আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

সবদিকে উন্নয়নের জোয়ার বইছে : আইজিপি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সবখানে উন্নয়নের জোয়ার বইছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। উন্নয়নের এই ধারাকে আরও বহুদূর নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সেক্টরকে যেভাবে  উজ্জীবিত করেছেন, এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন কার্যক্রমের একটা জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই রংপুর এলাকাতে আলু চাষ হয় বা বিভিন্ন সবজি চাষ হয়। এখানকার মানুষ যা চাষ করছে তার জন্য কোল্ডস্টোরেজ দরকার হয়, এটাও হবে। জিনিসপত্রের দাম, পাওয়া না পাওয়ার বিষয়ে অনেক কথাবার্তা আছে, তবে আমি মনে করি এসব হবে। এখন উৎপাদন বাড়ছে। আগে দক্ষিণবঙ্গের লোকেরা কাজের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় যেতো, এখন তাদের এলাকাতে বিভিন্ন বিদেশি ফল চাষাবাদ হচ্ছে। সুন্দরবনে পর্যটন বিকশিত হচ্ছে, রংপুরেও হচ্ছে। সবদিকে একটা উন্নয়নের জোয়ার বইছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সুধী সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন আরপিএমপি কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন, রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডেন্ট বাসুদেব বনিক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশিদ।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য দরকার টেকসই নিরাপত্তা। টেকসই নিরাপত্তা থাকলে টেকসই শান্তি আসবে, টেকসই শান্তি থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। আমরা এই লক্ষ্যে অনেক দূর এগিয়েছি। আরও বহুদূর যেতে হবে। আমরা এগিয়েছি বলেই আমাদের মাথাপিছু আয় ৫০০ ডলার থেকে ৩ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পেরেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা আগামী দিনেও রংপুরসহ দেশবাসীর সহযোগিতার প্রত্যাশা করছি।

তিনি আরও বলেন, কোনো এক সময় এই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের হোলি খেলা শুরু হয়েছিল। সারা দেশের মাঝে একসঙ্গে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। সাধারণ মানুষদের মধ্যে যারা চাকরি করতেন তাদেরকে বিভিন্ন বাহিনীকে ট্যাক্স দিতে হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করেন। আমাদের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করেছেন। আমাদের লোকবল বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। দেশকে ডিজিটালাইজড করেছেন। আমরা এখন জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সক্ষমতা অর্জন করেছি। দেশে আজকে স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পুলিশপ্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন এদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫০০ ডলার। আর এখন আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় ৩০০০ ডলার, আমাদের উন্নতি হয়েছে। আমি যখন নীলফামারীতে ছিলাম ওই সময় একজন পুলিশ সুপার হিসেবে যে বেতন পেতাম, তা দিয়ে নিয়মিত বিমানে যাতায়াত করা সম্ভব ছিল না। আগে একটা বিমান ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে সৈয়দপুরে আসত, তারপর আবার রাজশাহী হয়ে ঢাকায় ফিরত। আর এখন সৈয়দপুর থেকে প্রতিদিন নিয়মিত ১৮টি ফ্লাইট চলাচল করছে। এর মানে আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে।

আইজিপি বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রংপুরের মানুষ সব সময় সহায়তা করেছেন। রংপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি নীলফামারীতে প্রায় সাড়ে তিন বছর পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এজন্য এই এলাকার মানুষের আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়ে গেছে এবং তাদের সম্পর্কে আমি জানি, আমার সম্পর্কেও তারা জানে। এখানকার মানুষ আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের প্রতি আন্তরিক। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রংপুরের মানুষ সব সময় সহায়তা করে আসছেন। রংপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সব সময় ভালো থাকে। যারা রংপুরের আবেগকে বুঝতে পারবে, সেরকম অফিসারদেরকে আমরা রংপুরে দিয়ে থাকি।

তিনি বলেন, এই নগরীর প্রধান সমস্যা হলো মাদক, জুয়া ও যানজট। নিয়মিত কাজ করলে এগুলো সমস্যার উন্নতি হবে। মাদকের জন্য আভিযানিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে কার সঙ্গে মিশছে সেটা নজরে রাখতে হবে। অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানো ও প্রত্যেক নাগরিককে নিজের জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে, স্মার্ট পুলিশিং বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা চান আইজিপি।

সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, র‌্যাব-১৩ এর কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন, মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু।

এর আগে বেলা ১১টায় রংপুর নগরীর সুরভী উদ্যানের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেককাটা পর্ব শেষে একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়াও বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এছাড়াও মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে একটি গাড়ি উপহার দেন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামকে।

এ বছর পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ, মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্ট, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান, রচনা লেখা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আরপিএমপি। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে নগরবাসীর যোগাযোগ স্থাপনে হ্যালো আরপিএমপি নামে একটি অ্যাপস উদ্বোধন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সভায় রংপুর বিভাগ অনুমোদন এবং একই বছর ৯ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে রংপুর বিভাগের কার্যক্রম শুরুর পর এখানে মেট্রোপলিটন পুলিশের দাবি ওঠে। ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ১ হাজার ১৮৫টি পদ নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯ এপ্রিল তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের নবীনতম ইউনিট হিসেবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে রংপুর মহানগরী পুলিশ বিল-২০১৮ পাস হয়। প্রায় ১০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে ২৪০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) কার্যক্রম ছয়টি থানা নিয়ে শুরু হয়।


আরও খবর



আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নুরজাহান বেগম (৬৩) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরজাহান বেগম হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী।

নিহতের ফুফাতো ভাই তৌহিদুল হক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন আমার ফুফি, এমন সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস এসে তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। এক পা ভেঙে যায় তার। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমার ফুফিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একই জায়গায় বার বার দুর্ঘটনা ঘটনার পর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তেজিত জনতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কিছুক্ষণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ এসে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেন।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, দুর্ঘটনার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ মাইক্রোবাস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



গত এক সপ্তাহে সৌদিতে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদিজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার ৫০৫ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সৌদির আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৪ হাজার ৩২৩ জন, সীমান্ত সুরক্ষা আইনে ৪ হাজার ৭৭৮ জন এবং শ্রম আইনের আওতায় ২ হাজার ৪০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৯৫ জনকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ইয়েমেনি ৩৭ শতাংশ, ইথিওপিয়ান ৬১ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ২ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন।

এছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টটার সময় আরও ৬১ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ৯ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বসবাসের অনুমতি, শ্রম ও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের দায়ে সৌদি আরবে বর্তমানে ৬১ হাজার ৩০১ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৭ হাজার ১৩ জন এবং নারী আছেন ৪ হাজার ২৮৮৮ জন। আটককৃত প্রবাসীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ১৬৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১ হাজার ৬৬৬ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৭ হাজার ৪২৩ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়ার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় ৪ মাস ১০ দিন পর এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।


আরও খবর



ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল: রিজভী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল বলে তিনি বেশি অবান্তর কথা বলেন, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বিএনপির কাছে তালিকা চেয়ে চিৎকার করছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব কিসের তালিকা চাইছেন? এর আগেও তালিকা দেওয়া হয়েছিল। আর তালিকা-তো আপনাদের কাছেই রয়েছে। আইন-আদালত, থানা-পুলিশ আপনাদের কব্জায়। ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্নায়ু শিথিল, মস্তিষ্ক অলস ও হৃদয় দুর্বল হওয়ার কারণে বেশি বেশি অবান্তর কথা বলেন। শেখ হাসিনার বিনাভোটের সরকার অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন, অপহরণ করেছে। জাতিসংঘ গুমের একটি তালিকা দিয়েছিল। আজ পর্যন্ত বিনাভোটের সরকার এর কোনো জবাব দিতে পারেনি।

বুধবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের আজ ১২ বছর পূর্ণ হলো। তাকে ফিরে পাওয়ার অধীর অপেক্ষায় আজও প্রহর গুনছেন তার স্ত্রী-সন্তানসহ দেশের অগণিত নেতাকর্মী। সমাজে মানুষের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির জন্যই গুমকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। মূল লক্ষ্য বিরোধী কণ্ঠকে নির্মূল করা, দীর্ঘ মেয়াদে ফ্যাসিবাদী শাসনকে নিষ্কণ্টক করা। এ সরকারের গোটা আমলটায় অপহরণ, গুম, খুন, ক্রসফায়ার এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, এম ইলিয়াস আলীসহ সরকারের গুমের শিকার সবাইকে অক্ষত অবস্থায় যার যার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন। অন্যথায় একদিন প্রতিটি গুম-খুনের দায়ে বিচারের জন্য তৈরি থাকুন।


আরও খবর



ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত: বিবিসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ৫০ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই মৃত সেনাদের তথ্য সংগ্রহ করে আসছে বিবিসি’র প্রতিবেদকরা। তাদের সংগ্রহ করা এসব তথ্যের ওপর ভিত্তিতে করে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সমীক্ষায় এমন দাবি করেছে বিবিসি। তাদের দাবি, নিহত সেনার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখভাগে প্রথম বছরের তুলনায় পরবর্তী ১২ মাসে মৃত রুশ সেনাদের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা গণনা করে আসছে বিবিসির রুশ স্বাধীন মিডিয়া গ্রুপ মিডিয়াজোনা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা। তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিবিসি বলছে, কবরস্থানে পাওয়া নতুন কবর থেকেও অনেক সেনার নাম সংগ্রহ করেছেন তারা।

এছাড়া, সরকারি প্রতিবেদন, সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো উন্মুক্ত উৎস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছে দায়িত্বরত দলগুলো।

বিবিসির তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে ২৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

বিবিসি দাবি করছে, তাদের সমীক্ষায় পাওয়া নিহত রুশ সেনার সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সরকারের প্রকাশ করা মৃত্যুর সংখ্যার আট গুণ।

এমন ভাবনার কারণ হিসেবে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের বিশ্লেষণে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-অধিকৃতে ডোনেস্ক এবং লুহানস্কে নিহত হওয়া মিলিশিয়া বা যোদ্ধাদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলো যুক্ত করা হলে মৃত রুশ সেনার সংখ্যা আরও বেশি হবে।

এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রের প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ে খুব কমই মন্তব্য করে থাকে ইউক্রেন। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দাদের তথ্যানুযায়ী এই সংখ্যা আরও অনেক বেশির ইঙ্গিত দেয়।


আরও খবর