সাতক্ষীরায় ৫৩টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার
তিন দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, আসামিকে শনাক্ত
করা সম্ভব হয়নি। এতে প্রাণের আশঙ্কায় ভুগছেন প্রতিমাশিল্পী রঞ্জন কুমার পাল। তবে তাঁকে
সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি
গ্রামের পেশাদার প্রতিমাশিল্পী রঞ্জন কুমার পালের বাড়ির কারখানায় গত সোমবার রাতে প্রতিমা
ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় শতভাগ প্রস্তুত চারটি কালীমূর্তি এবং রঙপলিশের জন্য রাখা
আরও ৪৯টি সরস্বতী প্রতিমা ভাঙা হয়।
রঞ্জন পাল জানান, চারটি কালীপ্রতিমা গত
মঙ্গলবার ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। বাকিগুলো ৫ ফেব্রুয়ারি ডেলিভারি দেওয়ার কথা। ‘অর্ডার থাকলেও
কাজ করতে সাহস পাচ্ছি না’ বলেন তিনি।
রঞ্জন জানান, এ বিষয়ে সাতক্ষীরা থানায়
মামলা করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অপরাধীদের দ্রুত আইনের
আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান রঞ্জন।
প্রতিমাশিল্পী রঞ্জন বলেন, ‘এ ঘটনার পর হিন্দু
বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল এবং মানবাধিকারকর্মী
মাধব চন্দ্র দত্ত তাঁর সঙ্গে দেখা করে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ সময় তাঁরা ন্যক্কারজনক
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।’
সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকায় রঞ্জন পালের বাড়িতে
যেতে পারিনি। তবে আমার প্রতিনিধি দল সেখানে পাঠিয়েছি। তাঁকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার
আশ্বাস দিয়েছি। একই সঙ্গে পুলিশকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।’
জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো. গোলাম কবির বলেন, ‘মামলা রেকর্ড করেছি। এখন পর্যন্ত
কোনো আসামিকে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করতে পারিনি। তবে খুব শিগগিরই দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার
করা হবে।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে উল্লেখ করে
ওসি কবির বলেন, ‘রঞ্জন পালকে সব ধরনের নিরাপত্তা সহায়তা
দেওয়ার কথা জানিয়েছি।’