সাভারের জামগড়া ছয়তলা এলাকায় অবস্থিত দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে পিত্তথলির পাথর অপসারনের সময় মিজানুর রহমান (৩৬) নামের এক রোগীর মৃত্য হয়েছে। এঘটনায় হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছে স্বজনরা।
সোমবার বিকেলে উপজেলার জামগড়া ছয়তলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি মৃত্যুর আগেই ওই রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।
মৃত মিজানুর রহমান আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় হোটেল ব্যবসা করতেন। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাসিন্দা।
অভিযোগ করে মৃতের ছোট ভাই রিপন বলেন, পিত্তথলির অপারেশন করার জন্য আমার ভাই মিজানুর রহমানকে দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে গত রবিবার দুপুরে আড়াইটার দিকে ভর্তি করা হয়। এদিন রাত সোয়া ৮ টার দিকে পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য ডা. সাকিফ রহমান অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই ভাইয়ের বমি শুরু হয়। এরপর সকাল হতে না হতেই পেটের ব্যথা বৃদ্ধি পেলে নার্স পর পর তিনটা ইনজেকশন পুশ করেন। এরপর থেকেই ভাইয়ের চেহারা সবুজ হয়ে যায়। পরে আরেক ব্যক্তি এসে আরও দুইটা ইনজেকশন দেন। এর পরপরই ভাইয়ের নাক-মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে মারা যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে লাশ বের করে দিয়ে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। ভাইকে অন্য হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিফ রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। এমনকি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেন নি।
দি-ল্যাব এইড হাসপাতালের পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, আমাদের হাসপাতালে গতকাল এক রোগীর অপারেশন হয়েছে। তবে সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেছি। রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে অবস্থার অবনতি হয়েছিল।
এবিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা বলেন, রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি আমি জেনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল এই হাসপাতালে জরায়ুর অপারেশন করতে গিয়ে রহিমা আক্তার (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। অপারেশনে ভুলবসত মুত্রথলি কেটে অন্যত্র লাগিয়ে লাগানো হলে ৩৫ দিন পরে তিনি মারা যান।