আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

শীত নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে। এটি খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে সারা দেশে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে এবং বৃষ্টির পর শীত অনুভূত হবে আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি সারা দেশে শীত নামিয়ে আনতে কিছুটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে। নিম্নচাপ কেটে যাওয়ার পর কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ মাসের শেষ দিকে আবারও একটি নিম্নচাপ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির প্রবণতা সবচেয়ে বেশি ছিল চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে। এ সময়ে সবেচেয়ে বেশি ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এ সময় ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ। যার কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে বাতাসের গতি বেড়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছিল। এখন এর গতিবেগ ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার হয়ে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে এর মূল অংশ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

মিধিলির প্রভাবে উপকূলীয় আট জেলা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপকূলীয় জেলা লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট বসছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপ হতে যাচ্ছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ রয়েছে, যার সময়সীমা আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ওই সুবিধা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু জুন মাসের পরে ওই ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করছে প্রতিষ্ঠানটি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের দ্বিতীয় সচিব ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সীর সই করা চিঠি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। যদিও মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করে ডিএমটিসিএল। কিন্তু রাজস্ব বোর্ডের পর্যালোচনায় দেখা যায়, রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী উন্নত দেশের কাতারে সামিলের লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ওই উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পাদনে সরকারকে প্রতিনিয়ত অর্থের জোগান দিতে হচ্ছে, যা মূলত আহরিত হচ্ছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের মাধ্যমে। দেশীয় শিল্পের বিকাশ, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ ইত্যাদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে সময়ে সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।

উন্নয়নের বিপুল কর্মযজ্ঞে অর্থের জোগান অব্যাহত রাখাসহ দেশকে এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন এবং কর-জিডিপি অনুপাতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নীত করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন খাতের সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। সেজন্য বিভিন্ন খাত থেকে কর অব্যাহতি সুবিধা ক্রমান্বয়ে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ কর অব্যাহতির ক্ষেত্র সংকুচিত করা হচ্ছে।

এই অবস্থায় মেট্রোরেল সেবার ওপর ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত থাকা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষে পুনরায় অব্যাহতি প্রদানে এনবিআর অপারগতা জ্ঞাপন করছে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেল চলাচল মতিঝিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যদিও মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব যাত্রী একই ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারেন।

এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুট উচ্চতার শিশুরা বিনা ভাড়ায় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু, সবার জন্য মেট্রোরেল ও মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের সেবার ওপর এই মুহূর্তে কোনো ধরনের মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল না এতোদিন।


আরও খবর



সঠিক পুরুষ পেলেই বিয়ে করবেন সুস্মিতা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব উঠেছিল বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের মাথায়। এর পর কেটেছে ৩০ বছর। বারবার প্রেমে পড়েছেন তিনি। কিন্তু ৫০-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আজও অবিবাহিতা নায়িকা। তবে সম্প্রতি বিয়ে ও সাবেক প্রেমিকদের নিয়ে মুখ খুলেছেন সুস্মিতা।

এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা জানান, সঠিক পুরুষ জীবনে এলেই বিয়ে করবেন। তা হলে কি সাবেক কেউ-ই সুস্মিতার কাছে সঠিক পুরুষ ছিলেন না।

১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট মাথায় ওঠে সুস্মিতার। ১৯৯৬ সালে দস্তক ছবির মাধ্যমে বলিউড জগতে পা রাখেন সুস্মিতা। প্রথম ছবি বক্স অফিসে একেবারে ফ্লপ। তবে রুপালি পর্দায় সুস্মিতার রূপের ঝলকানি নজর কাড়ে। তার পর বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। তবে বলিউডে মাটি শক্ত করতে পারেননি সুস্মিতা।

সেই সময়ই সুস্মিতার সঙ্গে নাম জড়ায় অভিনেতা রণদীপ হুডার। শোনা যায়, রণদীপের সঙ্গে নাকি লিভ ইনে ছিলেন সুস্মিতা। কিন্তু সে প্রেম বেশি দিন টেকেনি। এর পরই সুস্মিতার জীবনে আসেন কাশ্মীরি মডেল রোহমান শল। বেশ কয়েক বছর রোহমানের সঙ্গে প্রেম করে হঠাৎ বিচ্ছেদ।

দুই বছর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয় ললিত মোদির সঙ্গে নাকি বিয়ে সেরে ফেলেছেন সুস্মিতা। এমনকী লোলিতের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ বেশ কয়েকটা ছবি ভাইরাল হয়। তবে সুস্মিতা এই খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন। তার পরই সুস্মিতার প্রেমের গল্পে টুইস্ট। ফের সুস্মিতার জীবনে এন্ট্রি নেন রোহমান শল। এখন তারা দুজনে একসঙ্গে আছেন।

সুস্মিতা বলেন, বিয়ে করার জন্য আমি কখনই সামাজিক চাপ কিংবা বয়সকে পাত্তা দিই না। তার চেয়ে বরং সঠিক মানুষটাকে গুরুত্ব দিই। যেদিন এমন কোনো পুরুষ জীবনে আসবে, যাকে দেখে মনে হবে, হ্যাঁ, একেই বিয়ে করা যায়, তখন করব। তার আগে এই বেশ ভালো আছি।

সাবেক প্রেমিকদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুস্মিতা বলেন, সাবেকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখাটা কঠিন। তবে যদি ব্রেকআপে তিক্ততা না থাকে তো, বন্ধুত্ব রাখাই যায়।

নিউজ ট্যাগ: সুস্মিতা সেন

আরও খবর



কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার কত, তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনসহ তিনজনকে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাহ ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গতকাল ২৩ এপ্রিল স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া একটি রিট দায়ের করেন। রিটে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্টাদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। এছাড়া সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়।

রিটকারী আইনজীবী জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৪০ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়া একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।


আরও খবর



হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০০৪ সালে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলাকারী জেএমবি নেতা নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু ওরফে শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে এটিইউর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া জুঁই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০০৪ সালে বইমেলায় অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ওপর সরাসরি হামলাকারী এবং হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা নূর মোহাম্ম ওরফে সাবু ওরফে শামীমকে এটিইউ গ্রেপ্তার করেছে। জেএমবি নেতা সাবু চাপাতি দিয়ে সরাসরি অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ঘাড়ে গলায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মৃত্যু নিশ্চিত জেনে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে অধ্যাপক আজাদ জার্মানিতে মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আজ দুপুরে এটিইউর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



আজ পহেলা বৈশাখ, বর্ণিল উৎসবে মাতোয়ারা সারাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় দিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। সব সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে পহেলা বৈশাখ। মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগায়।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

দিবসটিকে ঘিরে আজ বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী ও দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ছায়ানট রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো একে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে। একসময় নববর্ষ উদযাপিত হতো আর্তব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই সন।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এই অনুষ্ঠান আজও উদযাপিত হয়।

মূলত, ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4