আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

শারুনের বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণচেষ্টা মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, করোনা ভ্যাকসিন জালিয়াতির মতো ভয়ংকর অপরাধে জড়িত চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। নিজ প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানী ঢাকায় এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এই মামলা করা হয় ( মামলা নাম্বার-১৫৫/২০২১)। ধর্ষণের ঘটনায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ মামলাটি করেন ভুক্তভোগী এক নারী। মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, শারুন চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ফেসবুকে যোগাযোগের একপর্যায়ে তাঁকে নিজের কম্পানিতে চাকরির প্রলোভন দেন শারুন। নির্দেশনানুযায়ী গত ২ নভেম্বর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে শারুনের কার্যালয়ে যান তিনি। অভ্যর্থনা কক্ষে যাওয়ার পর তাঁরে সরাসরি শারুনের কক্ষে পাঠানো হয়। সেখানেই জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শারুনের কক্ষে গিয়ে কাগজপত্র দেখাতে চাইলে শারুন এ সবের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে বলেন, কাগজপত্রের প্রয়োজন নেই, তুমিই যথেষ্ঠ। এ কথা বলে তাঁকে জড়িয়ে ধরে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করার চেষ্টা করেন শারুন চৌধুরী। এ সময় তাঁকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বুঝে তিনি শারুনের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তাঁকে ওই কক্ষের সোফায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শারুন। এ সময় তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। তাতে ব্যর্থ হয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তবে কোনমতে ওই কক্ষ থেকে প্রাণে বেঁচে ফেরেন তিনি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, এই মামলার আসামী শারুন বাদীনির সঙ্গে প্রতারণা করে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন, যা নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইনের ৯(৪)খ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। এ অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে তারা আদালতের দারস্থ হওয়ায় পরামর্শ দেয়। ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দাখিল করা হয়েছে। নাজমুল করিমের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার ঘটনা জানার পরে, তার দারা নির্যাতিত অনেক নারীই এখন মুখ খুলতে চাইছেন। কেউ কেউ মামলারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রামের পটিয়ার নাজমুল করিম চৌধুরী এর আগেও নানা বিতর্কিত কর্মকা-ের কারণে সমালোচিত। এর আগে তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি, বিনামূল্যে দেয়া সরকারি করোনা ভ্যানসিন জালিয়াতি করে বিক্রি, সুদের ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলাও আছে।  এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাজমুল করিমের বাবা বিচ্ছু সামশু টাইপ রাইটার মেশিন চুরি করে চট্টগ্রাম কারেগারে ছিলেন। এলাকার চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে পটিয়ার মানুষ ছিলো অতিষ্ট। সেই বিচ্ছু সামশুর ছেলে বাবার চেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। ব্যাংকার মোর্শেদ হত্যার নেপথ্যের কারিগর নাজমুল করিম এখন ছিনতাই, চাঁদাবাজি আর মাদক ব্যবসার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। চাকরি দেয়ার নামে নারীদের ধর্ষণ করতেও ছাড়ে না। এই কুলাংগারের বিচার না হলে সে সাধারণ মানুষের আরামের ঘুম হারাম করে ফেলবে। 

পটিয়ার কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, শুধু ঢাকাতেই নয়-চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রাম এবং পটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে শারুন চৌধুরী ফাঁদে ফেলে অনেক নারীর সর্বনাশ করেছেন। অনেকেই শারুন ও তার ক্যাডার বাহিনীর হুমকিতে মুখ খুলতেও ভয় পান। তবে ঢাকার নির্যাতিত নারীকে স্যালুট জানাই অন্তত সাহস করে শারুনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। শারুনের মতো ছিচকে সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবী করেন তারা।


আরও খবর



ট্রলের জবাবে যা বললেন রাশমিকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দফায় দফায় বিতর্কের মুখে পড়েছে রণবীর-রাশমিকার অ্যানিমেল ছবি। নারীবিদ্বেষীর তকমা মেলে। সম্প্রতি নেহা ধুপিয়ার একটি অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পর্দার গীতাঞ্জলি

তিনি বললেন, রণবীরের চরিত্র বিজয় তার বাবার জন্য যত দূর ইচ্ছে যেতে পারে। মাথার মধ্যে বিশৃঙ্খল চিন্তাভাবনা। ছবির শুটিংয়ের সময় এই কথাটা মাথায় গেঁথে নিয়েছিলাম আমি। এটা নিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। কারণ এই চরিত্রকে ঘিরেই গল্প। ছবির স্বতন্ত্রতা, পটভূমি ও প্রকৃত স্বাদ বজায় রাখার নিদর্শন এই ছবি। ছবি দেখার পর নারীবিদ্বেষী বা অন্য কিছু বলে লাভ নেই। ছবি যদি উপভোগ করে থাকেন তা হলে এই বিষয়গুলো বাদ দিন।

রণবীরের সঙ্গে তৃপ্তি ডিমরির সাহসী দৃশ্য, রাশমিকার অভিনয় এমনকি শারীরিক গঠন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দর্শকের একাংশ। নারীদের শারীরিক গঠন নিয়ে ট্রলিং সমর্থন করি না। আমার সংলাপ বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ট্রল করা হলে অসুবিধা নেই, বলেন রাশমিকা মান্দানা।

রাশমিকার হিন্দি সংলাপ নিয়েও দর্শকের সমালোচনার শিকার হন এই দক্ষিণী তারকা। তার কথায়, সেটে সবাই করবাচৌথের দৃশ্যটি পছন্দ করেছিল। কিন্তু প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়ার পর আমাকে ওই দৃশ্য নিয়ে ট্রল করা হয়। আমি কিন্তু ভেবেছিলাম, এই ৯ মিনিটের দৃশ্যটি আমি খুব ভালো করেছি। তা হলে কি আমি বুদবুদে বাস করছিলাম এতদিন? আমি জানি, আমি যা করছি সবই সুন্দর নয়। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে এই বিষয়টি আমি বুঝতে পারিনি। পরে যখন দেখলাম, ছবি মুক্তি পাওয়ার পর অধিকাংশ দর্শকের কাছে আমার এই দৃশ্যটি প্রশংসা পেয়েছে, তখন বুঝলাম প্রথম থেকে আমার ভাবনা সঠিক ছিল।


আরও খবর



আজ বিশ্ব পানি দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ওয়াটার ফর পিস বা শান্তির জন্য পানি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালনে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন পানি দিবস নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

জানা গেছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

পানি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোত্তম ব্যবহারই নিশ্চিত করতে পারে পানির সর্বজনীন ন্যায়ভিত্তিক বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা। পানি দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ওয়াটার ফর পিস সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পানি শান্তি কিংবা সংঘাত ঘটাতে পারে। পানির অসম বণ্টন বা দুষ্প্রাপ্যতা উত্তেজনা ও সংঘাত সৃষ্টি করে। সুষম পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

প্রতি বছর বিশ্ব পানি দিবস ঘিরে জাতিসংঘের বিশ্ব পানি উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে প্রত্যেকের পানি এবং পয়োনিষ্কাশনের অধিকার ও প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। দিবস পালনের মধ্যদিয়ে নিরাপদ পানির সংকট তুলে ধরা হয় এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে নিরাপদ পানি সংরক্ষণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।


আরও খবর



ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের ৩ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তত রয়েছে ইউরোপের ৩ দেশ। স্পেন, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় দেশটি হচ্ছে নরওয়ে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নিজেরা প্রস্তুত বলে জানায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। সূত্র: আল জাজিরা

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ডাবলিনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড শীঘ্রই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়, তবে স্পেন এবং আরও ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, স্পেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ারও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তার দেশও অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

সানচেজ বলেন, ইচ্ছুক দেশগুলো তাদের ঘোষণা দেবে যখন পরিস্থিতি উপযুক্ত হবে এবং তারা নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার সমর্থন করবে।

এর আগে ইউরোপের দেশ মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানিয়েছিল, তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সাথে মাল্টা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথভাবে এ ঘোষণা দেয় তারা।


আরও খবর



৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আগামী মাসে ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনা করছে আর্জেন্টিনা। মূলত রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই।

গত মঙ্গলবার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে আমেরিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরাম অব আমেরিকাসের ল্যাটাম ফোরামে দেওয়া এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন জাভিয়ের মিলেই।

চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের বাইরেও জনসাধারণের বিভিন্ন কাজ জব্দ করণসহ প্রাদেশিক সরকারের কিছু তহবিল বন্ধ করে দেওয়া এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ২ লাখেরও বেশি সামাজিক কল্যাণ পরিকল্পনা বাতিল করেছেন বলে জানান তিনি। মিলেই তার বক্তৃতায় দেশে ২৭৬ শতাংশ বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে মজুরি এবং পেনশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান।

বর্তমানে আর্জেন্টিনায় প্রায় ৩৫ লাখ সরকারি কর্মচারী আছে। এর মধ্যে ৭০ হাজার ছাঁটাই করা হলে তা হবে খুবই সামান্য। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এরই মধ্যে কর্মচারীদের সংগঠন ধর্মঘটে গিয়েছিল। ফলে মিলেই সরকার যদি আরও কর্মচারী ছাঁটাই করতে চান, তাহলে ধারণা করা হচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলো থেকে আরও বাধার মুখোমুখি হবেন।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ডানপন্থী উদারবাদী রাজনীতিবিদ মিলেই। নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মিলেই আর্জেন্টিনায় নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনার ঘোষণা দেন তিনি।

নির্বাচনের আগে মিলেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতিকল্পে বেশ কিছু পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অর্থনৈতিক শক থেরাপির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে-কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া, মুদ্রা হিসেবে পেসোকে বাতিল বা সংস্কার করা এবং সরকারি ব্যয় কমানো। তার এসব প্রতিশ্রুতি অর্থনৈতিক কারণে সংক্ষুব্ধ থাকা ভোটারদের অনুরণিত করেছিল, যা তার জয়ের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।


আরও খবর



একশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া নীলগাইয়ের দেখা মিলছে বাংলাদেশে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুসারে নীলগাইকে বিপদগ্রস্ত (থ্রেটেনড) হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। কারণ ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তানে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে প্রাণীটি। কিন্তু বাংলাদেশে নীলগাইকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় একশ বছর আগে।

২০২৩ সালের একটি গবেষণায় বাংলাদেশের গবেষকেরা ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারত এবং নেপাল থেকে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নীলগাই প্রবেশের ১৩টি ঘটনা চিহ্নিত করতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সংগ্রহ করেন।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে একসময় প্রচুর নীলগাই ছিল। ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গা নদী প্রাকৃতিক বাধা হিসেবে কাজ করার কারণে তারা সহজেই আর পূর্বদিকে অগ্রসর হতে পারত না। বর্তমান দিনাজপুর ও রংপুর জেলার শালবন ও প্লাবনভূমিতেও একসময় এ প্রাণীটির প্রাচুর্য ছিল।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গ্রামীণ এলাকায় এশিয়ান অ্যান্টিলোপ হরিণের সবচেয়ে বড় প্রজাতি নীলগাই ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে। এর পরে আর ফিরে যাওয়া হয়নি এটির। গ্রামবাসীরা নীল ষাঁড় হিসেবে পরিচিত নীলগাইয়ের খবর জানতে পেরে প্রাণীটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। উত্তেজিত গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ভিড় করে নীল ষাঁড়টিকে জবাই করে। পরে পশুটির মাংস ভাগ করে খেয়ে ফেলা হয়।

বৈশ্বিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ আইইউসিএনের এক কর্মকর্তা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত শিকারের পাশাপাশি উপযুক্ত আবাসস্থল ধ্বংসের ফলে বাংলাদেশে নীলগাইয়ের স্থানীয়ভাবে বিলুপ্তি ঘটেছে। কিন্তু এখন আবার নীলগাইয়ের তার আবাসস্থলে ফিরে আসা এটা ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশে আবারও এই প্রজাতি বাসস্থান তৈরি করতে পারে। যদি নীলগাই আবার ফিরিয়ে আনা হয়, তবে মানুষকে শিকার করতে এবং ষাঁড় ভেবে না খেতে শিক্ষামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: নীলগাই

আরও খবর
আজ বিশ্ব পানি দিবস

শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪