ঈদযাত্রায় উত্তরবঙ্গমুখী যানবাহনের চাপে
সাভারের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে প্রায় ৪২ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মহাসড়কের
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে
পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায়
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের সাভার থেকে চন্দ্রা
পর্যন্ত আরিচা ও টাঙ্গাইলগামী লেনে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল
থেকে জিরাবো পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে৷
দেখা গেছে, বাস সংকটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে
কেউ কেউ স্বজনদের সাথে ঈদ করতে বাসের ছাদ, ট্রাক ও মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছেন৷ এ
ছাড়া যাত্রীরা দীর্ঘ যানজট অতিক্রম করে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন৷
আরও পড়ুন : যাত্রীর চাপ নেই গাবতলী বাসটার্মিনালে
পুলিশ জানায়, ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো
মানুষের চাপ ও ফিটনেসবিহীন বেশ কয়েকটি যানবাহন বিকল হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজামান রিপন
বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যাত্রীর
তুলনায় যানবাহন কম থাকায় অনেকেরই গন্তব্যে যেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে
গাজীপুর জেলার ট্রাফিক বিভাগকে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়দেবপুর থানা ও শ্রীপুর
থানা এরিয়া, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা-কালিয়াকৈর এরিয়া এবং কালিগঞ্জ-কাপাসিয়া
থানা এরিয়া। চন্দ্রা এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দুই শিফটে ২৪০ জন পুলিশ সদস্য
মোতায়েন করা হয়েছে। চালক-যাত্রীদের সচেতন করতে মাইকিং করছি, তাদের বুঝানোর চেষ্টা
করছি, তারা যেন যানজটের কারণ না হয়। চন্দ্রাসহ মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে
বিভিন্ন সচেতনতামূলক ব্যানার টানানো হয়েছে। ওইসব ব্যানারে ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়া
আছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীদের তৎপরতা রোধেও কাজ করছে
পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বরকতউল্লাহ
খান বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৩০০ ট্রাফিক পুলিশের
পাশাপাশি এপিবিএন সদস্য ও রোভার স্কাউট মোতায়েন রয়েছে।
তবে যানবাহনে ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়ে
তিনি বলেন, এ ধরনের খবর পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।