আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সব মহাসড়কে টোল আদায়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ দেশের বড় সড়কগুলোতে টোল আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এই নির্দেশ দেন। সভা শেষে সাংবাদিকের সামনে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের এমন মনোভাব সবকিছুর সেবা চাই কিন্তু পয়সা দিতে রাজি না। বিশেষ করে যাদের পকেটে পয়সা আছে, তারা দেয়ই না। এটা আমাদের কালচার, এ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। প্রধানমন্ত্রী চান, সড়ক যেগুলো নির্মাণ করছি বড় বড়, এগুলোতে টোল আদায় করবো।

মন্ত্রী জানান প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই টোল আদায় করে শুধু সরকারের রাজস্ব আদায়ের জন্য নয়, ইয়ারমার্ক একটা অ্যামাউন্ট থাকে। যাতে করে ওই সড়কগুলোর মেরামতে এই টাকা ব্যয় করা যায়।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের যখন ভাল সময় আসে, দেশের মানুষ যখন ভালো থাকে, যখন মানুষের জীবনের মান একটু উন্নত হয়, তখনই আঘাত আসার আশঙ্কা থাকে। এবারও সেটা মোকাবিলার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক উন্নত দেশ এখনো ভ্যাকসিন আনতে পারেনি। ভ্যাকসিন নিয়ে যখন গবেষণা হচ্ছে, যে জায়গায় গবেষণা হচ্ছে সেখান থেকে ক্রয় করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি আগাম টাকা দিয়েছি ভ্যাকসিনের জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন ভ্যাকসিন অনুমোদন দেবে তখনই আমরা যেন ভ্যাকসিন পেতে পারি সেই ব্যবস্থা করেছি, যেন দেশবাসীকে ভ্যাকসিন যথাসময়ে দিতে পারি এবং আমরা এ কাজ করতে সক্ষম হয়েছি।

আজকের একনেক সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা খরচে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পুনরায় মহাসড়কে টোল আদায়ের বিষয়টি বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা-সিলেটে যে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো থেকে আমরা টোল আদায় করব। এ ব্যাপারে আজকে আবারও বলেছেন তিনি (প্রধানমন্ত্রী)।


আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




স্বস্তির বৃষ্টির পর ফের চোখ রাঙাচ্ছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৃষ্টির কারণে সপ্তাহখানেক আবহাওয়া সহনীয় থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার থেকে আবারও তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এদিন রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ৪২ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এটি আজ বুধবার বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তার লাভ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও সিলেট বিভাগের ৩০ জেলা ও বিচ্ছিন্নভাবে ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহের নেত্রকোণা, চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, বরিশালের ভোলা ও পটুয়াখালীসহ ৪২ জেলাসহ ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এটি বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়াবে ও অব্যাহত থাকবে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরের সৈয়দপুরে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাছাড়া আজ সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

তাপপ্রবাহ সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, দেশের ৪টি বিভাগের পুরো অঞ্চল ও কয়েকটি বিভাগের প্রায় বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বইছে। কয়েক দিনের মধ্যে বাকি জেলাগুলোতেও তা ছড়িয়ে পড়বে। আগামী ১৯ মে, রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। এ সময় মৃদু বা মাঝারি মানের তাপপ্রবাহ হবে। এপ্রিলের মতো তীব্র বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হওয়ার আশঙ্কা নেই। দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি হলে মাঝারি, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি হলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

আজ বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে

গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন, তদন্ত হলেও সমাধান নেই

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২২ বছরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে ৩২ বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবার এর কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে সেসব তদন্ত প্রতিবেদন ও দুর্ঘটনা এড়াতে করা সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। ফলে নিয়মিত বিরতিতে আগুন লাগছেই। রবিবার (৪ মে) চাঁদপাই রেঞ্জের ছিলা এলাকায় আগুন লাগে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অগ্নিনির্বাপণে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, বনরক্ষী ও স্থানীয়রা।

অগ্নিকাণ্ড এড়াতে বিভিন্ন সময় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জোরালোভাবে তিনটি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ তিনটি হলো, সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ের সঙ্গে মিশে যাওয়া নদী ও খাল খনন, অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটার পরপর ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে নজরদারির ব্যবস্থা করা, চাঁদপাই রেঞ্জের ভোলা নদীর কোলঘেঁষে বনের পাশ দিয়ে কাঁটাতার অথবা নাইলনের রশির নেট দিয়ে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

সুন্দরবন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় তিনটি সুপারিশই বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে সুফল পাওয়া যাবে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।

সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৯০ একর বনভূমি। উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো ২০০২ সালের ২২ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের কটকাতে। ওই ঘটনায় পুড়ে যায় প্রায় এক একর ছন বন। এরপর ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ চাঁদপাই রেঞ্জের নাংলি ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় পুড়ে যায় তিন একর বনভূমি। একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আড়ুয়াবেড় এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় ৯ শতক ছন বন। ২০০৫ সালের ৮ এপ্রিল ধানসাগর স্টেশনের অধীন কদলতেজী এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় তিন একর বন। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর একই এলাকার তুলাতলায় পুড়ে যায় ৪.৫ একর বনভূমি। এরপর ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের তেরাবেকা এলাকায় আগুন লাগে। এর কিছু দিন পর ১১ এপ্রিল চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়ায়ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এর একদিন পর কলমতেজির টহলফাঁড়ির খুটাবাড়িয়া এলাকার দেড় একর, ১ মে নাংলির পঁচাকুড়ালিয়া এলাকার ৫০ শতক, তিন দিন পর ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২.৫ একর বনভূমি। ২০০৭ সালে ৩ দফায় (১৫ জানুয়ারি, ১৯ মার্চ ও ২৮ মার্চ) একই এলাকার প্রায় ১৫ একর বনভূমি পুড়ে যায়। ২০১০ সালের ২০ মার্চ ধানসাগর স্টেশনের গুলিশাখালী এলাকায় প্রায় পাঁচ একর বন পুড়ে যায়। পরে ২০১১ সালের মার্চ মাসে দুই দফা বনে আগুন লাগে। এতে প্রায় সাড়ে তিন একর বন পুড়ে যায়। প্রায় ১০ একর বনভূমি পুড়ে যায় ২০১৪ সালের ২৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ডে। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকার আগুন লাগে। ১৩ এপ্রিল একই এলাকায় ফের আগুন লাগে। পুড়ে যায় ৮.৫ একর বন।

১৮ এপ্রিল আব্দুল্লাহর ছিলায় এবং ওই বছরের ২৭ এপ্রিল তুলতলার বিলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের ২৬ মে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় আগুন লাগে। ২০২১ সালের গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুড়েছে দানসাগর টহল ফাঁড়ি এলাকার প্রায় চার শতক বনভূমি।

প্রতিটি আগুন লাগার ঘটনার পরে আগুনের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও পরে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে সুপারিশসহ রিপোর্টও পেশ করে। তবে সেসব রিপোর্টের প্রতিফলন বাস্তবে দেখা যায় না।

জানা গেছে, শুধু আগুনেই পুড়ছে না সুন্দরবন। বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদই ধ্বংস করে চলছে প্রতিনিয়ত একশ্রেণির চক্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিং আর জেলে-বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বাঘ, হরিণ হত্যাসহ বনের সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। এই অবস্থার মধ্যে অক্সিজেনের অফুরন্ত ভাণ্ডার দেশের ফুসফুসখ্যাত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনে আয়তন ছিল বর্তমানের দ্বিগুণ। কমতে-কমতে বর্তমানে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন এখন দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। যা দেশের সংরক্ষিত বনভূমির সর্বমোট ৫১ ভাগ। ২৪ ঘণ্টায় দুবার সমুদ্রের জোয়ারের লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয় সুন্দরবন।

সংরক্ষিত এই বনের তিনটি এলাকাকে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ইউনেসকো ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে। বর্তমানে যা সমগ্র সুন্দরবনের ৫২ ভাগ এলাকা। এখানে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুরসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদরাজি রয়েছে। এ ছাড়া ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, লোনা পানির কুমির, গুইসাপ, কচ্ছপ, ডলফিন, অজগর, কিংকোবরাসহ ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৩১৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে।

সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তর জলাভূমিও। সুন্দরবনের জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৪ দশমিক এক বর্গ কিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের ৩১ দশমিক ১৫ ভাগ। ১৯৯২ সালে সমগ্র সুন্দরবনের এই জলভাগকে রামসার এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া সুন্দরবনের সমুদ্র এলাকার পরিমাণ এক হাজার ৬০৩ দশমিক দুই বর্গ কিলোমিটার।

এই জলভাগে ৪৫০টি ছোট-বড় নদী ও খালে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মলাস্কা ও এক প্রজাতির লবস্টার।

ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে হারিয়ে গেছে এক প্রজাতির বন্য মহিষ, দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গণ্ডার, এক প্রজাতির মিঠা পানির কুমির।

করোনাকালে গোটা সুন্দরবনে সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড অ্যালার্ট জারি করে পর্যটক, জেলে-বনজীবীদের বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বন অধিদফতর। এই নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যেও হুমকিতে পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকে আগুন থেকে রক্ষা করার জন্য বনে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য রোধে বনরক্ষীদের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। অসাধু বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল কবির বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা বনজীবীদের বিড়ি সিগারেটের আগুনে অনেক সময় আগুন লাগে। এ জন্য আমরা বনজীবী ও স্থানীয়দের সচেতন করেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মতে ওয়াচ টাওয়ার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাঘ, হরিণ হত্যার পাশাপাশি খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও আগুন দস্যুদের হাত থেকে সুন্দরবন রক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিংসহ সব ধরনের পাহারা জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর



খারকিভে রুশ হামলা: নিহত ৩, আহত ২৮

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে বোমা হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা বাহিনী। এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মে) এই হামলা হয়েছে। একটি টেলিগ্রাম পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন শহরটির মেয়র ইহর তেরেখভ।

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অঞ্চলটির বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া।

শহরটিকে রাশিয়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এদিকে, ইউক্রেনে ২৭ মাস ধরে চলা যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন।


আরও খবর



কানাডায় শিখনেতা হত্যাকাণ্ডে তিন ভারতীয় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা মনদীপ মুকের। খবর বিবিসি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তারা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বাইরে আরও অনেকেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তাই সামনে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।

২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে খুন হন নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে কানাডা। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিজ্জর। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন- এমন অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল ভারত। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন নিজ্জরের সমর্থকেরা। তাদের ভাষ্য, খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে থাকায় একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন নিজ্জর।

গত শতকের সত্তরের দশকে ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ শুরু করেন দেশটির শিখ সম্প্রদায়ের অনেকে। ওই বিদ্রোহের জেরে সে সময় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এরপরও কয়েক দশক ধরে ওই বিদ্রোহের রেশ থেকে যায়। বর্তমানে ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে পাঞ্জাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিখেরা।


আরও খবর



বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক, টাকা চেয়ে চিরকুটে নম্বর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। শুধু তাই নয়, মিটার চুরি করে সেখানে আবার বিকাশ নম্বর লিখে যাচ্ছেন চোররা। বিকাশে টাকা ঢুকলেই ফেরৎ দেওয়া হচ্ছে মিটার। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুবিধাভোগীরা।

সোমবার (১৩ মে) রাতে ধনবাড়ী পৌরসভার চালাষ এলাকা থেকে দুটি রাইস মিলের মিটার চুরি করে নিয়ে কাগজে ফোন নম্বর রেখে যায় চক্রটি।

ভুক্তভোগীরা জানান, আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতির কারণেই দিন দিন এই মিটার চুরির ঘটনা বেড়েছে। এতে করে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মানুষদের মাঝে মিটার চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিটার চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল ব্যবস্থা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দাবি ভুক্তভোগীদের।

এ বিষয়ে ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) ইদ্রিস আলী বলেন, অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর