আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

শীতে মাছের খামারের যত্ন নেবেন যেভাবে

প্রকাশিত:সোমবার ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শীত এলে মাছ চাষিরা খামারের মাছ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন। ঠান্ডায় মাছ খাদ্য গ্রহণ অনেকটা কমিয়ে দেয়। এর প্রভাবে অতিরিক্ত খাদ্য পচে গিয়ে পুকুরে অ্যামোনিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার ফলে পানিতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় এবং সর্বোপরি মাছের মৃত্যু ঘটে। আবদ্ধ পুকুরের ঠান্ডা পানিতে মাছ তাদের চলাচল কমিয়ে দেয়। যার ফলে মাছের মেটাবলিজম কমে যায় এবং ক্ষুধা কমে যায়। অন্যদিকে পানি ঠান্ডা থাকায় বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। দিন ছোট হওয়ায় রোদ অল্প সময় পুকুরের পানিতে পড়ে। ফলে পুকুরের পানির তাপমাত্রা কমে যায়।

সাধারণত তাপমাত্রা ২৮-৩২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হলে মাছের মেটাবলিজম বা পরিপাক ভালো হয়। এর কম হলে পরিপাক ক্রিয়া কমে যাওয়ায় বৃদ্ধির হার কমে যায়। অন্যদিকে সূর্যের আলো কম পাওয়ায় প্রাকৃতিক অক্সিজেন উৎপাদন কমে যায়। ফলে মাছের শ্বাসকার্য চালাতে কষ্ট হয়। মাছ খাবি খেতে শুরু করে। তাই অক্সিজেনের অভাবে মাছের মৃত্যু ঘটে। তাছাড়া পুকুরের পানিতে অবস্থিত ফাইটোপ্লাঙ্কটন তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় পানিতে দ্রবীভূত কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলেও মাছের শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। প্রাকৃতিক খাদ্যকণা যেমন ফাইটোপ্লাংটন বা উদ্ভিদকণা ও জুপ্লাংটন বা প্রাণিকণা কমে যাওয়ায় মাছের খাবার স্বল্পতা দেখা দেয়। ফলে দৈহিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়।

শীতকালে পানির পিএইচ স্বাভাবিক থাকে না। মাছের বৃদ্ধির জন্য স্বাভাবিক পিএইচের মান ৬-৮ এর মধ্যে থাকা উচিত। যদি ৬ এর থেকে কম হয়, তাহলে পানি বেশি অম্লীয় হয়ে যাবে এবং মাছ খাবার খেতে অনীহা দেখাবে। আবার ৮ এর থেকে বেশি হয়ে গেলে পানি ক্ষারীয় হবে এবং অতিরিক্ত ক্ষারত্বের ফলে মাছ মারা যেতে পারে। শীত মৌসুমে মাছে বিভিন্ন ধরনের পরজীবীজনিত, ফাঙ্গালজনিত এবং ব্যাকটেরিয়ালজনিত রোগ দেখা যায়। এসময় সঠিকভাবে মাছের পরিচর্যা না করলে মাছের উঁকুন রোগ, অপুষ্টিজনিত রোগ (চোখ অন্ধ হওয়া, হাড় বাঁকা), ক্ষতরোগ, লেজ ও পাখনা পচা রোগ, ফুলকা পচা রোগ এবং উদর ফোলা রোগে আক্রান্ত হয়ে মাছ মরে যেতে পারে।

শীতকালে মাছের খামারের পরিচর্যা: পুকুরের পাড়ের উঁচু গাছপালা যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে। কৃত্রিম উপায়ে পানিতে অক্সিজেনের বৃদ্ধি ঘটাতে হবে। জাল টেনে, সাঁতার দিয়ে এবং বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে পানিতে অক্সিজেনের বৃদ্ধি ঘটাতে হবে আর বড় পুকুর বা ঘের হলে কৃত্রিম অক্সিজেন ট্যাবলেট যেমন-এসআই অক্সিট্যাব ৪ থেকে ৫ কেজি প্রতি একরে সন্ধ্যায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর পুকুরে জাল টানলে স্বাস্থ্য, মাছের সংখ্যা ও ওজন সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে। এছাড়া জাল টানার ফলে পুকুরের তলদেশের বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাস বের হয়ে যাবে।

ক্ষতিকর গ্যাস অ্যামোনিয়ার প্রভাবে মাছ মারা গেলে প্রয়োজনে এসআই এমোফ্রি-এল অথবা এসআই এমোফ্রি-পি প্রতি শতাংশে ৫ মিলিলিটারের সাথে ২০ মিলিলিটার করে চিটাগুর প্রয়োগ করতে হবে। অতিরিক্ত শ্যাওলা, ময়লা-আবর্জনা, কচুরিপানা, আগাছাসহ সব ক্ষতিকর জলজ উদ্ভিদ পরিষ্কার করতে হবে। পুকুরের পানির পিএইচ ৬-৮ এর মধ্যে রাখতে শীতের শুরুতে ১৫ থেকে ২০ দিন বা একমাস অন্তর অন্তর পুকুরে প্রতি একরে ৬-৭ কেজি এসআই বায়োজিও প্লাস প্রয়োগ করতে হবে।

পিএইচের মান অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে প্রতি একরে ২ লিটার ভিনেগার বা এসিডিন নামের এসিডিফায়ার প্রয়োগ করতে হবে। পিএইচ একেবারে কমে গেলে এসআই রয়েল জিও প্রতি একরে ১৫-২০ কেজি প্রয়োগ করতে হবে। পুকুরে উদ্ভিদকণা বৃদ্ধির জন্য অজৈব সার বিশেষ করে ইউরিয়া (বিঘা প্রতি মাসে ৪-৫ কেজি) ও ট্রিপল সুপার ফসফেট (বিঘা প্রতি মাসে ৫-৬ কেজি) ৩ দিন ভিজিয়ে রেখে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও এসআই ফাইটোগ্রো প্রতি একরে ৩-৪ লিটার কড়া রোদের সময় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

শীতের সময় মাছের সুষম বৃদ্ধি বজায় রাখতে মূল খাবারের মাছের হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে উৎকৃষ্টমানের উৎসেচক বা এনজাইম সমৃদ্ধ গ্রোথ প্রমোটর যেমন-এসআই গ্রোফিস প্রয়োগ করা উচিত। এতে মাছের খাবারের চাহিদা বাড়বে। তার সাথে অবশ্যই ভালোমানের ইমিউনোমডুলেটর জেলি যেমন-এসআই রয়েল জেল প্রতিকেজি খাদ্যের সাথে ১০ মিলিলিটার করে মিশিয়ে ১৫-২০ দিন টানা খাওয়াতে হবে। শীতে সাধারণত পুকুরের পানি কমে যায়। তাই প্রয়োজনমতো পানি সরবরাহ করতে হবে। মাছের ঘনত্ব স্বাভাবিক বা কম রাখতে হবে।

পুকুরের পানি বেশি দূষিত হলে পানি পরিবর্তন করতে হবে। প্রয়োজনে পানি দূষণ রোধে ভালো মানের দানাদার সয়েল পোবায়োটিক যেমন-এসআই প্রোক্লিন ৬-৮ গ্রাম করে সরাসরি পানিতে ছিটিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে ভালো মানের জীবাণুনাশক (এসআই ক্লোর-টি) ১টি করে ট্যাবলেট প্রতি শতাংশে এবং কপার সালফেট পেন্টাহাইড্রেট-১০% (এসআই ফাইটোক্লিন) ৩০ মিলিলিটার করে প্রতি শতাংশে প্রয়োগ করতে হবে। শীতের পুরো সময়ে পানির গুণগত মান ধরে রাখতে ১৫ দিন পরপর প্রতি একর পানিতে একটি উৎকৃষ্ট মানের ওয়াটার প্রোবায়োটিক যেমন-এসআই রয়েল প্রো ৫০০ গ্রামের সাথে ২ কেজি লাল চিনি পরিষ্কার পানির সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।


আরও খবর



কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর গত বৃহস্পতিবার উদযাপিত হয়েছে। এখন অপেক্ষা ঈদুল আজহার। তবে আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদদের হিসেব অনুযায়ী আগামী ১৬ জুন (রোববার) আরাফার দিন শুরু হবে। সে অনুযায়ী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।

ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী, মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কুরবানি করার নির্দেশ দেন। এই আদেশ অনুযায়ী হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তার সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

এরপর আল্লাহ তায়ালা তাকে পুত্র ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কুরবানির নির্দেশ দেন। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহার উপলক্ষে মুসলিম দেশগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৬ জুন বিকাল থেকে কুরবানির কার্যক্রম শুরু হয়ে ২০ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে শেষ হবে। 

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন মুসল্লিরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু করুবানি দিয়ে থাকেন। এদিন আত্মীয়স্বজন ও গরীব দুঃখিদের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ করা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহায় আর্থিক সামর্থবান মুসল্লিরা মক্কায় হজ পালন করেন। এদিন তারা পবিত্র হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। 


আরও খবর
শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাস চাপায় শ্যালক–দুলাভাই নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাস চাপায় ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। গতকাল মঙ্গলবার রাতে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা বটতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার হাইওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতরা হলেনউজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের হাবুল সরদারের ছেলে উজ্জ্বল সরদার (২৭) ও তাঁর শ্যালক বাকেরগঞ্জ উপজেলার গুয়াখোলা এলাকার জালাল হাওলাদারের ছেলে দিন ইসলাম (১৮)।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো গোলাম রসুল মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী চেয়ারম্যান পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস রাত সাড়ে ৯টার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত পৌনে ১১টার দিকে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা উজিরপুরগামী একটি মোটরসাইকেল চাপা দেন।

এতে ঘটনাস্থলেই উজ্জ্বল সরদার ও তাঁর শ্যালক দিন ইসলাম নিহত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। ঈদের ছুটিতে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

চেয়ারম্যান পরিবহন বাসটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া করে গৌরনদীর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বাসটি জব্দ করে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আজ বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

 


আরও খবর



গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’: হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলি অবরোধের কারণে ত্রাণবাহিনী ট্রাকের প্রবেশে বাধা ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলে আরও সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকি রয়েছে। উত্তর গাজায় এর ঝুঁকি ও উপস্থিতি উভয়ই রয়েছে। সম্ভবত অন্তত কিছু অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ রয়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। যদিও গাজায় দুর্ভিক্ষ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছে ইউএসএআইডি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়ের গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে মার্কিন মূল্যায়নের ওপর ব্রিফিং করেছেন। এর আগে ইউএসএআইডি প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে বলে মূল্যায়ন করাটা বিশ্বাসযোগ্য

জ্যঁ-পিয়েরে পাওয়ারের মন্তব্য সরাসরি সম্বোধন করেননি। কিন্তু তিনি বারবার বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি আসন্ন। তার এই বক্তব্য পাওয়ারের মূল্যায়নকে লঘু করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, আমরা গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় সাহায্য বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

তিনি বলেছেন, আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই ধরনের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গাজায় সেই সাহায্য আরও বেশি বেশি করে পাঠাতে আমরা চব্বিশ ঘণ্টা, চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করে যাচ্ছি। গাজায় সাহায্যের প্রবাহ আরও বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকবে

এদিকে গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার (১০ এপ্রিল) আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।


আরও খবর



টাইমস হায়ার র‌্যাংকিং

এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টাইমস হায়ার এডুকেশন এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এ এশিয়ার সেরা ৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম আসেনি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। গতবার এশিয়ার সেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৬ তম এবং ১৯২তম স্থান অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

তালিকায় ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। অন্যদিকে, গতবার তালিকায় ১৮৬তম স্থানে অবস্থান করে দেশসেরা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এরপর ১৯২তম স্থান অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

কিন্তু এবার তাদের র‍্যাঙ্কিংয়ে পতন হয়েছে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। এশিয়ার ৩১টি দেশের মোট ৭৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবারের র‍্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চতুর্থ বারের মতো শীর্ষে আছে চীনের সিংহুয়া এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা দশের মধ্যে চীনের ৫টি, হংকং ও সিঙ্গাপুরের ২টি করে এবং জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

এবার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। যা গতবার ছিল ১৫টি। ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরপর ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তাছাড়া তালিকায় আরও ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হলেও তাদের র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ; ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।


আরও খবর



গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এরআগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে।

এর আগে গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।


আরও খবর