
সাভারের জাহাঙ্গীরনগর
ইউনিভার্সিটি এলাকা থেকে ছিনতাই করে পালানোর সময়, এক ছিনতাইকারী সহ দুই সহযোগীকে আটক
করে হাইওয়ে পুলিশ। ছিনতাইকারীদের আটক করতে জা'বি প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে
তড়িৎ অভিযান পরিচালনা করে। কিছুটা নির্জন হওয়ায় প্রায় সময়ে এই জায়গায় ছিনতাইয়ের
কবলে পড়ে সাধারণ পথচারী।
মঙ্গলবার (১৭
জানুয়ারি) রাত সারে ৮ টার দিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির
মহিলা হলের বাউন্ডারি দেওয়ালের পাশে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় ভুক্তভোগী ইঞ্জিন
মিস্ত্রি বাপ্পি ও দুলালের কাছ থেকে দুটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সহ ত্রিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে
নেয় ছিনতাইকারীরা। তারা সাভার থেকে আশুলিয়ার শ্রীপুরে রিক্সা করে বাসায় যাচ্ছিলেন।
ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি দেওয়াল টোপকে গাঁ ঢাকা দিলে। সংবাদ
পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনায় করে
এক ছিনতাইকারী সহ সহযোগী দুইজনকে আটক করে। আটকের পর ভুক্তভোগীরা এক ছিনতাইকারীকে সনাক্ত
করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত জীবন
(১৮), পিতা- আজিম,ধামরাই উপজেলার ঢাউটা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। সম্রাট, পিতা -আসাদ,রংপুর
জেলার ঢিমলা থানার স্থায়ী বাসিন্দা। সুমন, পিতা- শাহীন, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার
সুবর্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
তারা সবাই জাহাঙ্গীরনগর
ইউনিভার্সিটির পার্শ্ববর্তী এলাকা ইসলামনগর গ্রামে ভাড়া থাকে। এসময় জীবন ডিস ব্যবসা,
আজম ভ্যান চালক ও সুমন রিকশাচালক বলে পরিচয় প্রদান করে।
ভুক্তভোগী ইঞ্জিন
মিস্ত্রি দুলাল জানায়, তার ছোট বাচ্চাটি অসুস্থ হওয়ায় সাভারে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ির
পথে ফিরছিলেন। এ সময় জাহাঙ্গীরনগরের ডেইরিগেট পার হয়ে মহিলা হলের পাশে আসলে তিধ ছিনতাইকারী
তাদের ঘিরে ধরে। এবং দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাথে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে
নেয়। তৎক্ষণাৎ দুলালের সাথে থাকা অন্য ইঞ্জিন মিস্ত্রি বাপ্পি রাস্তার অপর সাইটে সাভার
হাইওয়ে থানায় দৌড়ে ঘটনাটি জানায়। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে হাইওয়ে থানা পুলিশ আসলে,
জাহাঙ্গীরনগর প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা
করে। এ সময় সন্দেহভাজন এক ছিনতাইকারী সহ দুই সহযোগীকে আটক করে ভুক্তভোগীদের সামনে
নিয়ে আসে জাবি প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশ। তখন আমরা একজন ছিনতাইকারীকে সনাক্ত করতে সক্ষম
হই।
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আজিজুল খোকন বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে ভুক্তভোগীদের একজন দৌড়ে এসে হাইওয়ে থানার গেটে বিষয়টি জানায়। অভিযোগ শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আমি সহ আমাদের ফোর্স উপস্থিত হই। এবং জাহাঙ্গীরনগর প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে তৎক্ষণাৎ অভিযান পরিচালনা করে দুর্বৃত্ত ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। পরে আটককৃত ছিনতাইকারীদের এনে ভুক্তভোগীদের সামনা সামনি করলে তারা একজন ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করে। বাকি দুইজন ওই ছিনতাইকারীদের সহযোগী বলে আমরা ধারণা করছি। তাদের জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসের ভিতরে একই সাথে পাওয়া গেছে। আটককৃতদের আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে আইনান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।