামরিক বাজেটে ইরানের তুলনায় ইসরায়েলের ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৪৪০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ইরানের বাজেট ৯৯৫ কোটি ডলার। প্রতিরক্ষা বাজেটের দিক থেকে র‍্যাংকিংয়ের ১৪৫ দেশের মধ্যে ইরান ৩৩তম অবস্থানে আর ইসরায়েল ১৯তম অবস্থানে রয়েছে।

নিয়মিত সৈন্য : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার জানাচ্ছে, সৈন্য সংখ্যার হিসেবে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের নিয়মিত সেনা আছে ১১ লাখ ৮০ হাজার, ইসরায়েলের সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।

যুদ্ধ বিমান : ইরানের মোট সামরিক বিমানের সংখ্যা ৫৫১টি আর ইসরায়েলের আছে ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ২৩টি, ইসরায়েলের আছে ৩৯টি। ইরানের পরিবহন বিমান আছে ৮৬টি, ইসরায়েলের আছে ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরায়েলের আছে ১৫৫টি।

হেলিকপ্টার : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যান বলছে, ইরানের হেলিকপ্টার আছে ১২৯টি আর ইসরায়েলের ১৪৬টি। ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার নিয়ে ইরানের চেয়ে শক্তিশালী ইসরায়েল। ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি।

ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্য অনুযায়ী, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে আছে ইরান। ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১৩৭০টি আর ইরানের ১৯৯৬টি। সাঁজোয়া যান আছে ইরানের ৬৫ হাজার ৭৬৫টি আর ইসরায়েলের আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি।

এছাড়া আর্টিলারি সক্ষমতায় এগিয়ে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারি এমএলআরএস-এর সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে, ইসরায়েলের এদিক থেকে সেফল প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৬৫০টি এবং এমএলআরএস বা রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ১৫০টি।

নৌ শক্তি : নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকেও এগিয়ে আছে ইরান। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে যেখানে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ আর ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ সংখ্যা ৬৭টি। সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। দেশটির সাবমেরিন আছে ১৯টি, ইসরায়েলের সাবমেরিন আছে ৫টি।

পারমাণবিক শক্তি : সুইডেন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিল না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ইরান দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেনি যে, কোন দেশের হাতে কতটি এ ধরনের অস্ত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র ক্ষমতার বিষয়টি তারা তাদের রিপোর্টে বিবেচনায় নেয়নি।


আরও খবর



ডোমারে রেললাইনে কাটা পড়লো নেশাগ্রস্থ যুবক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে বাড়ির পাশে রেললাইনে বসে মাদক সেবনরত অবস্থায় সাদ্দাম হোসেন(২৩) নামের এক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে।

মরদেহের পাশে পড়ে রয়েছে নেশার সরঞ্জাম সলিউশন আঠাঁর কৌটা। সাদ্দাম ওই এলাকার তেলিপাড়ার মৃত আবু হানিফার ছেলে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ডোমার রেল স্টেশনের তিন কিলোমিটার উত্তরে হাজিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে চিলাহাটি হতে খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনে কাটা পড়ে সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। সে সময় সে রেললাইনে বসে ক্যামিক্যাল আঠা(ডান্ডি) নেশা করেছিল। নেশার কারণে আগে থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো সাদ্দাম।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নিহত সাদ্দাম মানষিক ভারমাস্যহীন ছিল। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



ইসরায়েলজুড়ে ইরানের নজিরবিহীন হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করেছে ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর এই হামলা শুরু করে তেহরান।

ইরানের নজিরবিহীন এই হামলায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। জেরুজালেম ও তেল আবিবসহ পুরো ইসরায়েলজুড়ে বাজছে বিমান হামলার সাইরেন। এমন অবস্থায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বোমা হামলার শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। রোববার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান নজিরবিহীন হামলা চালানো শুরু করেছে এবং তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে শহরগুলোতে বিমান হামলার সাইরেন এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

এদিকে ইরান থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলোকে গুলি করে ধ্বংস করার কাজে ইসরায়েলি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে জর্ডানের বাহিনীও কাজ করছে।

তেহরান বলেছে, তারা সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালিয়েছে। দেশটি আরও বলেছে, বিষয়টি এখন সমাপ্ত বলে মনে করা যেতে পারে

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বোমা শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সতর্কতা জারি করে বলেছে, অধিকৃত গোলান মালভূমি, নেভাটিম, ডিমোনা এবং ইলাতের বাসিন্দাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিরক্ষামূলক স্থানের কাছাকাছি অবস্থান করতে হবে।

নেভাটিম এমন একটি স্থান যেখানে ইসরায়েলি বিমানঘাঁটির অবস্থান রয়েছে। দিমোনার উপকণ্ঠে ইসরায়েলের একটি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে। ইলাত হলো ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় লোহিত সাগর তীরবর্তী বন্দরনগরী। গাজায় চলমান যুদ্ধের সময় ইয়েমেনের হুথিদের বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছে এই শহরটি।

অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করেছেন। আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন হামলার বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে এরদান বলেছেন, ইরানের হামলা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি এবং আমি আশা করি কাউন্সিল ইরানের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সব উপায় ব্যবহার করবে।

এমন অবস্থায় রোববার বিকেলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি মাল্টা বলেছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) রোববার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় একটি জরুরি বৈঠকে বসবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন হামলার বিষয়ে জরুরি বৈঠকের জন্য জাতিসংঘে ইসরায়েলি দূতের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের পরপরই বৈঠকটি ডাকা হয়।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ককে ইরানি কনস্যুলেটে চালানো হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইরান। রোববার রাতে দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন ছুড়তে থাকে ইরানের চৌকস বাহিনী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) সেনারা। এসব ড্রোন একে একে ইসরায়েলের দিকে ছুটে যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী শতাধিক ড্রোন শনাক্ত করেছে। যেগুলোর ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ড্রোনের পর ইরান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলেও জানা গেছে।


আরও খবর



মমেক হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার রাত ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি।

যশোরে মঙ্গলবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। আর চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এতদিন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। মঙ্গলবার তা ভেঙে যায়।

আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। টানা ৩২ দিন ধরে চলা এই দাবদাহ আরো কয়েক দিন কিছু এলাকায় স্থায়ী হলেও বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির আভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বুধবার অধিদপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে অনেক জায়গার তাপমাত্রা কমে আসার সম্ভাবনা আছে৷ ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ, ঢাকা বিভাগ এবং কুমিল্লা অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি শুরু হবে বৃহস্পতিবার৷ তবে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমের জেলাগুলোর তাপমাত্রা শুক্রবার পর্যন্ত আগের মতই থাকবে।

যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী এসব এলাকায় আরও দুয়েকদিন পর বৃষ্টি হবে৷ ৩/৪ তারিখের পর সারাদেশেই বৃষ্টি হবে৷ তবে জলীয়বাষ্পের কারণে অস্বস্তি ভাবটা থেকে যাবে। তারপরও সহনশীলতায় চলে আসবে।

৫/৬ দিনের বৃষ্টিপাতের পর দেশের তাপমাত্রা আবার বাড়তির দিকে যাবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

এর আগে ২০১৪ সালে ৫ থেকে ৩০ এপ্রিল টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০১৬ সালে ৬-৩০ এপ্রিল টানা ২৫ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে ১৩ এপ্রিল থেকে ৫ মে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।


আরও খবর