আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শীতে হাত-পা গরম রাখার সহজ উপায়

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ নভেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শীত কালে লেপ-কম্বলের উষ্ণতা ছেড়ে উঠতে মন চায় না সহজে। সবকিছুতে অলসতা এসে ভর করে যেন এই সময়।এদিকে দীর্ঘ সময় লেপ-কম্বল মুড়িয়ে থাকার পরেও হাত-পা গরম হতে চায় না অনেকের। সব সময় গ্লাভস-মোজা পরে থাকাও নিশ্চয়ই সম্ভব নয়। তবে গ্লাভস কিংবা মোজা না পরেও হাত-পা গরম রাখার আছে কিছু উপায়।

যে কারণে হাত-পা ঠান্ডা হয়:

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা হয়ে যায় হাতের তালু। শুধু শীতে নয়, সারা বছরই এই সমস্যা ভোগ করতে হয় রোগীকে। এক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে লোহা সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা হয় হাত-পা। যাদের রক্ত সঞ্চালন কম হয়, শীতে তাদেরই দ্রুত হাত ও পায়ের তালু ঠান্ডা হয়ে যায়।

শরীরে ভিটামিন বি-১২-এর মাত্রা কম থাকলে ঠান্ডা লাগে বেশি। এক্ষেত্রেও সারা বছর হাতের তালু ঠান্ডা থাকে। সমাধান পেতে দুধ, মাছ, মাংস, ডিম জাতীয় খাবার রাখুন পাতে। ধূমপান করলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন প্রভাবিত হয়। তাই ঠান্ডাও লাগে বেশি। ধূমপান শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর এ কথা সবারই জানা। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

হাত-পা গরম রাখবেন যেভাবে :

প্রতিদিন সময় করে শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। এটি সকালবেলা হলে ভালো হয়। এতে হৃদযন্ত্র ভালো থাকবে। সেইসঙ্গে রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হবে। ফলে ঠান্ডা কম লাগবে। হাতে বেশি ঠান্ডা লাগলে আঙুলগুলো ফাঁকা না করে জোড়া রাখার চেষ্টা করুন। এতে অনেকটা আরাম পাবেন। সুযোগ পেলে হালকা গরম পানিতে হাত-পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর পুরো শুকিয়ে নিন।

শীতে চা, স্যুপ ইত্যাদি জাতীয় খাবার একটু বেশিই খাওয়া খান। এগুলো আপনার শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সম্ভব হলে চায়ের মগ হাতে ধরে থাকুন কিছুক্ষণ। গরম অনুভূত হবে। জ্যাকেটের পকেট বা শালের নিচে দুহাত ঢুকিয়ে রাখুন। হাত গরম থাকবে। সম্ভব হলে পায়ে মোজা পরে থাকুন।

নিউজ ট্যাগ: শীত

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ফের জিআই পণ্যের তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

দেশে ও বিদেশে কতগুলো পণ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে তার তালিকা ফের চাইলেন হাইকোর্ট। অবকাশকালীন ছুটি শেষে আদালত খোলার দিনই এই তালিকা দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড ছাড়া অন্য কেউ তালিকা দাখিল না করায় ওই আদেশ দেন আদালত।

শুনানির সময় বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড হাইকোর্টকে জানায়, বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকা মসলিন শাড়ি অন্তর্ভুক্ত করা আছে। আরও নতুন ৭টি পণ্য জিআই তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আজকের মধ্যে এ তালিকা করে হাইকোর্টকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন তিনি।

সম্প্রতি কয়েকশ বছরের পুরোনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে আরও দুটি পণ্য।

কোনো পণ্যের জন্য আবেদন করার অর্থ এই নয় যে, সেগুলো জিআই সনদ পাওয়ার মতো যোগ্য বা পাবেই। নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হয় কোন পণ্য এই তালিকায় উঠবে। যাচাই-বাছাইয়ের পর এগুলোর কোনোটি যদি জিআই সনদ পেয়ে যায়, তাহলে তখন সেগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করবে।

নিউজ ট্যাগ: জিআই সনদ আদালত

আরও খবর



নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প ব্যবস্থা নেই: কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে আরেকটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা আরাম আয়েশ করে সময় কাটাচ্ছেন। কর্মীদের আশা দিয়ে মাঠে নামিয়েছিল, সেই কর্মীরা এখন হতাশ। বিএনপিকর্মীরা নেতাদের ডাকে আন্দোলন করবে সেই অবস্থা নেই। এক কথায় বলব, বিএনপি এখন আন্দোলন করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে।

তিনি বলেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই, জনগণের আন্দোলনে নেই, জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। তার সততা, নেতৃত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। ৭৫ এর পর দেশে সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ একজন নেতাও জন্ম হয়নি। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিব্রতকর কোনো বক্তব্য যে-ই দেবেন দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলা সমীচীন। সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন বক্তব্য থেকে আমাদের সব দায়িত্বশীলদের বিরত থাকা উচিত।

এ সময়  উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেক, তবুও নেই ক্রেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি থাকলেও প্রশাসন কোনো অভিযানে নামেনি। এ ছাড়া আমদানিকারকরা বিকল্প উৎস থেকেও পেঁয়াজ আনেনি। এর পরও পেঁয়াজের কেজি অর্ধেকে নেমে এখন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। তবুও ক্রেতা নেই।

এদিকে ঢাকার খুচরা বাজারেও সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। পাইকারি বাজারে গতকাল এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি।

ঢাকার পাইকারি কারওয়ান বাজারের আড়তদার জালাল বলেন, পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। আজ (মঙ্গলবার) আমরা পাইকারিতে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি।

হঠাৎ করে দাম কমার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, রোজার আগে থেকে অনেক আড়তদার পণ্যটি মজুদ করেছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন ব্যবসায়ীরাই। এখন আমদানির খবর পেয়ে তারাই অতিরিক্ত লোকসানের ভয়ে কম দামে পণ্যটি ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা দাবি করেছেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। এটি মজুদ করা সম্ভব নয়। এখন দেশি পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ হওয়ায় দাম কমছে।

গত ৭ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণার পর অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার। রাতারাতি খাতুনগঞ্জেই কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ২০০ টাকায়। পুরোনো এলসির প্রায় পাঁচ হাজার টন পেঁয়াজ আসায় গত ২২ ডিসেম্বর খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা।

এরপর ভারত থেকে বৈধ পথে আর কোনো পেঁয়াজ দেশে আসেনি। এখন আড়তগুলোতে যেসব ভারতীয় পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে সবটাই চোরাইপথে আসা।

চলতি বছরের শুরুতে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকা পর্যন্ত। এরপর দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলে ১০০ টাকার নিচে চলে আসে পেঁয়াজের কেজি। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মার্চের ১৫ তারিখ থেকে ক্রমাগত এক-দুই টাকা করে কমতে থাকে দাম। সর্বোচ্চ গত সোমবার দাম নেমে আসে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

মঙ্গলবার সকালে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ আড়ত দেশি পেঁয়াজে ভর্তি। কিছু ভারতীয় পেঁয়াজও আছে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলম অ্যান্ড সন্সের কর্ণধার কবির হোসেন চৌধুরী বলেন, কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজের বাজার উঠানামা করছে। গত সোমবার হঠাৎ দাম অর্ধেক হয়ে যায়। তখন দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। আজকে (মঙ্গলবার) আবার বেড়ে গেছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। এখন পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে দামও অর্ধেক কমেছে। তবে ক্রেতা নেই।

এদিকে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৬০ টাকা। ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ভ্যানগাড়ির পেঁয়াজ বিক্রেতা আবদুর রহিম জানান, দেশি পেঁয়াজ ছোটগুলো ৫০ টাকা আর আকারে বড়গুলো ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

দাম কমে আসার কারণ হিসেবে খাতুনগঞ্জের একাধিক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, অনেক আড়তদার আছেন; যারা কৃষকের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে মজুদ করেছিলেন। তারা যখন দেখতেছেন এপ্রিলেই দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ চলে আসবে, তখন অতিরিক্ত লোকসান হবে। সেই ভয়ে সংগ্রহে থাকা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। ফলে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য বাজারে থাকায় দাম কমছে।

তবে মজুদ করার বিষয়টি মানতে নারাজ খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পেঁয়াজের আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস। তিনি বলেন, এখন কৃষকরা নতুন পেঁয়াজ বিক্রির জন্য তুলতে শুরু করেছেন। ক্ষেত থেকে টন টন পেঁয়াজ আসছে আড়তে। আড়তগুলোতে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ বেশি। তাই দাম কমছে। এটি পচনশীল পণ্য। আড়তদারদের মজুদ করার সুযোগ নেই।


আরও খবর



মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মানিকগঞ্জে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজম আলী বেপারী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর মকিমপুর গ্রামের মো. সোহাগ, একই গ্রামের হাবিয়া বেগম, শাহিনুর ইসলাম ওরফে নেরন, নাধন ও মত্ত ঢাকুয়াপাড়া গ্রামের মো. আলমগীর। এদিকে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মো. খলিল, আলী আকবর ও টুটুল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাত ১০টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি সোহাগ কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ৪ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে মাজমের লাশ সোহাগের চৌচালা টিনের ঘরের উত্তর-পশ্চিম পাশে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেলেকা বেগম ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৯ জুন মানিকগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন ওসি মো. আমিনুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে এই রায় দেন। হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় সন্তোষ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার।

তবে রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা, খলিলুর রহমান খলিল ও মো. শাহজাহান। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।


আরও খবর



অবন্তিকার আত্মহত্যা: দ্বীন ইসলামের জামিন আবেদন বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার আসামি সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবেদন বাতিল করেছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুনানি শেষে কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিকী জামিন আবেদন বাতিল করেন। অবন্তিকার আইনজীবী সৈয়দ নুরুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) একদিনের রিমান্ড শেষে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে কারাগারে পাঠান আদালত।

গত শুক্রবার রাতে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।

পরদিন শনিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর শনিবার রাতে রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আটক করে ডিএমপি পুলিশ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী অফলাইনে ও অনলাইনে অবন্তিকাকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অবন্তিকাকেই নানাভাবে অপমান করে আসছিলেন।

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা নামের ওই ছাত্রী জবির আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী। অবন্তিকা কুমিল্লা নগরের শাসনগাছা এলাকার প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার বাবা কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার মা তাহমিনা শবনম কুমিল্লা পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।


আরও খবর