আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শীতে চর কুকরি মুকরি ভ্রমণে যা যা দেখবেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং ও লঞ্চ ভ্রমণ যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য সেরা গন্তব্য হতে পারে চর কুকরি মুকরি। দেশের জনপ্রিয় এক ক্যাম্পিং সাইট এটি। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরি মুকরি ভ্রমণের সেরা সময় হয় শীতকাল। এ সময় চর কুকরি মুকরির আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আবার ক্যাম্পিং করার জন্যও শীতকালই সেরা। কারণ বর্ষায় চরের বেশিরভাগই ডুবন্ত থাকে। এ কারণে শীত বাদে অন্যান্য সময় চর কুকরি মুকরি ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো। চর কুকরি মুকরি ভ্রমণের আদর্শ সময় হলো জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস।

সেখানে গিয়ে যা যা দেখবেন: জানা যায়, চর কুকরি মুকরি ১৯১২ সালের দিকের জেগে ওঠে। কথিত আছে, একসময় চর কুকরি মুকরিতে শুধু কুকুর আর ইঁদুরের বাস ছিল। স্থানীয়দের কাছে যা মেকুর নামে পরিচিত। এ কারণেই চরের নামকরণ করা হয় কুকরি মুকরি। ১৯৮৯ সালের ১৪ মে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার একর জমিতে সংরক্ষিত শ্বাসমূলীয় ম্যানগ্রোভ জাতীয় বৃক্ষের বনায়ন শুরু হয়। চর কুকরি মুকরির বনভূমিতে স্থান পেয়েছে সুন্দরী, গেওয়া, পশুর, কেওড়া, নারিকেল, বাঁশ ও বেত। বর্তমানে কুকুরি মুকুরি চরে বনভূমির পরিমাণ ৮ হাজার ৫৬৫ হেক্টর, যার মধ্যে ২১৭ হেক্টর জমি বন্য প্রাণীর অভয়াশ্রম। বসতি ও কৃষি আবাদর জন্য প্রায় ৪ হাজার ৮১০ হেক্টর জমি রয়েছে। মাছ ধরা ও কৃষিকাজ চর কুকরি মুকরিতে বসবাসকারী মানুষের প্রধান পেশা।

ম্যানগ্রোভ বন মারিয়েই পৌঁছাতে হয় চর কুকরি মুকরিতে। এ যাত্রায় পথ চলার সঙ্গী হিসেবে স্থানীয় ছোট শিশুদের নিতে পারেন। ১০-২০ টাকার বিনিময় নারকেল বাগান পর্যন্ত পথ চিনিয়ে দেবে তারা। ম্যানগ্রোভ বন পেরিয়েই ঘাট, ছোট্ট একটি খেয়া পার হলেই নারকেল বাগান ক্যাম্পিং সাইট। কয়েক ফিটের খেয়া পার হতে জনপ্রতি ১০ টাকা করে দাবি করে যদিও। সেখান থেকে তারুয়া যেতে চাইলে ট্রলার পাবেন। রিজার্ভ ট্রলার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন সময় করে ভার্জিন বিচ খ্যাত তারুয়া থেকে। যারা চর কুকরি মুকরিতে পেছনে বিস্তার বন, আর সামনে অকূল দরিয়া। আর এর মাঝেই ছায়া ঘেরা, বৃক্ষরাজির নিচে যারা ক্যাম্পিং করতে চান তারা টাঙাতে পারেন টেন্ট।

বণ্যপাণীদের অভয়ারণ্য হলো এই চর। সেখানে যেসব প্রাণী দেখা যায় তার মধ্যে আছে চিত্রা হরিণ, বানর, উদবিড়াল, শিয়াল, বন্য মহিষ-গরু, বন-বিড়াল, বন মোরগ, প্রভৃতি। আর পাখি ও সরিসৃপ হিসেবে এই বনের অধিবাসীদের মধ্যে আছে বিভিন্ন প্রজাতির বক, বন মোরগ, শঙ্খচিল, মথুরা, কাঠময়ূর, কোয়েল, গুইসাঁপ, বেজি, কচ্ছপ, কুকুরি বনের ও নানা ধরনের সাপ। এই চরে শীতকালের চিত্র ভিন্ন ধরনের। সূদুর সাইরেরিয়া থেকে ছুটে আসা অতিথি পাখিদের আগমনে চরাঞ্চলগুলো যেন নতুন রূপ ধারণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীত মৌসুমে বাংলাদেশে প্রায় ৬৫০ প্রজাতির অতিথি পাখি আসে। এর মধ্যে সিংহভাগই ভোলায় অবস্থান করে। তখন স্বপ্নের দ্বীপ কুকরিমুকরি এর চর অতিথি পাখিদের অভয়ারন্যে পরিণত হয়।

কীভাবে যাবেন চর কুকরি মুকরি: ঢাকা থেকে চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট পর্যন্ত লঞ্চ রুটে যাওয়া ও আসার ভাড়া কিন্তু ভিন্ন। যাওয়ার সময় ডেক ভাড়া ৪০০ হলেও ফেরার সময় ৩০০ টাকা। সিঙ্গেল কেবিন ১২০০ ও ডাবল কেবিন ২৪০০ টাকা। বেতুয়া ঘাটে নেমে চর কুকরি মুকরিতে যাওয়ার দুই উপায়। প্রথমটি হলো, অটো নিয়ে চলে যেতে হবে চরফ্যাশন বাস টার্মিনালে। ভাড়া জনপ্রতি ৩০-৪০ টাকা। সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিট। চরফ্যাশন থেকে আপনি চর কচ্ছপিয়া যাওয়ার জন্য পাবেন দক্ষিণ আইচার বাস। ভাড়া জন প্রতি ৪০ টাকা। সময় লাগবে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। বাস থেকে নেমে আবার অটো বা রিকশায় জনপ্রতি ১৫ টাকা ভাড়ায় কচ্ছপিয়া ঘাটে পৌঁছে যাবেন।

চর কচ্ছপিয়া থেকে চর কুকরি মুকরি যাওয়ার উপায় মূলত দুটি। জনপ্রতি ৫০-৬০ টাকা ভাড়ায় ট্রলারে যেতে পারেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা ও দুপুর ১২টায় লোকাল ট্রলার চর কুকরি-মুকরির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রলার ছাড়ায় যেতে পারেন স্পিড বোটে ভাড়া জন প্রতি ১৫০ টাকা। যদি দল যদি ভারি হয় আর দামাদামিতে পররদর্শী হলে আরও কমেও যেতে পারবেন। দুই পাশের ম্যানগ্রোভ বন কাটিয়ে যখন আপনি ছুটে চলবেন, তখন উপভোগ করবেন স্বর্গসুখ! ট্রলারে ১ ঘণ্টার বেশি সময় লাগলেও স্পিড বোটে এই জার্নি মাত্র ১৫ মিনিটের। লঞ্চ ঘাট থেকে ক্যাম্পিং সাইট নারকেল বাগান যেতে পারবেন দুই উপায়। মোটরসাইকেল অথবা অটোতে। মোটরসাইকেলে জনপ্রতি ভাড়া ৫০ টাকা আর অটোতে ২০-২৫ টাকা। যান চলার পথ শেষ হলেই শুরু পায়ে হাঁটার পথ।

কোথায় থাকবেন: চর কুকরি মুকরিতে ক্যাম্পিং না করেও রাত কাটাতে পারবেন। চরফ্যাশনের এমপি জনাব জ্যাকব সরকারি অর্থায়নে রেষ্ট হাউজ করেছেন। যায় প্রতিটি রুমের ভাড়া ২০০০ টাকা ও ৫০০০ টাকা। এছাড়া খুব স্বল্প মূল্যে রাত কাটাতে পারেন হোম স্টে গুলোতে। তবে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে টেন্টে ক্যাম্পিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো তাই সে বিষয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।

চর কুকরি মুকরি ভ্রমণে সতর্কতা: চর এলাকা হওয়ায় সেখানে গাড়ির কোনো ব্যবস্থা নেই। যাদের হাঁটার অভ্যাস নেই তারা এই চরে যাবেন না। হরিণ শিকার থেকে বিরত থাকুন এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। স্থানীয়দের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। সেখানে বিদ্যুতের কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখুন। নদীতে সাঁতার কাটার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন। গ্রামীণ ও টেলিটকের নেটওয়ার্ক ভালো, এই সিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

নিউজ ট্যাগ: চর কুকরি মুকরি

আরও খবর



মার্চে দেশে ৫৩ নারীর আত্মহত্যা, সীমান্তে হত্যা ৪

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত মার্চ মাসে সারাদেশে ৫৩ নারী আত্মহত্যা করেছেন। পাশাপাশি ২৪৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্চ মাসে ৩৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ৯টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনা একটি ও ১৪টি ধর্ষণচেষ্টা হয়েছে।

দেশে উল্লেখযোগ্য হারে অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাও বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে গত মার্চ মাসে ৪২ অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ৩৪টি অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃতদেহগুলোর অধিকাংশই ডোবা খাল, নদীতে ভাসমান, বস্তাবন্দি, মহাসড়কের পাশে, ব্রিজ ও রেললাইনের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এমএসএফের হিসেব অনুযায়ী, মার্চ মাসে কারা হেফাজতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গণপিটুনিতে ৯ জন এবং সীমান্তে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ মাসে ২১টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৯৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৪০ জন সাংবাদিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে একটি।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব, নিহত ১০

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ জেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ১০ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩৩ জন আহত হয়েছেন এবং দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি।

রোববার (৭ এপ্রিল) দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে এ তাণ্ডবলীলা ঘটে। ভোলার মনপুরা ও লালমোহন, পিরোজপুর, বাউফল, বাগেরহাট ও ঝালকাঠিতে এ ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।

পিরোজপুর: পিরোজপুরে সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এ ঝড়ে গাছচাপায় এক নারী ও ঝড়ে উড়ে গিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। জেলার ওপর দিয়ে ১৫ মিনিট ঝড়ো গতিতে বাতাস বয়ে যায়। এতে পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শত শত গাছ উপরে পড়ে কয়েকশত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পৌরসভার প্রায় সব সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 

ভোলা: ভোলার মনপুরা ও লালমোহনে দুপুরের দিকে আকস্মিক ঝড় শুরু হয়। এতে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় নিজ ঘরে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বজ্রপাতেও একজন মারা গেছেন। মনপুরার দুপুর ১২টা দিকে হওয় ঝড়ের তাণ্ডবে দাসের এলাকায় ছয় জেলেসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। যাত্রীদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ট্রলারটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

বাউফল: বাউফলে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া ৩৫ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে দুইজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। এদিকে বাউফলে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতসহ ঝড় হয়েছে। এতে তেতুলিয়া নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

বাগেরহাট: বাগেরহাটে ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ ও বিলবোর্ড পড়ে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সকাল ৯টা ৪০ থেকে ১০ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলা ঝড়ে অন্তত দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির দুই উপজেলায় ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার শেখেরহাট, পোনাবালিয়া ইউনিয়ন এবং কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

নিউজ ট্যাগ: কালবৈশাখী ঝড়

আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




জিম্মি নাবিকদের ছাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও তার ২৩ জিম্মি নাবিককে ছাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ তথ্য জানান তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে নিরাপদে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টা চলছে। তবে সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকেও সতর্কভাবে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, এখন থেকে দুবাই ছাড়াও আরব আমিরাতের অন্য শহরেও জনশক্তি রপ্তানি করতে পারবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, প্রতিবছর রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ কমছে। এতে সবকিছুর ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জান্তা সদস্যদের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রায় ২০০ মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তাদের ফেরানোর জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি জাহাজটি গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।


আরও খবর



হাইতিতে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী কনটেইনার লুট

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতিতে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের একটি ত্রাণবাহী কনটেইনার লুট করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। শনিবার (১৬ মার্চ) সংস্থাটি জানায়, হাইতির প্রধান বন্দর থেকে ওই কনটেইনার লুট করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

হাইতিতে অনেকদিন ধরেই রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা চলছে। যার সমাধান না হওয়ায় এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতিতে। সশস্ত্র বিভিন্ন গ্যাং বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকে বলা হয়, এসব গ্যাং গণহারে হত্যা, অপহরণ ও ধর্ষণ করছে।

লুট হওয়া কনটেইনারে মাতৃত্ব, নবজাতক ও শিশুদের প্রাণ রক্ষার জন্য জরুরি’ পণ্য ছিল। ইউনিসেফ জানায়, পোর্ট-অ-প্রিন্স বন্দরে তাদের ত্রাণের ১৭টি কনটেইনার এসেছে। সেগুলো থেকে একটি লুট হয়েছে।

ইউনিসেফের হাইতি প্রতিনিধি ব্রুনো মায়েস এক বিবৃতিতে বলেছেন, শিশুদের জীবন রক্ষার জন্য জরুরি ত্রাণ সরবরাহ লুটপাট অবশ্যই দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাইতির বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে নানা সশস্ত্র গ্যাং। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, এক কোটি ১০ লাখ মানুষের এই দেশে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন মাত্র নয় হাজার। রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স এর রাস্তায় পোড়া বাস এবং ব্যারিকেডের সংখ্যা বেড়েছে। সহিংসতা এড়াতে বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।


আরও খবর
তানজানিয়ায় বন্যা: নিহত ৫৮

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




২০ বছর আগেই শনাক্ত করা যাবে ক্যান্সারের লক্ষণ: গবেষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপসর্গ নিয়ে জেঁকে বসার ১০ থেকে ২০ বছর আগেই ক্যানসারের লক্ষণ শনাক্ত করা যাবে।  যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন সুখবর দিয়েছেন।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট গবেষকদের দাবি, তাদের পরীক্ষার মাধ্যমে কোষের প্রাথমিক পর্যায়ের অতি ক্ষুদ্র পরিবর্তন শনাক্ত করা যাবে। কোনো কোষ টিউমার হয়ে আত্মপ্রকাশ করার ১০ থেকে ২০ বছর আগেই চিহ্নিত করা যাবে। ফলে কোষটি যাতে টিউমারে রূপান্তরিত না হয় বা ক্যানসার না ছড়ায়, সেজন্য চিকিৎসার অনেক সময় পাবেন ডাক্তাররা।

ক্যামব্রিজের আর্লি ক্যানসার ইনস্টিটিউট এ গবেষণা করেছে। নতুন এ ইনস্টিটিউটটি এখন পর্যন্ত মাত্র ১১ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা পেয়েছে। তাও পেয়েছে সম্প্রতি। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি এ অর্থ দান করেছেন।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক রেবেকা ফিটজেরাল্ড বলেন, বছরের পর বছর ধরে ক্যানসারের জীবাণু দেহে বাসা বেঁধে একপর্যায়ে পৌঁছে আত্মপ্রকাশ করে। যখন টিউমার আকারে প্রকাশ পায় ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসা অনেক জটিল হয়ে পড়ে। তাই ক্যানসার শনাক্ত করতে আমাদের পরীক্ষা-পদ্ধতিটাই আমূল বদলে ফেলতে হবে। এমন পরীক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে যা ক্যানসার জীবাণু সুপ্ত পর্যায়ে থাকতেই শনাক্ত করতে পারবে।

ফিটজেরাল্ড ও তার দল নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা চালানোর জন্য সাইটোস্পঞ্জ’ উদ্ভাবন করেছেন। পরীক্ষার অংশ হিসেবে স্পঞ্জটি বড়ির মতো গিলে ফেলতে হয়। পেটে একটি স্পঞ্জের মতো প্রসারিত হয়। তার এটি এটি খাদ্যনালি থেকে পথিমধ্যে থাকা কোষগুলো সংগ্রহ করে। এমন সব কোষকে সংগ্রহ করে যেগুলোতে টিএফএফ৩ নামক প্রোটিন থাকে। টিএফএফ৩ এমন একটি প্রোটিন যা কেবল ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব অবস্থায় রয়েছে এমন কোষে পাওয়া যায়।

আর্লি ক্যানসার ইনস্টিটিউট ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য যেসব পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু করেছে সেগুলোর মধ্যে আরেকটি হলো রক্ত পরীক্ষা।

ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতা জেমি ব্লান্ডেল এ বিষয়ে বলেন, এ পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে তারা গর্ভাশয় ক্যানসার পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া প্রায় দুই লাখ রক্ত নমুনা ব্যবহার করতে পেরেছেন। এখানে ১০ থেকে ২০ বছর আগে জমা দেওয়া হয়েছে এমন নমুনাও রয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষা করে যাদের পরবর্তীতে ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে এবং যাদের হয়নি তাদের আলাদা করা হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের পরবর্তীতে লিউকেমিয়া হয়েছে তাদের রক্তের জেনেটিক পরিবর্তন সুস্পষ্ট।

হারবীর দেব নামের গবেষক দলের আরেক নেতা পুরুষদের প্রোস্টেট বা মূত্রথলির ক্যানসার পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া নমুনা পরীক্ষা করে বিশেষ সাফল্য পেয়েছেন। এ পরীক্ষার নাম বায়োমার্কার।


আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪