আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

সীমান্তে সংঘর্ষ: ইরানের নিহত ২, আফগানিস্তানের ১

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরান-আফগানিস্তানের সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভারী অস্ত্রের গোলাগুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইরান-আফগানিস্তান সীমান্তে ইরানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষে ইরানের ‍দুইজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন। আর আফগানিস্তানের একজন তালেবান নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘শিল্পাচার্য জয়নুলের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে’

তবে ঠিক কী কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। নদীর পানি নিয়ে ইরান-আফগানিস্তানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।

ইরান অভিযোগ করছে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসকরা হেলমান্দ নদীর পানির প্রবাহ সীমিত করে ১৯৭৩ সালের পানি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। শুষ্ক মৌসুমে হেলমান্দ নদীর পানি ব্যবহার করে ইরানের উত্তরাঞ্চলে চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু তালেবানের পদক্ষেপের কারণে তা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

তালেবান পরিচালিত আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল নাফি তাকোর এক বিবৃতিতে বলেছেন, শনিবার নিমরোজ প্রদেশে ইরানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আফগানিস্তানের নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। পরে আফগান বাহিনী পাল্টা জবাব দেয়। গোলাগুলিতে উভয়পক্ষের নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। মুখপাত্র বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইসলামিক আমিরাত তার প্রতিবেশীদের সাথে যুদ্ধ করতে চায় না।

আরও পড়ুন: এক বছরের সাজা এড়াতে ২০ বছর পলাতক!

সংঘর্ষে ইরানের দুইজন সীমান্তরক্ষীর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা নুর নিউজ। ইরানের উপপুলিশ প্রধান কাসেম রেজাই বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে তালেবান বাহিনী সাসোলি তল্লাশি চৌকিতে গুলি চালাতে শুরু করে। এই ঘটনায় ইরানের সীমান্তরক্ষীরা পাল্টা জবাব দেয়।

ইরানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তালেবানের যোদ্ধাদের ব্যাপক ভারী অস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ার কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



ইরাকে বিয়েতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত বেড়ে ৪৫০

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরাকে বিয়েবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। টুইটারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বর ও কনে এখনো জীবিত আছেন বলেই খবর দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর ও কনে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিনেভেহ প্রদেশের গভর্নর নিজিম আল জুবোরি জানিয়েছেন, এখনো মৃতের সংখ্যা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। তবে তিনি মনে করছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনুষ্ঠান চলাকালীন আতশবাজি জ্বালানোর পর হলরুমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত্র হয়।

নিনেভেহ প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ইরাকে উত্তরাঞ্চলীয় নিনেভেহ প্রদেশের আল-হামাদানিয়া জেলায় এই ঘটনা ঘটে। 

আরও পড়ুন>> ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১১৩

ইরাকি নিউজ এজেন্সি নিনার পোস্ট করা একটি ছবিতে দমকলকর্মীদের আগুন নেভাতে লড়াই করতে দেখা যায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের ছবিগুলোতে বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলের পুড়ে যাওয়া অংশ দেখা যাচ্ছে।

ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, পুড়ে যাওয়া ভবনে থাকা দাহ্য প্যানেল আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে থাকতে পারে। অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ফলে ইভেন্ট হলের কিছু অংশ ধসে পড়ে। স্বল্পমূল্যের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ফলে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ধসে পড়ে।


আরও খবর



কমেছে জ্বালানি তেলের দাম, সরবরাহ বাড়াতে পারে সৌদি-রাশিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য কমেছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালের দিকের লেনদেনে এই চিত্র দেখা যায়। কারণ ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়া ও সৌদি আরব তেলের সরবরাহ বাড়াবে।

নভেম্বরের জন্য শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২১ সেন্ট কমে ৯৫ দশমিক ১৭ ডলারে দাঁড়ায়। তাছাড়া ব্রেন্ট ডিসেম্বরের দাম ১০ সেন্ট কমে ৯৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডেয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮ সেন্ট কমে ৯১ দশমিক ৬৩ ডলার হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবর তেলের দাম কমে প্রায় এক শতাংশ। সম্প্রতি তেলের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এতে লাভবান হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৮০ ডলারে ভারতের কাছে জ্বালানি তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। যদিও এই দাম পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া মূল্যসীমা থেকে অন্তত ২০ ডলার বেশি। ব্যবসায়ী ও রয়টার্সের ক্যালকুলেশনে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এর আগে রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা ৬০ ডলারে নির্ধারণ করে পশ্চিমারা। কিন্তু তাদের এই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বেশি দামে তেল বিক্রি করছে রাশিয়া।

এর আগে রাশিয়া ও সৌদি আরবসহ ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয়। এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ৯০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। যদিও রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ১২০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।


আরও খবর



কেজিডিসিএল গ্রাহকরা পাচ্ছে নতুন ১ লক্ষ প্রি-পেইড মিটার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে গ্যাসের অপচয় রোধে প্রথম ধাপে ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পর এবার দ্বিতীয় ধাপে গ্যাসের আরও এক লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (কেজিডিসিএল) চট্টগ্রামে আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস অপচয়, সিস্টেম লস কমানোর লক্ষ্য নতুন এক লাখ প্রি-প্রেইট মিটার স্থাপনের লক্ষ্য জাপানের টয়োকিয়িকি কোম্পানীর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে চট্টগ্রাম মহানগরী ও উপজেলায় গৃহস্থালী পর্যায়ে ব্যবহৃত গ্যাসের অপচয় রোধ এবং গ্যাসের  কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে জাপান সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহায়তায় চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়। মিটার স্থাপনের পর গ্যাসের সাশ্রয়ী বিল এবং গুণগত মানসম্পন্ন টেকসই মিটারের কারণে গ্রাহকগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরী হয়। এর ধারাবাহিকতায় কেজিডিসিএল এর নিজস্ব অর্থায়নে ২য় প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ১ লক্ষ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

মিটার স্থাপনের জন্য উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবানের মাধ্যমে নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টয়োকিকি (স্থানীয় প্রতিনিধি ওনোডা) সাথে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় টোয়োকিকি ও কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানীর সকল উদ্ধর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী হতে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে প্রায় ২৯১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২য় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বায়েজীদ, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, চকবাজার, পাহাড়তলী, খুলশী, বাকলিয়া, সদরঘাট, কোতোয়ালী হালিশহর, ডাবলমুরিং, বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা, আকবরশাহ, লালদিঘী, কর্ণফুলী, হাটহাজারী, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, সীতাকুন্ড, মীরসরাই এলাকায় ১ লক্ষ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮৮ হাজার গ্রাহক মিটার গ্রহণের জন্য আবেদন করেছে।

কেজিডিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, জাপান হতে ঠিকাদারের নিজস্ব কারখানায় এসব প্রি-পেইড উৎপাদিত হয়। আমরা তথ্য বাছাই করে জাপানের এই কোম্পানীকে দায়িত্ব দিয়েছি। পূর্ববর্তী ৬০ হাজার মিটার প্রকল্পের ক্ষেত্রে গ্রাহককে মিটার রিচার্জের জন্য কেজিডিসিএল নির্ধারিত লোকেশনে (ব্যাংক) যাওয়ার প্রয়োজন হতো। বর্তমান প্রকল্পের আওতায় উক্ত রিচার্জ ব্যবস্থার পাশাপাশি গ্রাহকের নিজ মোবাইলের মাধ্যমে কার্ড রিচার্জের ব্যবস্থা রাখা হবে। ফলে গ্রাহক ঘরে বসে কার্ড রিচার্জ করতে পারবে এবং বন্ধের দিন অথবা দিনের যে কোন সময় মিটার রিচার্জ করা সম্ভব হবে। কেজিডিসিএল এর অবশিষ্ট প্রায় ৪.৩৫ লক্ষ আবাসিক চুলার বিপরীতে আরো  মিটার স্থাপনে অপর একটি প্রকল্প গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, গ্যাস একটি মূল্যবান সম্পদ। তাই জ্বালানী সাশ্রয়ের জন্য সরকার এই প্রকল্প নিয়েছেন। আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাসও সীমিত, অন্যদিকে ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপক বেড়েছে। সেজন্য সরকারকে এলএনজি আমদানি করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য এলএনজি দামও বেড়েছে। সবাইকে এখন জ্বালানী ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। আগামীতে কেজিডিসিএল সকল গ্রাহক প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসবে। আমরা যেসব প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করে দেখেছি, আগের চেয়ে প্রচুর গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে এবং গ্রাহকের খরচও কমেছে। ননমিটার কারণে প্রচুর গ্যাস অপচয় হতো, বর্তমান প্রি-পেইড মিটার আসায় গ্যাসের অপচয় কমে যাবে। জাপানের মিটারগুলো খুবই ভালোভাবে কাজ করে। আমরা প্রত্যেক লাইন টেস্ট করি, অবৈধ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। গ্যাসের লিকেজও কাজ করছি, এজন্য ১৭টি টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আরো ৪ লাখ ৩৫ মিটার হবে আগামীতে আরো একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো।

টোয়োকিকি কোম্পানির কর্মকর্তা কিয়োটাকা মিয়াহারা বলেন, আমরা প্রথম পর্যায়ে প্রি-পেইড মিটার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজে চলমান রয়েছে। তবে অনেক আগে এই প্রজেক্ট শেষ করা যেতো। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় কাজটি পিছিয়েছে। কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ সবসময় আমাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছিল। আগের মিটারগুলো চেয়ে এটি অনেক সুফল দিবে গ্রাহকদের।

কেজিডিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. নাহিদ আলম জানান, আমাদের ১ লক্ষ ৪৭ হাজার আবাসিক গ্রাহক, তাদের ৬ লক্ষ চুলা ব্যবহার করেন। গ্যাসের রেগুলেটার থেকে লাইন পর্যন্ত খরচ কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ দিবে। এবারের মিটারগুলো মোবাইল ফোনে টাকা রির্চাজের মতোই গ্রাহকরা মিটারে প্রয়োজনীয় গ্যাসের টাকা রিচার্জ করতে পারছেন। যারা নতুন মিটার নিতে চান, তারা অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। এই মিটার ব্যবহারে গ্রাহকের খরচ কমবে৷ নতুন এ পদ্ধতিতে প্রতি চুলায় গ্রাহকের সাশ্রয় হবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে প্রতি মাসে বিলের সাথে সরকার নির্ধারিত ফি ১০০ টাকা দিতে হবে।

গ্রাহকরা শীতকালে অতিরিক্ত গ্যাস চালানোর ধারণাও কমে যাবে। পরবতীতে সব গ্রাহককে প্রি-প্রেইড মিটার নিতে হবে। আগামীতে সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহকও এই মিটারের আওতায় আসবে।

তিনি বলেন, কর্ণফুলী গ্যাসের মোট ৬ লাখ আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। এরমধ্যে ন্যাচরাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রথম দফায় ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনে কেজিডিসিএল। নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৫ সালে হাতে নেওয়া প্রকল্পটি কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্যাস সাশ্রয়সহ গ্রাহক ভোগান্তি কমে আসায় প্রিপেইড মিটার স্থাপনে নতুন আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয় কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্পটি মূল উদ্দেশ্য প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয়রোধ, সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত ও গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস করা। তবে নানা জটিলতায় পিছিয়ে যায় এ প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যে ৮৭ হাজার গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসার জন্য আবেদন করেছেন। আরও কিছু আবেদন জমা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে এ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ গ্রাহক প্রিপেইড মিটার সংযোগ পাবে। এই চুক্তির পর থেকে গ্রাহকদের মাঝে প্রি-পেইড মিটার সংযোগ দেওয়া হবে।

প্রিপেইড না হওয়া মিটারগুলোর গ্রাহকরা গড়ে মাসে ৬৬ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। কিন্তু সংযোজিত প্রিপেইড মিটার গ্রাহকরা গড়ে ৪০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করছেন। এতে একটি মিটারে মাসে ২৬ ঘনমিটার গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে।


আরও খবর



৩ হাজার রোহিঙ্গা দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করবে মিয়ানমার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই কিছু রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ব্যাচে দেশটি ভেরিফায়েড তিন হাজার রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নেপিডোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে থাকা দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দায়িত্বশীল এ কূটনীতিক জানান, মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। তারা যত শিগগিরই সম্ভব প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। আমরা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই। আলোচনা হয়েছে, ভেরিফায়েড তিন হাজার রোহিঙ্গা দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। প্রথম ব্যাচে টার্গেট; এটা যত দ্রুত সম্ভব হতে পারে। নির্দিষ্ট করে এটা বলা যাচ্ছে না, এটা কতদিনের মধ্যে হতে পারে এরপর পরবর্তী ব্যাচে ৫ হাজার বা তার পরের ব্যাচে ৭ হাজার করে হতে পারে। এ সংখ্যাগুলোই যে হবে, সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা ঠিক হবে না।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর আগে রোহিঙ্গাদের মনোবল বাড়াতে হবে বলে জানান এ কূটনীতিক। তিনি বলেন, যাদের প্রত্যাবাসন করা হবে তাদের আগে কনফিডেন্স বিল্ডিং বাড়াতে হবে। তারপর তাদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় যেতে চায় তাদের পাঠানো হবে। আমরা টেকসই প্রত্যাবাসন করতে চাই, যেন প্রথম ব্যাচের পর পরবর্তী ব্যাচ যেতে থাকে।

মিয়ানমার থেকে একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার এসে রোহিঙ্গাদের মনোবল বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করার কথা রয়েছে। মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের কক্সবাজার সফরের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে এ কূটনীতিক বলেন, তারা আসবে। আমরা চাই, তারা এসে রোহিঙ্গাদের আগ্রহী করে তুলুক; তাদের নিশ্চয়তা দিক। প্রত্যাবাসনের আগে আমাদের মুল টার্গেট রোহিঙ্গাদের কনফিডেন্স বিল্ড করা। অতীত অভিজ্ঞতায় দুবার প্রত্যাবাসনের খুব কাছে গিয়েও একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে না পাঠাতে পারার কথা স্মরণ করিয়ে দেন এ কূটনীতিক।

বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে নেপিডোর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির মহাপরিচালক পলিটিক্যাল এইউএনজিকে।

চীনের ভূমিকায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রত্যাবাসন বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সে উদ্যোগটি ব্যর্থ হয়।

পরবর্তী সময়ে চীনের মধ্যস্থতায় ২০১৯ সালের আগস্টে দ্বিতীয় দফায় প্রত্যাবাসন উদ্যোগও ব্যর্থ হয়। ওইসময় রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা জানায় রোহিঙ্গারা। ফিরে যেতে অপারগতা প্রকাশ করে তারা। সাত বছরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

চল‌তি বছর নতুন ক‌রে আবার রো‌হিঙ্গা‌দের প্রত্যাবাসন শুরুর বিষ‌য়ে বেশ উদ্যোগী ভূমিকা পালন কর‌ছে চীন। তারই অংশ হি‌সে‌বে এপ্রিলের মাঝামা‌ঝি‌তে কুনমিংয়ে বাংলা‌দেশ ও মিয়ানমার‌কে নি‌য়ে বৈঠক ক‌রে‌ছে চীন। ওই বৈঠ‌কে সিদ্ধান্ত হয় রো‌হিঙ্গা‌দের এক‌টি দল নি‌য়ে সরকা‌রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাখাই‌ন সফর কর‌বেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৫ মে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি ও রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা রাখাইন সফর করেন। ফির‌তি সফ‌রে রোহিঙ্গাদের মনোবল বৃদ্ধিতে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু সাইক্লোন মোখার কারণে সেটি পিছিয়ে দেয় মিয়ানমার। পরবর্তীতে গত ২৫ মে ১৪ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ঘুরে যান।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল চার লাখের অধিক রোহিঙ্গা। এছাড়া প্রতি বছর নতুন করে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিচ্ছে ক্যাম্পগুলোতে।


আরও খবর



গাজীপুরের বায়ু সবচেয়ে দূষিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, দেশের মধ্যেও বিভিন্ন জেলার বায়ুর মানের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর হচ্ছে গাজীপুর।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত বায়ু দূষণ বিষয়ক এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স-২০২৩  বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, গাজীপুরের বাতাসে অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা, যার ব্যাস সাধারণত ২.৫ মাইক্রোমিটার বা এর চেয়ে ছোট (পিএম ২.৫)- এর পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৮৯.৮ মাইক্রোগ্রাম পাওয়া যায়। এ মান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানমাত্রার (অর্থাৎ ৫ মাইক্রোগ্রাম) চেয়ে ১৮ গুণ বেশি এবং নির্ধারিত (বার্ষিক) মান মাত্রার চেয়ে ৬ গুণ বেশি। ২০২২ সাল পর্যন্ত অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা ২.৫ এর জন্য নির্ধারিত (বার্ষিক) প্রতি ঘনমিটারে ১৫ মাইক্রোগ্রাম। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কম দূষিত জেলা হিসেবে পাওয়া গেছে সিলেট শহর। যার প্রতি ঘনমিটারে ৪৮.৫ মাইক্রোগ্রাম বস্তুকণা পাওয়া গেছে এবং এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানমাত্রার চেয়ে ৯.৭ গুণ বেশি ও বাংলাদেশের নির্ধারিত জাতীয় আদর্শ (বার্ষিক) মানমাত্রার চেয়ে ৩.২৩ গুণ বেশি।

তিনি জানান, গাজীপুর ছাড়াও নোয়াখালীতে প্রতি ঘনমিটারে ৮৮.৭ মাইক্রোগ্রাম, কুমিল্লাতে প্রতি ঘনমিটারে ৮৮.২ মাইক্রোগ্রাম, চাঁদপুরে প্রতি ঘনমিটারে ৮৭.৮ মাইক্রোগ্রাম, ঢাকায় প্রতি ঘনমিটারে ৮৭.২ মাইক্রোগ্রাম, নারায়ণগঞ্জে প্রতি ঘনমিটারে ৮৬.৯ মাইক্রোগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতি ঘনমিটারে ৮৩.১ মাইক্রোগ্রাম, কিশোরগঞ্জে প্রতি ঘনমিটারে ৮২ মাইক্রোগ্রাম এবং টাঙ্গাইলে প্রতি ঘনমিটারে ৮১ মাইক্রোগ্রাম অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা ২.৫ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।

বায়ু দূষণের কারণ উল্লেখ করে বাপার যুগ্ম সম্পাদক জানান, বায়ু দূষণের কারণগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক ও আবহাওয়াজনিত কারণ, নগর পরিকল্পনায় ঘাটতি, আইনের দুর্বলতা, আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা, ভৌগোলিক কারণ এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব অন্যতম। ক্যাপসের গবেষণা থেকে পাওয়া যায় যে, রাস্তা খোঁড়াখুড়ি ও নির্মাণ কাজ থেকে ৩০ শতাংশ, ইটভাটা ও শিল্প কারখানা থেকে ২৯ শতাংশ, যানবাহন থেকে ১৫ শতাংশ, আন্তঃদেশীয় বায়ু দূষণ থেকে ৬.৫ শতাংশ, গৃহস্থালি বা রান্নার চুলার কাজ থেকে ৮.৫ শতাংশ এবং বর্জ্য পোড়ানো থেকে ৮ শতাংশ বায়ু দূষণ ঘটে।

আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স-২০২৩ প্রতিবেদন অনুযায়ী বায়ু দূষণের কারণে বিশ্বের সব মানুষের গড় আয়ু ২ বছর ৪ মাস কমছে। অপর পক্ষে, বাংলাদেশের একজন নাগরিকের গড় আয়ু কমছে ৬ বছর ৮ মাস। এছাড়া ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজিজেস অব দ্য চেস্ট অ্যান্ড হসপিটালে ২০২১ সালে আউটডোর এবং জরুরি বিভাগ মিলিয়ে ২ লাখ ১০ হাজার রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। ৭ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৫ হাজার।

অন্যদিকে রাজধানীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের হিসাবে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে হাসপাতালে ভর্তি, আউটডোর ও জরুরি বিভাগ মিলিয়ে রোগীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের কিছু বেশি। এবারের (২০২৩) জুলাইয়ে সে সংখ্যা ১৪ হাজার পার হয়েছে। আয়ুষ্কালের পরিপ্রেক্ষিতে বাতাসে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা, দূষণ বাংলাদেশে মানব স্বাস্থ্যের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম হুমকি বলে জানিয়েছে কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স- ২০২৩। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, সীসা দূষণের ফলে বাংলাদেশে প্রতি বছর হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে ১ লাখ ৩৮ হাজারও বেশি মানুষ এবং এ কারণে শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে এবং বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

বায়ুমান উন্নয়নে স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ, মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। পদক্ষেপগুলো নিচে দেওয়া হলো

স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ

১. নির্মাণ কাজের সময় নির্মাণ স্থান ঘেরাও দিয়ে রাখতে হবে ও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে নিতে হবে।

২. শুষ্ক মৌসুমে সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে দূষিত শহরগুলোতে প্রতি ২-৩ ঘণ্টা পরপর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. রাস্তায় ধুলা সংগ্রহের জন্য সাকশন ট্রাকের ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪. অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিকল্প ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে।

৫. ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, প্রয়োজনে নম্বর প্লেট অনুযায়ী জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চলাচলের প্রচলন করা যেতে পারে।

মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপ

৬. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে এবং ছাদ বাগান করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে, দূষিত শহরগুলোর আশপাশে জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে।

৭. আলাদা সাইকেল লেনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. আগুনে পোড়ানো ইটের বিকল্প হিসেবে সেন্ড ব্লকের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে।

৯. সিটি গভর্নেন্সের প্রচলনের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কার্যকলাপের সমন্বয় সাধন করতে হবে। সেবা সংস্থার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্বল্পসময়ে সম্পন্ন করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ

১০. নির্মল বায়ু আইন-২০১৯ যত দ্রুত সম্ভব প্রণয়ন করতে হবে।

১১. পরিবেশ সংরক্ষণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। নিয়মিত বায়ু পর্যবেক্ষণ স্টেশনের (ক্যামস) ব্যাপ্তি বাড়িয়ে ঢাকা শহরের সব এলাকাকে এর আওতাধীন করতে হবে। এছাড়াও বায়ু দূষণের পূর্বাভাস দেওয়ার প্রচলন করতে হবে।

১২. পরিবেশ ক্যাডার সার্ভিস এবং পরিবেশ আদালত চালু ও কার্যকর করতে হবে।

১৩. সর্বোপরি সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে বায়ু দূষণ সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য নির্ভর অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশের বায়ু দূষণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাপার সভাপতি নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সহ সভাপতি অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ।


আরও খবর
ঢাকাসহ ১৪ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩