টলিউড অভিনেতা জিৎ। অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক
ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) এই অভিনেতার জন্মদিন।
টলিউডের আরেক অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জির ছোটবেলার ক্রাশ ছিলেন জিৎ। বিশেষ এই
দিন উপলক্ষে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে সায়ন্তিকা বলেন,
‘বহু বছর আগের
কথা। আমি তখন স্কুলে পড়ি। শুনেছিলাম কোনো এক নতুন নায়কের সিনেমা এসেছে। নাম ‘সাথী’। মা-বাবাকে রাজি
করিয়ে ছুট দিলাম প্রেক্ষাগৃহে। সেই সময়ে ঝাঁ চকচকে মাল্টিপ্লেক্স ছিল না। ছিল না কাউন্টার
থেকে ভেসে আসা ক্যারামেল পপকর্ণের মিষ্টি গন্ধ। কাঠের শক্ত চেয়ারে বসে আলো-আঁধারি হলের
পর্দায় প্রথম দেখেছিলাম জিৎদাকে। সেই যে দেখলাম আর প্রেমে পড়ে গেলাম। ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট
সাইট’। সেই প্রেম রয়েই
গেল। তখনো কি জানতাম এই মানুষটার সঙ্গেই একদিন সিনেমা করব? তারই নায়িকা হবো?’
‘আওয়ারা’ সিনেমায় প্রথম
জিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সায়ন্তিকা। সিনেমাটিতে যুক্ত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা
করে এই অভিনেত্রী বলেন—‘২০১২ সালে ‘আওয়ারা’ সিনেমায় জিৎদার
নায়িকা হলাম। মানে সুপারস্টার জিতের নায়িকা। তার আগেও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম।
ক্যামেরার সঙ্গে আলাপটা মোটামুটি হয়েই গিয়েছিল। কিন্তু প্রিয় নায়কের বিপরীতে কাজ করব
ভেবেই ভয়ে-আনন্দে হাত-পা যেন অবশ হয়ে যাচ্ছিল। এই সিনেমায় কাজের প্রস্তাব হঠাৎ করেই
এসেছিল! আচমকা একদিন মহেন্দ্র সোনি আর শ্রীকান্ত মোহতা ফোন করে বললেন, তারা একটি সিনেমার
বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমিও সাত-পাঁচ চিন্তা না করে হায়দরাবাদের বিমানে উড়ে
গেলাম। সেখানেই রবি স্যার (রবি কিনাগি, সিনেমার পরিচালক) আমার পরীক্ষা নেন। কিছুক্ষণের
মধ্যেই জানতে পারি, আমি জিৎদার নায়িকা! তখন ঠিক কতটা খুশি হয়েছিলাম, তা এখনো বলে বুঝিয়ে
উঠতে পারব না।’
সিনেমাটিতে সায়ন্তিকা নেওয়ার বিষয়ে পরিচালককে
পরামর্শ দিয়েছিলেন জিৎ। সায়ন্তিকা বলেন, ‘পরে জেনেছি, জিৎদাই
নাকি আমাকে এই সিনেমায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন পরিচালককে। এই সিনেমা নিজেকে প্রমাণ
করার সুযোগ দিয়েছে। জিৎদার কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’