সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের পর অঞ্চলটির শিশু ও গর্ভবতী নারীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কার প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কোন রাসায়নিক কার্যক্রম পরিচালনার আগে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার
ডিপোর বিস্ফোরণের পর প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায়
প্রাণ হারিয়েছে প্রায় অর্ধশত মানুষ, আহত হয়েছেন কয়েক’শ মানুষ। বিস্ফোরণে
শুধু মাত্র জান-মালেরই ক্ষতি হয়নি। এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন
বিশেষজ্ঞরা।
বিস্ফোরণে ডিপোর কন্টেইনারের লোহার রড
আর হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের জার আশেপাশের জনবসতিতে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অনেক
মানুষ।
বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের
অধ্যাপক সাইদা সুলতানা রাজিয়া জানান, কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি বা মজুদ এলাকার চারপাশে
যেন জনবসতি না থাকে, নূন্যতম দূরত্ব রাখতে হয়।
তিনি আরও জানান, কিছু কেমিক্যাল অত্যন্ত বিষাক্ত সেগুলো জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমনকি পরবর্তী প্রজন্মের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। গর্ভবর্তী নারী ও তার সন্তান মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। শুধু তাই নয় বিস্ফোরণে ছড়ানো কেমিক্যাল দূষণে মানুষের শরীরের অন্যান্য বিরূপ প্রভাবের কথা বলছেন তারা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী
বলেন, চারপাশের তথা অঞ্চলটির বিশেষ পরিধির মানুষের চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে, বিরক্তিকর কাশির
উদ্রেগ হচ্ছে। সংবেদনশীল মানুষের শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। অনেকের চামড়ায় নানা প্রভাব দেখা
যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিস্ফোরণে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে
আশপাশের জনগোষ্ঠীর ওপর পর্যবেক্ষণ পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।