আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সীমান্তে সংঘর্ষ: ইরানের নিহত ২, আফগানিস্তানের ১

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরান-আফগানিস্তানের সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভারী অস্ত্রের গোলাগুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইরান-আফগানিস্তান সীমান্তে ইরানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষে ইরানের ‍দুইজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন। আর আফগানিস্তানের একজন তালেবান নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘শিল্পাচার্য জয়নুলের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে’

তবে ঠিক কী কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। নদীর পানি নিয়ে ইরান-আফগানিস্তানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।

ইরান অভিযোগ করছে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসকরা হেলমান্দ নদীর পানির প্রবাহ সীমিত করে ১৯৭৩ সালের পানি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। শুষ্ক মৌসুমে হেলমান্দ নদীর পানি ব্যবহার করে ইরানের উত্তরাঞ্চলে চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু তালেবানের পদক্ষেপের কারণে তা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

তালেবান পরিচালিত আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল নাফি তাকোর এক বিবৃতিতে বলেছেন, শনিবার নিমরোজ প্রদেশে ইরানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আফগানিস্তানের নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। পরে আফগান বাহিনী পাল্টা জবাব দেয়। গোলাগুলিতে উভয়পক্ষের নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। মুখপাত্র বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইসলামিক আমিরাত তার প্রতিবেশীদের সাথে যুদ্ধ করতে চায় না।

আরও পড়ুন: এক বছরের সাজা এড়াতে ২০ বছর পলাতক!

সংঘর্ষে ইরানের দুইজন সীমান্তরক্ষীর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা নুর নিউজ। ইরানের উপপুলিশ প্রধান কাসেম রেজাই বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে তালেবান বাহিনী সাসোলি তল্লাশি চৌকিতে গুলি চালাতে শুরু করে। এই ঘটনায় ইরানের সীমান্তরক্ষীরা পাল্টা জবাব দেয়।

ইরানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তালেবানের যোদ্ধাদের ব্যাপক ভারী অস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ার কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সীমান্ত হত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভবিষ্যতে যাতে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা আর না ঘটে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

সীমান্ত হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বর্ডার কিলিং (সীমান্তে হত্যা) নিয়ে এখানে একটু আলোচনা হয়েছে। এজন্য শুধু আমি বলব, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট অথরিটিকে (কর্তৃপক্ষ) আদেশ দিয়েছি। আমি আশা করব ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে আপনারাও আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজার সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, যেহেতু আমাদের যাওয়া-আসা করে, এপারের লোক ওপারে পূজা দেখতে যায়, আবার ওপারের লোক এপারে পূজা দেখতে আসে। এখানে সবাইকে আমি অনুরোধ করেছি, এবার আপনারা বর্ডার বেল্টে ভালো ভালো পূজা মণ্ডপ করেন। যাতে আমাদের লোক ওই পাড়ে না যায় পূজা দেখার জন্য। ওইপাড়ের লোকও যেন এই পাড়ে না আসে, এটার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার আগের চেয়ে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।

সনাতন ধর্মের নেতাদের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে এখনও কোনো পূজামণ্ডপের তালিকা দেয়া হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে এ বছর সম্ভাব্য মণ্ডপের সংখ্যা ৩২ হাজার হতে পারে।


আরও খবর



রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতা চাইলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সমর্থন চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। এ সময় তিনি এ সহযোগিতা চান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউএনএইচসিআর প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ফোন করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি জানান, তিনি বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অবিশ্বাস্যভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

ফোনে তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। ড. ইউনূস বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের জন্য ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সমর্থন চান। তিনি শরণার্থী শিবিরে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিশুদের একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সহায়তা চান।

ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টাকে নিউইয়র্কে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান।

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তিনি আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন।


আরও খবর



রোগীর সুচিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের ১৭ দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের সুচিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৭ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

এসব দাবি নিয়ে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় চরফ্যাশন জ্যাকব টাওয়ার সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থা করেন‌। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন কুমার বসাক এসে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে সংস্কারের আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীদের।

এসময় শিক্ষার্থীরা ১৭ দফা দাবিতে উল্লেখ করেন, সরকারি হাসপাতালে সঠিক সময় ডাক্তার চেম্বারে আসেনা, তাই আমরা চাই সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা প্রর্যন্ত চেম্বারে থাকবে ডাক্তার। রোস্টার অনুযায়ী ডিউটি পালন করতে হবে। সরকারি হাসপাতালে ডায়াগনস্টিকের দালাল ফার্মেসির দালাল ডাক্তারের ব্যক্তিগত দালালসহ সকল ধরনের দালাল মুক্ত করতে হবে। সরকারি হাসপাতালের ১ কি.মি. এর ভিতরে কোনো ডায়াগনস্টিক থাকতে পারবে না। হাসপাতালে এক্সরে আল্ট্রাসাউন্ড ও প্যাথলজিক্যাল টেস্ট ২৪ ঘন্টা করতে হবে।

এছাড়াও ইমারজেন্সি ডক্টর সেফটি লেজার এবং সিসিটিভি মনিটরিং করতে হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের উপজেলা থেকে উপজেলায় পরিবর্তন করতে হবে। সরকারি সাপ্লাইকৃত সকল মেডিসিন সকল রোগী যেন সঠিকভাবে পায় সেটার সঠিক মনিটরিং করতে হবে। ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট সময় ব্যতিত হসপাতালে ডাক্তারদের সাথে দেখা করতে পারবে না, এবং রোগীর প্রেসক্রিপশন এর ছবি তুলতে পারবে না। প্রাইভেট ক্লিনিকে টেস্ট বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। এবং অদক্ষ নার্স ও টেকনিশিয়ান পরিহার করতে হবে। শতভাগ ডেলিভারি সিজার বানিজ্য, ও ব্লাড বানিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং নরমাল ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে।

সম্প্রতি সেন্ট্রাল ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গাইনি চিকিৎসক ডা.আখিঁ আক্তারের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের  মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এবং আর কোন ভুল চিকিৎসায় কোন প্রসূতি মা যেন মৃত্যুর কোলে ডেলে না পরে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক বলেন, শিক্ষার্থীদের ১৭ দফা দাবির মধ্যে সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা আগে থেকেই রয়েছে এছাড়াও যেগুলো আমার আওতায় আছে সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে এবং সকল বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে যথাযথ সংস্কারের চেষ্টা করবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুসফিকুর রহমান জিহাদ, সাখাওয়াত শিকদার, রাজিব হাসান রিয়াদ, হাসানুল হক শুভ, লিজা আক্তার, নুসরাত, সাইফ আহমেদ হাসনাঈন, জাবেদুর রহমান মাহি, লিখন আহমেদ তুহিন, হাফেজ আব্দুল আজিজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



চলমান বন্যায় দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২টি পরিবার।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১১ জেয়ায় ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।

সার্বিকভাবে দেশের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ফলে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের বন্যায় ৪টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৪৮৬টি। ১১ জেলায় মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে; ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৭ জন।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চলমান বন্যায় মারা গেছে এখন পর্যন্ত ৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ-৪১, নারী-৬ ও শিশু ৭। জেলাভিত্তিক মারা গেছেন কুমিল্লা-১৪, ফেনী- ১৯, চট্টগ্রাম-৬, খাগড়াছড়ি-১, নোয়াখালী-৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, লক্ষ্মীপুর-১ ও কক্সবাজার ৩ জন ও মৌলভীবাজার ১ জন। এখনো মৌলভীবাজারে নিখোঁজ রয়েছের একজন।

জানা গেছে, চলমান বন্যায় পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৩ হাজার ২৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন। ৩৮ হাজার ১৯২টি গবাদি পশু আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দানের জন্য মোট ৫৬৭টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক বন্যাদুর্গত এলাকায় এক লাখ ৯৪ হাজার ২৮৫ প্যাকেট ত্রাণ, ১৯ হাজার ২৬০ প্যাকেট রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মোট ৪২ হাজার ৭৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১৮ হাজার ৩৮৯ জনকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৫৩ জনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত মোট ২৪ টি ক্যাম্প এবং ১৮টি মেডিকেল টিম বন্যা উপদ্রুত এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫ শতাধিক জেলে, নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের লাবণী চ্যানেলে এফবি রশিদা নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে উপকূলে ফিরতে পারেনি কক্সবাজারের ১৩টি মাছধরা ট্রলার। এসব ট্রলারে ৫ শতাধিক মাঝিমাল্লা রয়েছেন। যাদের সঙ্গে গত বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ট্রলারগুলো হলো এফবি হাসান, এফবি আবছার, এফবি সাবিত, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি কায়সার, এফবি আব্দুল মালেক এক দুই, এফবি আঁখি, এফবি তাহসিন, এফবি বাবুল, এফবি নাছির, এফবি সেলিম, এফবি নজির ও এফবি জনি।

ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ হচ্ছে কক্সবাজার উপকূলে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের ফলে উপকূলে ফিরছিলেন জেলেরা। কিন্তু পথে অনেক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমুদ্রে ভেসে গেছে। তার মধ্যে ৮টি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, বুধবার থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই ১৩টি ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে। এসব ট্রলারে থাকা ৫ শতাধিক জেলের ফোন নম্বর বন্ধ। সে হিসেবে তারাও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

এদিকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের লাবণী চ্যানেলে এফবি রশিদা নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারে থাকা ২৩ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১৯ জন কূলে উঠতে পারলেও বাকি ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে তীরে ফেরা জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকায়।

এ ছাড়া রাত ৮টার দিকে রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে নুরুল আমিন (৪০) নামে আরেক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।


আরও খবর