আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

সবুজ অর্থায়নে এগোতে চায় সোনালী ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রিন ফিন্যান্স নামে প্রচলিত পরিবেশবান্ধব ব্যবসায় উদ্যোগে পর্যাপ্ত তহবিল থাকলেও যোগ্য উদ্যোক্তা পাচ্ছে না রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক।

সবুজ অর্থায়ন বলে পরিবেশবান্ধব উপায়ে ব্যাবসায়িক অবকাঠামোর জন্য ঋণকে বোঝানো হয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে শুরু করে সূর্যের আলোর ব্যবহার বাড়ানো, বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা এবং কাগজের তুলনামূলক কম ব্যবহারসহ বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তিতে স্থাপিত অবকাঠামোকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে ধরা হয়।

বিশ্বায়নের যুগে পরিবেশবান্ধব কারখানা তৈরির ধারণা থেকে ২০১১ সালে গ্রিন বা সবুজ ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সবুজ অর্থায়নের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে, ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্জ্য ফেলার মাধ্যমে পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে। এ জন্য সবুজ অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত আইলা কিংবা ঘূর্ণিঝড় হিসেবে প্রতিবছরই আমাদের কাছে আসছে। আমরা অনেক খরচ করি। খরচটা পরিবেশবান্ধব হওয়া আবশ্যক।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গোষ্ঠীভিত্তিক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দেন পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।

পরিবেশদূষণ প্রতিরোধ, কারখানার শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা, জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলার জন্যই এ ধরনের কারখানা স্থাপনকে বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। গ্রিন ফ্যাক্টরি হলে একদিকে যেমন পরিচালন ব্যয় কমে যায়, তেমনি বিদেশি ক্রেতারা আকৃষ্ট হয় বেশি। ফলে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে যায়।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিকে ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন ঋণমঞ্জুরি ও নবায়নের সময় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রকল্পের ঋণঝুঁকি নিরূপণের পাশাপাশি পরিবেশগত ঝুঁকি নিরূপণ করা হচ্ছে।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান মনে করেন, দেশে গ্রিন ফিন্যান্স এখন লিমিটেড স্কেলে আছে। কারণ এখানে মুনাফা কম, তাই উদ্যোক্তারাও আসছেন না।

তিনি বলেন, ফান্ড নিয়ে বসে আছি। উদ্যোক্তা আসছে না। যদি উদ্যোক্তা আসে, কনসেপ্টটা যেহেতু কাজ করছে, এটার পরিধি বাড়বে।

আতাউর রহমান বলেন, সরকারের তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু ইনসেনটিভও আছে। তার পরও গ্রিন ফিনান্স করতে ফান্ড আছে, পিপল শুড কাম ফরওয়ার্ড। আসতে হবে উদ্যোক্তাদের।

সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বলেন, গ্রিন ব্যাংকিংয়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা আছে। আপনি ওভারনাইট কাউকে গ্রিন করতে পারবেন না। ধরুন আপনি একটি টেক্সটাইলে ইনভেস্ট করেছেন। এখানে ইএফটি, পরিবেশবান্ধব বিষয়গুলো মানা হচ্ছে কি না, সেটা দেখতে হবে।

জানা গেছে, পরিবেশবান্ধব পণ্য ও সেবা উদ্ভাবন, উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে সোনালী ব্যাংক। ব্যাংক কর্তৃক অর্থায়নকৃত ও অর্থায়নযোগ্য প্রকল্পে পরিবেশগত দিক থেকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত পণ্য উৎপাদন, বিপণন, বাজারজাতকরণ সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।

বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক পেপারলেস ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করছে বলে জানান এটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, যদি পেপার না থাকে, তবে আলটিমেটলি বাঁশ লাগবে না, কাঠ লাগবে না। সেভ হবে। দিস ইজ অলসো এ গ্রিন ফিন্যান্স। আমরা আলো সেভ করে যাতে কাজ করতে পারি, সোলারে কাজ করতে পারি। সে জন্য আমরা সোলারে ইনভেস্ট করছি।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের গ্রিন ব্যাংকিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্ত কার্যালয় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্দেশনাসংবলিত ইশতেহার জারি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এই ব্যাংকের সব অফিস ও শাখা পর্যায়ে কাগজের ব্যবহার কমানো, পানির ব্যবহার পরিমিতকরণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মিতব্যয়িতার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে রিডিউস, রিফিউজ এবং রিসাইকল চর্চার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব বা সাশ্রয়ী ব্যাংকিং নিশ্চিতকরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গ্রিন স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং প্রণয়ন করে ব্যাংকের সর্বস্তরে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।

পরিবেশ আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাংকার, গ্রাহক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং পরিবেশ রক্ষার কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করার জন্য প্রেষণা সৃষ্টির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। গ্রিন ব্যাংকিং বিষয়ে ব্যাংকের স্টাফ কলেজ ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোতে প্রশিক্ষণ/কর্মশালা চলমান রয়েছে।

সময় ও অর্থের সাশ্রয় এবং কাগজবিহীন ব্যাংকিং চালুকরণের নিমিত্ত সার্কুলার ইস্যুকরণসহ যাবতীয় পত্রযোগাযোগ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও ই-মেইলের মাধ্যমে সম্পাদনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সোনালী ব্যাংক

আরও খবর



পাথরঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় বসতঘরে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস হাওলাদারের বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় একঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা এমপির পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিদ মক্কি ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সুজন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অর্থ প্রদান করা হয় এবং বসত ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে টিনসহ যাবতীয় কিছু যা দরকার তা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চা বানাতে ইউনুস হাওলাদার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়, এতে ইউনুস আগুনে দগ্ধ হয়। ওই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে মালামালসহ বসতঘরটি সম্পূর্ণ পড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় ঘরে থাকা স্বর্ণ অলঙ্কার নগদ ৫০ হাজার টাকা পুড়ে হয়ে গেছে বলে জানায় ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এতে অন্তত ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবার।


আরও খবর



মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে আলিফ প্রধান (১৭) নামের এক কিশোর নিখোঁজ রয়েছে। সে গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের মোহাম্মদ ফয়সাল প্রধানের ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার দুপুর ১টার দিকে আরেক বন্ধুকে নিয়ে নিখোঁজ আলিফ মেঘনা সেতু সংলগ্ন তেতুইতলা এলাকায় গোসলে নামে। পরে সে ঢেউয়ের তোরে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রথমে সনাতন পদ্ধতিতে জাল দিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে এই সংবাদ লিখার সময় দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত তার সন্ধান মিলেনি।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে বন্দরের প্রায় ৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করার পর তাদের এই অনুমতি দেওয়া হয়।

সোমবার (৬ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী।

তিনি বলেন, শনিবার (৪ মে) থেকে অনেকেই খামারবাড়িতে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি পত্রের জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্য রোববার (৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮টি প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। আরও আবেদন রয়েছে যেগুলো এখনও প্রক্রিয়াধীন।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। দু-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে বন্দরের আমদানিকারকদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। যদি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ভারতের রপ্তানি মূল্য ও বাংলাদেশের পেঁয়াজের ওপর আরোপকৃত শুল্ক কমানো গেলে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। ভারত থেকে টন প্রতি ৫৫০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করলে প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়বে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ২ মে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আগামী ২ মে আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের লেজিসলেটিভ সাপোর্ট উইং আইন শাখা।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নিম্নলিখিত আদেশটি সাধারণ অবগতির জন্য প্রকাশ করা হলো বলেও জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংসদ সচিবালয় জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২ মে বিকেল ৫টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামের এয়াকুবনগর বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ল ২০০ ঘর

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় এয়াকুবনগর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় দুইশ ঘর পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিএডি আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি স্টেশনের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দেড় ঘণ্টার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

ফিরিঙ্গি বাজারের মেরিনার্স রোড সংলগ্ন টেকপাড়া বস্তিতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হল, তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর দূর থেকেও কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছিল।

ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসেছি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। টেকপাড়া বস্তি আর এয়াকুব নগরের পিছনের অংশ জুড়ে কিছু ঘর আছে, সেগুলোতেও আগুন লেগেছে।

তিনি আরো জানান, মেয়র মহোদয়, জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তালিকা করে জানাতে বলেছেন উনারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য রাতে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখা হবে।

কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব জানান, এখনো পূর্ণাঙ্গ তথ্য না মিললেও প্রায় দুইশ ঘর পুড়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুনে বস্তির বেশ কয়েকটি কাঁচাঘর পুড়ে গেছে। এসব বাড়ির কোনোটির বাসিন্দারা এখনো ঈদ শেষে বাড়ি থেকে ফেরেননি। অর্থাৎ বন্ধ অবস্থায় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অনেকেন। আর যারা আছেন চোখের সামনে নিজের বসতি পুড়তে দেখে বিলাপ করছেন বাসিন্দারা।


আরও খবর