আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

সব জেলা রেলের আওতায় আসবে : সংসদে রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সংসদে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, দেশের সব জেলাকে পর্যায়ক্রমে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে এখন পর্যন্ত ৮৯টি প্রকল্পের মধ্যে দশটি বাদে সবগুলো প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপির অর্থায়নে ৩৬টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ৩টি কারিগরিসহ ৩৯টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত আছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির এমপি ব্যরিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। জন-সাধারণকে স্বল্প খরচে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবহন সেবা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্তমান সরকার রেলকে ঢেলে সাজিয়ে নাগরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের সব জেলাকে পর্যায়ক্রমে রেল সংযোগের আওতায় নিয়ে আসা হবে। রেলওয়ের যাত্রীসেবার মান উন্নয়ন এবং যাত্রীদের সুবিধাদি বাড়ানো হয়েছে।

সংসদে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ, ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরে ডাবল লাইনে উন্নীত করার কাজ শুরু করা হয়। এর দুরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। তার মধ্যে ১১৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন বিদ্যমান ছিল।

তিনি আরো জানান, তিনটি প্রকল্পের আওতায় লাকসাম, চিনকিস্তানা সেকশনে ৬১ কিলোমিটার, টঙ্গী-ভৈরব বাজার সেকশনে ৬৪ কিলোমিটার এবং ভৈরব দ্বিতীয় তিতাস সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ছয় কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ সমাপ্তি হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের ৩২১ কিলোমিটারের মধ্যে ২৪৯ কিলোমিটার রেলপথে ডাবল লাইনে নিয়মিত ট্টেন চলছে।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে লরিচাপায় এক পরিবারের ৩ জন নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার (৩ মে) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর (৫৫), জহির (৩০) ও রাহেলা বেগম (৫০)। তাদের সবার বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত ২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



মেহেদির রঙ গাঢ় করতে চান? জেনে নিন কৌশল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমাদের যেকোনো উৎসবের সঙ্গে মেহেদির সম্পর্ক প্রগাঢ়। মেহেদি পরতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। তাদের ঈদের কেনাকাটায় যে জিনিসগুলো না হলেই নয় তার মধ্যে একটি হলো মেহেদি। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে নারীর হাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায় যেন। তবে অনেকে মেহেদি দেওয়ার পর মনের মতো রং আসে না বলে মন খারাপ করেন। কিছু উপায় মেনে চললে মেহেদির রঙ গাঢ় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মেহেদির রঙ গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার। মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রঙ গাঢ় হবে, সেইসঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।

মেহেদি ব্যবহারের আগে হাত-পা শেভ কিংবা ওয়াক্স করবেন না। ফলে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পরে ওই ত্বকে মেহেদি ব্যবহার করলে গাঢ় রং পাওয়া যায় না। মেহেদি লাগানোর অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন আগে এসব কাজ সম্পন্ন করুন।

মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দুটি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধান থাকুন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।

গাঢ় রং পেতে উৎসব বা অনুষ্ঠানের অন্তত ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টা আগে মেহেদি ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখুন। তাহলেই পাবেন গাঢ় রং।

সরিষার তেল ব্যবহার করুন মেহেদির স্থানে। তারপর একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি ঢেকে ঘুমিয়ে পড়ুন রাতে। সকালে দেখবেন মেহেদির রং অনেকটাই গাঢ় হয়েছে।

মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রঙ পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখে ডলবেন না।

অন্যদিকে সাবান পানি দিয়ে কখনো মেহেদি তুলবেন না। এমনকি মেহেদি তুলে ফেলার পরও কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ওখানে পানি লাগাবেন না।


আরও খবর



সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতে আসছে ‘মিস এআই’

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ। ধীরে ধীরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটির ব্যবহার শুরু হচ্ছে। এবার এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি নারীদের নিয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। মূলত বিশ্বব্যাপী এআই ক্রিয়েটরদের সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।

পুরস্কার হিসেবে মিস এআই বিজয়ীকে দেয়া হবে নগদ ৫ হাজার ডলার। প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে মোট ২০ হাজার ডলারের পুরস্কার থাকছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিতরণের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি এখনও। তবে ১০ মে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার দিনই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন। বিশ্বের কোনো দেশের ক্রিয়েটররা তাদের এআই মডেলের নাম লেখাতে পারবেন মিস এআই প্রতিযোগিতায়। তবে অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি থাকতে হবে।

জানা গেছে, ফোবর্স দ্বারা হাইলাইট করা মিস এআই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। ফ্যাশন বৈচিত্র্য এবং এআই উৎপাদিত পুরুষ মডেলের মতো বিভিন্ন থিম থাকছে। তবে এআই জেনারেটেড নারী মডেলদের উপরই বিশেষভাবে ফোকাস করা হয়েছে। এআই টুলের মাধ্যমে তৈরি মডেল হতে হবে। সফটওয়্যার ব্যবহারে কোনো বিধিনিষেধ নেই। জনপ্রিয় টুলগুলোর মধ্যে ওপেনএআই এর ডাল-ই ৩ মিডজার্নি এবং কপিলট ডিজাইনার অন্তর্ভুক্ত।

তবে প্রতিযোগীদের ৩টি গুণের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সৌন্দর্য, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সামাজিক প্রভাব। সৌন্দর্যের মধ্যে ব্যবহার, বাগ্মিতা এবং কঠিন প্রশ্নের ঝটপট উত্তর দেওয়ার মতো দক্ষতা আছে কি না দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রম্পট থেকে আউটপুট তৈরির ক্ষমতা সহ এআই ব্যবহারের নির্মাতাদের দক্ষতা বিচার করবেন বিচারকরা।

সামাজিক প্রভাব ডিজিটাল বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। নির্মাতারা কতটা দর্শক টানতে পারেন, তাদের ব্যস্ততার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে তাদের উপস্থিতি দেখা হবে। এই বিভাগগুলোতে পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে সামগ্রিক স্কোর পাবেন প্রতিযোগীরা।

প্রতিযোগিতায় চারজন বিচারক থাকছেন। এর মধ্যে রয়েছেন এআই ইনফ্লুয়েন্সার আইতানা লোপেজ ও এমিলি পেলেগ্রিনি-র সঙ্গে উদ্যোক্তা অ্যান্ড্রু ব্লচ এবং সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিচারক স্যালি-অ্যান ফসেট।


আরও খবর



শেষ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় গতকাল যানবাহনের ঢল থাকলেও আজ অনেকটাই চাপশূন্য ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে এই পথে যানবাহনের ক্রমাগত উপস্থিতি থাকলেও নেই কোনো জট কিংবা গাড়ির সারি। এতে অনেকটাই ভোগান্তিহীন স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

সকালে দেখা যায়, মাওয়া টোলপ্লাজায় ৭টি বুথের মধ্যে ৬টি দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন পাড়ি দিচ্ছে সেতু। মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে অপর একটি নির্ধারিত টোলবুথ। টোলপ্লাজায় আসা মোটরসাইকেল পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে টোল প্রদান করে সেতুতে উঠছে। তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ছাড়া উঠতে দেওয়া হচ্ছে না সেতুতে।

গাড়ির উপস্থিতি তেমন না থাকায় টোল প্রদানে খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে। মূলত এতদিন ছুটি না পাওয়া ও নানা কারণে রাজধানীতে থেকে যাওয়া মানুষরাই মূলত এখন বাড়ি ফিরছে। শেষ সময়ে জট কম থাকে এমন অভিজ্ঞতা থেকেও এখন বাড়ি ফেরার কথা বলেছেন যাত্রীরা।

খুলনাগামী যাত্রী শাহিন রেজা জানান, গতকাল জেনেছিলাম পথে অনেক যানজট, তাই রওনা হইনি। আজ ফজরের নামাজ পড়েই রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ পথে কোনো যানজট পাইনি। সুন্দর সড়কের কারণে স্বল্প সময়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যেতে পারছি।

আরেক যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, বেসরকারি একটি কোম্পানিতে কাজ করি। ছুটি পাইছি গতকালকে। কিন্তু যেতে পারি নাই, তাই আজ বাসায় যাচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে একটা দিন অন্তত আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে। সকাল সকাল রওনা হয়েছি যেন ভোগান্তিতে না পড়ি, এসে দেখলাম রাস্তা আজ অনেকটাই ফাঁকা।

এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আয় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। যা একদিনে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতু কর্তৃপক্ষ ও ট্রাকিফ পুলিশের কাজ করার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। রবিবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে বনরক্ষী-ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

শুরুতেই নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেন। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানি সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপপরিচালক মামুন আহমেদ জানান, সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে আজ সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।

এদিকে আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর