আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সবার জন্য আমার জীবনের দরজা খুলে দেওয়া যাক: সেলেনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

তাঁকে ইনস্টাগ্রামের রানি বলাই যায়। জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেলেনা গোমেজের অনুসারীসংখ্যা ৪২ কোটি ৯০ লাখের বেশি। ইনস্টাগ্রামে অন্য কোনো নারীর এত অনুসারী নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এত বিপুলসংখ্যক অনুসারী নিয়ে এই গায়িকা-অভিনেত্রী কী ভাবেন? সংগীতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়েইবা তাঁর প্রতিক্রিয়া কী?

মঙ্গলবার ইউনিভার্সেল মিউজিক গ্রুপ ও থ্রাইব গ্লোবাল মিউজিক অ্যান্ড হেলথ কনফারেন্সে হাজির হয়ে এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন সেলেনা। তাঁর বক্তব্য নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম হলিউড রিপোর্টার।

এটা আমার জন্য অনেক চাপের, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপুলসংখ্যক অনুসারী নিয়ে বলেন সেলেনা। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তরুণেরা নানা বিষয়ে আমার সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করেন। নারীদের কেউ হয়তো বিচ্ছেদ নিয়ে বলেন, কেউ বলেন কেমোথেরাপির অভিজ্ঞতা নিয়ে। আমি সব সময় তাঁদের উৎসাহকে স্বাগত জানাই। তবে এটা অনেক বড় দায়িত্ব, একটু চাপেরও বটে।

গানের সঙ্গে ইদানীং অভিনয়েও নিয়মিত, প্রযোজনাও করছেন। নিজে দীর্ঘ সময় মানসিক অবসাদে ভুগেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রায়ই বলতে শোনা যায় সেলেনাকে। এ বিষয়ে কি বই লেখার ইচ্ছা আছে? না। আমি ততটা জ্ঞানী নই। মনে হয় না, এটা আমি করব (বই লেখা)। তবে কে জানে, একদিন হয়তো আগ্রহী হতেও পারি। তবে এখন অবশ্যই নয়, বলেন তিনি।

বছর কয়েক আগে সেলেনা গোমেজের জীবন নিয়ে নির্মিত হয় তথ্যচিত্র মাই মাইন্ড অ্যান্ড মি। অ্যাপল টিভি প্লাসে প্রচারিত সেই তথ্যচিত্রে নিজের শারীরিক, মানসিক অসুস্থতা, জাস্টিন বিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে নানা প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছিলেন।

সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন ওই তথ্যচিত্র প্রসঙ্গেও, আইডিয়াটা শোনার পর মনে হয়েছিল, এটা (তথ্যচিত্র) আমার বিপক্ষে যাবে। অনেক দিন তাই সংশয়ে ছিলাম। একদিন মনে হলো, সবার জন্য আমার জীবনের দরজা খুলে দেওয়া যাক। যখন মুক্তি পেল, তখন মনে হয়েছিল, ঘাড় থেকে বড় একটা বোঝা নেমে গেল। মুক্তির আগপর্যন্ত চাপ অনুভব করছিলাম। আমি নিজে হয়তো তথ্যচিত্রটি আর দেখব না, তবে শেষ পর্যন্ত যে এটা করতে রাজি হয়েছি, সে জন্য গর্বিত।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে হলিউডে। এ প্রসঙ্গে সেলেনা বলেন, আমার মনে হয় না, আমার কোনো সহকর্মী এটিকে স্বাগত জানাবেন। এটা আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়। তবে এটাও মনে হয়, এআই কখনো মানুষের জায়গা নিতে পারবে না।

সেলেনা মূলত গানের মানুষ হলেও অনেক দিন ধরেই গান থেকে দূরে। তাঁর ভক্তদের জন্য সুখবর, শিগগিরই মুক্তি পাবে তাঁর নতুন সিঙ্গেল। এ ছাড়া আসবে অ্যালবামের ঘোষণাও। আগামী মাসে বড় একটি কার্যক্রমও শুরু করতে যাচ্ছেন সেলেনা। তাঁর অলাভজনক সংস্থা রেয়ার ইমপ্যাক্ট ফান্ড প্রথমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান। এই গালা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করা হবে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে।

নিউজ ট্যাগ: সেলেনা গোমেজ

আরও খবর



যুদ্ধ করে হলেও ইঁদুরের গচ্ছিত ভান্ডার চাই শিশুদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক, ঠাকুরগাঁও

Image

স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। তাই বাড়িতে বসে না থেকে হাতে খুন্তি আর ব্যাগ নিয়ে ইঁদুরের বাসায় (গর্ত) হানা দিতে সদ্য ফসল ওঠা আমন খেতের অভিমুখে কয়েকজন শিশু। উদ্দেশ্যে ইঁদুরের জমানো ভান্ডারে হানা। যুদ্ধ করে হলেও ইঁদুরের গচ্ছিত ভান্ডার চাই। তাই খোঁজতে থাকেন ইঁদুরের গর্ত। যে গর্তে খাদ্য মজুদ করে রেখেছে ইঁদুরের দল। ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে তিলের খাজা খাওয়ার লোভে সে-ই ইঁদুরের গোলায় হানা দিচ্ছে পাড়ার দুরন্ত শিশুরা। তাই আলতো হাতে খুন্তি চালিয়ে গর্ত খুঁড়ে তাদের ভান্ডারে জমানো ধান দেশীয় অস্ত্রের সাহায্যে ছিনিয়ে নিচ্ছেন গঞ্জের কচিকাঁচারা।

খুন্তির কোপে কাঁদায় লেপটে থাকা একগুচ্ছ ধানের শীষ টেনে বের না করতেই চিক শব্দে গর্ত থেকে লাফিয়ে বেরুলো দুটো ল্যাংড়া ইঁদুর। শপাং শব্দে খুন্তির গুঁতোয় ছেঁচে দিলো দুটোই। মৃত ইঁদুর দুটা পাশে রেখে আবার গর্ত খোঁড়াখুড়ি। উদ্দেশ্য ভাণ্ডারে ধান গচ্ছিত রয়েছে। ইঁদুরের সঞ্চিত সেই ভাণ্ডারের পুরোটাই চাই। এ ধানের চালে পিঠা হবে, নয় তো বাজারে বিক্রি, আর সেই টাকা দিয়েই নতুন জামা। অগ্রহায়ণের ঘ্রাণে নবান্নের উৎসব না থাকলেও শিশুদের ধান কুড়ানোর ব্যস্ততা যেন আরেক উৎসবে পরিণত হয়েছে। এমনই চিত্র দেখা গেছে বিভিন্ন ধানক্ষেতে।

শিশু আরিফ জানায়, ইঁদুরের গর্তে হাত ঢুকিয়ে ধান সংগ্রহ করতে একটু ভয় লাগে। মাটি খুড়তে গিয়ে মাঝে মাঝে ইঁদুর বের হয়। তারপরও শখের বসে বন্ধুরা মিলে ধান কুড়াচ্ছি। পড়ে থাকা ধানের শীষ কুড়ানোর চেয়ে ইঁদুরের গর্তে ধান বেশি থাকে, সেই ধান কুড়াতে খুব আনন্দ হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদরের আকচা ইউনিয়নের বামনপাড়া গ্রামে খেতে ধান কুড়াতে ব্যস্ত শিশু আরিফ। তার সারা গায়ে লেগে আছে কাদা মাটির দাগ। পাশেই শিশু সুজন, বক্কর, আসমা ও  আশা দীর্ঘক্ষণ ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান উদ্ধারে চেষ্টা করছে। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ থেকে কৃষকরা ধান তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তারা ইঁদুরের গর্তে হাত ঢুকিয়ে জমানো ধান ব্যাগে ভরছে। এছাড়া জমিতে পড়ে থাকা ধানও কুড়িয়ে ব্যাগে ভরে নিচ্ছে শিশুরা। কুড়িয়ে পাওয়া সেই ধান ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে তারা। আর ওই টাকা দিয়ে মেটাচ্ছে তাদের ছোট ছোট চাহিদা। এসব ধান কুড়ানি শিশুরা প্রতিদিন দলবেঁধে ছুটে যায় ফসলের মাঠগুলোতে। শিশুরা ১০ থেকে ১৫কেজির মতো ধানের শিষ কুড়িয়ে থাকে।

রমজান আলী নামে এক কৃষক বলেন, খেত থেকে ইঁদুর ধানের শীষ কেটে নিয়ে আপত্কালীন খাদ্য হিসেবে গর্তে মজুত রাখে। আর ওই সব শিশু-কিশোর সেই গর্ত খুঁড়ে ইঁদুরের খাদ্য বের করে। তবে এতে ঝুঁকিও রয়েছে। গর্তে বিষধর সাপ থাকতে পারে। তবে এ ধান কাটার মৌসুমকে ঘিরে এ কাজের সঙ্গে অভাবী পরিবারের লোকজনও যুক্ত হয়েছে।

মাঠে ধান কুড়াতে আসা শিশু আসমা বলে, আমরা ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে ধান সংগ্রহ করে তা বিক্রি করি। ওই টাকা দিয়ে পোশাক কিনবো। আশা বলে, ধান কাটার পর জমিতে পড়ে থাকা ধানের শীষ ও ইঁদুরের গর্তের ধান সংগ্রহ করি। সারাদিন চার-পাঁচ কেজি ধান কুড়াই। সেই ধান বিক্রি করে নিজের শখ পূরণ করি।

তবে ক্ষেতে ইঁদুরের গর্তগুলোতে সাপ, পোকা-মাকড় থাকতে পারে। এই কাজ শিশুদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান, ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে ধান বের করা, এটা নিরাপদ নয়। এতে কৃষকের কোনো উপকার নেই। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষকেরা খেতের ধান কাটলে মাঠে ধান পড়ে থাকবে না। এ ছাড়া ইঁদুর নিধনে আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।


আরও খবর



অবরোধ উপেক্ষা করেই রাজধানীতে যানচলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পেটের দায় মানেনা কোনো বাধা। তাই চলমান অবরোধ উপেক্ষা করেই বের হয়েছেন রাজধানীর কর্মজীবীরা। স্বাভাবিক দিনের মতোই চলছে যানবাহন।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি আগের মতো দ্বিতীয় দিনেও নিস্তেজ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর পল্টন, কাকড়াইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, নতুন বাজার, কুড়িল, এয়ারপোর্ট সড়ক, গুলশান, মহাখালী, বনানীর সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। এছাড়া শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আজিমপুর, মানিক মিয়া অ্যাভেনিউ, শ্যামলী, কল্যাণপুর এলাকাতেও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যানবাহন বাড়ার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন সিগন্যালে গণপরিবহন দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে।

এদিকে সপ্তাহের শেষ দিনের সকালে কাজে বের হওয়া অফিসগামী মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে সড়কে। সড়কে রিকশা, সিএনজি, রাইড শেয়ারিং মটোরসাইকেলেও যাত্রী বেড়েছে।

উত্তরা থেকে সদরঘাটে চলাচল করা ভিক্টর বাসের চালক লাল মিয়া বলেন, অবরোধের প্রথম দিকে ভয়ে গাড়ির মালিকরা গাড়ি সড়কে বের করেনি। কিন্তু আমাদেরও তো পেট আছে, গাড়ি বন্ধ থাকলে ইনকাম, জীবিকা বন্ধ থাকে আমাদের। তাই বাধ্য হয়ে গাড়ি বের করেছি, অন্যরাও বের করে চলাচল করছে। প্রথম দিকে অল্প কিছু চালকরা গাড়ি বের করলেও তেমন যাত্রী পেত না। তবে আজ সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, একইভাবে অফিস টাইম হওয়ায় প্রতিটি স্টপেজেই ভালো পরিমাণ যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে।

মহাখালী এলাকায় দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মাহাফুজুর রহমান বলেন, আজ সকাল থেকেই সড়কে গণপরিবহন, যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। এছাড়া গণপরিবহনে যাত্রীর সংখ্যাও বেশি দেখা যাচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক অবরোধ

আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




মুন্সীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত, আহত ৪

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জের টরকি এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ট্রলির সংঘর্ষে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নিহতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চিতুলিয়া চর আব্দুল্লাহ গ্রামের তোফাজ্জল সরকারের ছেলে দাদন সরকার (৩৫) ও তার ছেলে হোসাইন সরকার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধারা ইউনিয়নের চিতলীয় বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে মুন্সিগঞ্জ শহরে যাচ্ছিলেন। পরে অটোরিকশাটি টরকি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এত ঘটনাস্থলেই শিশু হোসাইন সরকার নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হন দাদনসহ আরও ৫ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় দাদনকে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত দাদনের স্ত্রী কুলসুম বেগমকে (৩০) গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে। অপর তিনজন সুফিয়া (৪০), তানজিলা (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (৪৫) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মাসহ আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি ও ট্রলি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।


আরও খবর



কারখানা চালাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চেয়েছে বিজিএমইএ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পোশাক শিল্পকে ঘিরে যারা চক্রান্ত করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে এবং কারখানা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ)। রোরবার রাজধানীর উত্তরায় সংগঠনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। সংবাদ সম্মেলনটি এখনও চলছে। 

আরও পড়ুন>> সারা দেশে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

গত ৭ নভেম্বর মূল মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে পোশাক শ্রমিকদের জন্য সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে সরকার। এই মজুরি প্রত্যাখ্যান করে ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করছে শ্রমিকদের একটি অংশ। এই প্রেক্ষাপটে মালিকরা কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন।

চলমান বিক্ষোভে শুধু গাজীপুরেই ১২৩ কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে পোশাক কারখানা তুসুকায় গত বৃহস্পতিবারের হামলায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মালিকপক্ষ।

এসব হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২২টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ জনকে। পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার পর্যন্ত আশুলিয়া, গাজীপুর ও উত্তরায় ১৩৭ পোশাক কারখানায় বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে পোশাক শিল্প মালিকদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় দেশের সব পোশাক কারখানায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং কারখানার গেটে নিয়োগ বন্ধের নোটিশ টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।


আরও খবর
চার মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৪.৩৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




শীত নামবে কখন, যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী দেশে শীতকাল আসতে এখনো ১০ দিন বাকি। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আরও আগে থেকেই ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় এখনো তেমন ঠান্ডা অনুভব হয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বরের চেয়ে এ বছরের নভেম্বর মাস অনেকটা উষ্ণ ছিল। ডিসেম্বর মাসেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

অন্যদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দ্রুতই দেশে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। এ মাসে আবার মাঝারি আকারে শৈত্যপ্রবাহেরও আশঙ্কাও আছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম-এর প্রভাবে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশ মেঘলা রয়েছে। ঢাকার কোনো কোনো এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে সকালে। দেশের অন্যত্রও বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, আগামীকাল (বুধবার) বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। রাজধানীতেও কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। এই মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি চলে যাওয়ার পরই তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তাতে শীত অনুভূত হবে অপেক্ষাকৃত বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ সারা দেশেই আকাশ কমবেশি মেঘলা থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার বৃষ্টি বাড়তে পারে।

আজ সকাল সাড়ে ৭টায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর থেকে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সোমবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ডে ৩১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর