আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

শারীরিক সম্পর্কে অতিষ্ঠ হয়ে ডায়নাকে খুন করেন শোয়েব

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগ এলাকায় তৃতীয় লিঙ্গের মাকসুদুর রহমান ডায়না (৪৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। জবানবন্দীর বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, শারীরিক সম্পর্কে অতিষ্ঠ হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন শোয়েব আক্তার লাদেন নামে এক যুবক।

পুলিশ জানায়, ৪৮ বছর বয়সী ডায়নার মরদেহ নিজ কক্ষেই ১১ দিন পড়েছিল। ২৭ আগস্ট বিকেলে গোলাপবাগের একতলা বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ডায়নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার (২৯ আগস্ট) শেরপুরের নালিতাবাড়ি থেকে লাদেনকে গ্রেফতার করা হয়। যিনি মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। 

বুধবার (৩১ আগস্ট) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জিয়াউল আহসান তালুকদার।গ্রেফতারের পর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীর ভিত্তিতে তিনি বলেন, ১৬ আগস্ট এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বাড়ির ফটক টপকে পালিয়ে যান লাদেন।

ডায়নার ছয় ভাই বোন সবাই আমেরিকার নাগরিক এবং ডায়না নিজেও আমেরিকান নাগরিক। দুই বছর আগে তিনি দেশে এসে ওই বাসায় বসবাস শুরু করেন। তাই বাংলাদেশে তার কাছের কোনো স্বজন ছিল না।

জিয়াউল আহসান বলেন, ডায়নার এক ফুফাতো ভাইয়ের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তার ওই ফুপাতো ভাই ডায়নার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। তিনি পুলিশকে খবর দেন। 

হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ডায়নার বাসায় কাজ করতেন লাদেন। যখনই প্রয়োজন হতো, তখনই ডায়না তাকে ডাকতেন। এভাবেই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ডায়না বাসায় একাই বসবাস করতেন, তিনি সমাজের কারো সঙ্গে মিশতেন না। তবে কিছু তরুণ বয়সী ছেলে তার বাসায় মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করতেন।

ডায়না তৃতীয় লিঙ্গের জানিয়ে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের কিছু দিন আগে লাদেন বিয়ে করেন। বিয়ের পরও লাদেন এবং ডায়নার মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক চলতে থাকে। কিন্তু লাদেনের এই বিয়ে ও নতুন জীবনকে ডায়না কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না।

লাদেনও চাইতেন ডায়নার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে মুক্ত জীবনে ফিরতে। কিন্তু আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ডায়না লাদেনকে ছাড়তেন না। তিনি লাদেনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার বিনিময়ে অর্থ দিতেন।

১৬ আগস্ট শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে বাসার টেবিলে থাকা হাতুড়ি দিয়ে ডায়নার মাথায় আঘাত করেন লাদেন। মাথায় ও হাঁটুতে উপর্যুপরি আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় ফেলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।


আরও খবর



বোতলে ভরে বিক্রি হচ্ছে পৃথিবীর ‘বিশুদ্ধতম বায়ু’

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পৃথিবীর বাকি অংশে আর বুকভরে শ্বাস নেওয়ার উপায় নেই। বাতাসে মিশে আছে বিষ, রোজ ধুলো-ধোঁয়ায় ভরা সেই হাওয়া একটু একটু করে প্রবেশ করছে ফুসফুসে। অসুখ দানা বাঁধছে গোপনে। প্রতিদিন এই বিষাক্ত বায়ুতে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ক্লান্ত মানুষ এমন জায়গা খোঁজেন, যেখানে মিলবে নির্মল বাতাস। যন্ত্রসভ্যতার ধুলো নেই, গাড়ির ধোঁয়া নেই, নেই দূষণ। তেমন জায়গা কি আছে এখনো পুথিবীতে? হ্যাঁ আছে!

কোথায় সেই এই জায়গা? বিবিসির খবর অনুযায়ী, জায়গাটি অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত একটি উপদ্বীপ। নাম কেপ গ্রিম।

বিশুদ্ধ বাতাসের উপস্থিতির কারণে এই নির্জন জায়গাটি ক্রমশ পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কেপ গ্রিম পৃথিবীর শেষ প্রান্ত হিসেবে পরিচিত। মানুষের বাসস্থান থেকে জায়গাটি এতটাই দূরে যে, সেখানে গিয়ে পৌঁছানোই কঠিন।

বায়ুর গুণগত মান পরিমাপ করে এমন একটি সংস্থার রিপোর্টে দেখা গেছে, এই জায়গাতেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে দূষণমুক্ত বাতাস।

কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ড. অ্যান স্ট্যাভার্ট জানিয়েছেন, কেপ গ্রিম এয়ার মনিটরিং স্টেশনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পশ্চিমা হাওয়া বরফে ঢাকা দক্ষিণ মহাসাগরের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। সে কারণেই এখানকার বায়ু বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে পরিষ্কার।

এলাকাটি তীব্র হাওয়ার জন্য বিখ্যাত। সেখানে কখনো কখনো ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়। সেই বাতাস মূলত অ্যান্টার্কটিকা থেকে আসা পুরোপুরি দূষণমুক্ত বায়ু।

অ্যান স্ট্যাভার্ট জানিয়েছেন, বাতাসের গতি ও বাতাসের দিকনির্দেশের তথ্য ব্যবহার করে জানা গেছে, কেপ গ্রিমের অন্তত ৩০ শতাংশ বাতাসকে বিজ্ঞানীরা বেজলাইন বলে বিবেচনা করেন। অর্থাৎ, স্থানীয় বায়ুমণ্ডলীয় উপাদানগুলোর প্রভাব পড়ে না এই বায়ুতে।

কেপ গ্রিম বাদ দিলে হাওয়াইয়ের মৌনা লোয়া স্টেশন, ম্যাককুয়ারি দ্বীপ, অ্যান্টার্কটিকার কেসি স্টেশন এবং এনওয়াই-আলেসুন্ডের সালবার্ড শহরের বায়ুও অত্যন্ত পরিশুদ্ধ।

যারা কেপ গ্রিমে যেতে পারেন, তাদের কথা আলাদা। কিন্তু যারা পারছেন না? উন্মুক্ত পরিবেশে নির্মল বাতাসে প্রাণভরে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ কি তারা পাবেন না?

হ্যাঁ পাবেন! তাদের সেই সুযোগ করে দিচ্ছেন তাসমানিয়ার ব্যবসায়ীরা। তারা বোতলে ভরে কেপ গ্রিমের বিশুদ্ধ শীতল বায়ু বিক্রি করছেন বহির্বিশ্বের মানুষের কাছে। দূষিত বায়ুতে বুক বিষিয়ে ওঠা মানুষজন দিব্যি টাকা দিয়ে সেই বাতাস কিনছেন। একেকটি বোতলে থাকা বায়ুতে প্রায় ১৩০ বার শ্বাস নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।


আরও খবর



‘শেখ হাসিনার আমলে পদোন্নতি-পদায়নের জন্য নার্সদের আন্দোলন করতে হয়নি’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেখ হাসিনার শাসনামলে পদোন্নতি-পদায়নের জন্য কোনো নার্সদের আন্দোলন করতে হয়নি। তাই তাকে আবারও ক্ষমতায় আনার জন্য যার যার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার ( সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের -ব্লক অডিটোরিয়ামে এমএসসি ইন নার্সিং ২য় ব্যাচ এবং বিএসসি ইন নার্সিং ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসএসসি এমএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন তারা অত্যন্ত মেধাবী। তারা মেধা দিয়ে বাংলাদেশের নার্সিং পেশাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাতে পারবে। আমি আশা করি, যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিংয়ে অধ্যয়নরতরাই থাইল্যান্ড কেরালার নার্সদের মতো দক্ষ হয়ে উঠবে।

উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসায় ওতপ্রোতোভাবে জড়িত নার্সদেরও দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কর্মকর্তারা তাদের প্রশংসা করেছেন। যা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের আপনজন হলেন নার্সরা। অনেক রোগীর লোকজন হাসপাতালে আসেন না। আপনারা এসব রোগীকে একটু বেশি সময় দেবেন। আপনারা পরিবারের মতো একটু সময় দিলে তারাও আপনাদের জন্য দোয়া করবেন। এক কথায় রোগীদের নিজের পরিবারের মত সেবা দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিকিৎসকদের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে মর্যাদা দিয়েছেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের চিকিৎসা সেবা স্বাস্থ্যকর্মীদের পেশার মানোন্নয়নে নার্সদের তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, মেডিসিন অনুষেদর ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, গ্রাজুয়েট নার্সিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ডা. দেলোয়ারা বেগম, ডেপুটি নার্সিং সুপার শান্তি হালদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নওরীন নাহার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



যে ৩ খাবারে তারুণ্য ধরে রাখুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বয়স ত্রিশ পার হলেই ধীরে ধীরে ছাপ পড়তে শুরু করে আমাদের ত্বকে। তখন চোখের নিচ খানিকটা কুঁচকে যায় তো গালের চামড়ায় ঢিলে ভাব আসে। এরকম অনেক সমস্যারই সম্মুখীন হতে হয়। বয়স ধরে রাখতে অর্থাৎ ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে না দেওয়ার জন্য আমরা নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করি। তবে কেবল প্রসাধনী ব্যবহার বা রূপচর্চা করলেই হবে না। এর পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকেও।

তিন ধরনের বাদাম নিয়মিত খেলে পরিবর্তনটা টের পাবেন দ্রুতই। বয়স বাড়লেও তার ছাপ পড়বে না শরীরে। এই তিন বাদাম নিয়ম মেনে খাওয়ার পাশাপাশি বাদ দিতে হবে ভাজাপোড়া বা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার। এতে ত্বক ভালো রাখা সহজ হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বয়স আটকাতে চাইলে কোন ৩ বাদাম খাবেন-

কাঠবাদাম

কাঠবাদাম বয়স ধরে রাখতে জাদুর মতো কাজ করে। এই বাদামে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই। এটি আপনার ত্বককে সতেজ রাখতে কাজ করবে। বয়স বাড়লেও ত্বকে তার ছাপ পড়তে দেবে না। সেজন্য আপনাকে নিয়মিত সকালে ৫টি করে কাঠবাদাম খেতে হবে। বাদামগুলো আগের দিন রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন। এতে দ্রুতই উপকার পাবেন।

পেস্তা বাদাম

পেস্তা বাদামে রয়েছে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড নামক উপকারি দুটি উপাদান। এগুলো ত্বককে ভালো রাখতে কাজ করে। এই বাদামে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে। ত্বকের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধেও সাহায্য করে এটি। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত পেস্তা বাদাম খান। খালি পেটে এই বাদাম খেতে পারেন। তবে দিনে ৫-৬টির বেশি খাবেন না।

আখরোট

সুস্বাদু একটি বাদাম হলো আখরোট। ত্বক ভালো রাখার জন্য কাজ করে এটি। তবে এই বাদাম যে সকালেই খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। চাইলে দিনের যেকোনো সময়ই খেতে পারবেন আখরোট। এই বাদামে আছে প্রদাহরোধী ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে বাঁচায়। ত্বক সতেজ ও টানটান থাকে।


আরও খবর



বিকেলে নয়াদিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে। ফ্লাইটটি বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিল্লি যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিনই সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) - কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সংস্কৃতি বিনিময়, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় রুপি (দুই দেশের সাধারণ মানুষ)-এর মধ্যে লেনদেন সহজ করার বিষয়ে স্বাক্ষরিত হয়।

৯ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিন্ন ভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার শীর্ষক দুটি বক্তব্য রাখেন।

ওয়ান আর্থওয়ান ফ্যামিলি সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা তুলে ধরেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদকালে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিশ্ব নেতাদের কাছে উপস্থাপন করেন।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে এবার মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশসহ মোট নয়টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।


আরও খবর



ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে শ্রীলংকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে আজ পর্দা নামছে এশিয়া কাপের এবারের আসরের। ফাইনালে আজ মুখোমুখি ভারত-শ্রীলঙ্কা। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসের জন্য মাঠে নামেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দাসুন শানাকা। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে।

এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সবচেয়ে সফল দুই দল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ১৫ আসরের ১২টিতে ফাইনাল খেলেছে শ্রীলঙ্কা। যেখানে ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লঙ্কানরা। বিপরীতে ১০বার ফাইনাল খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। তারা শিরোপা জিতেছে ৭ বার। এই আসরের ফাইনালে নবমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছে এই দুই প্রতিপক্ষ।

গত আসরেও ফেভারিটের তালিকায় না থাকা লঙ্কানরা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছিল। সেবার তারা পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপার উৎসবে মাতে। এবারও বাবর আজমের দলকে হারিয়ে সুপার ফোরের যাত্রা শুরু করেছিল দাসুন শানাকার দল। পরবর্তীতে বাংলাদেশকে হারিয়ে তারা সর্বোচ্চ ১৩তম বারের মতো ফাইনালে পা রাখে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১তম বার ফাইনালে ওঠে ভারত। শেষ ম্যাচে তারা বাংলাদেশের কাছে ৬ রানে পরাজিত হয়।

ভারতের একাদশ : শুভমান গিল, রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, ঈশান কিষাণ, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

শ্রীলঙ্কার একাদশ : পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), দুনিথ ভেল্লালাগে, প্রমোদ মাদুশান, দুশান হেমন্থ ও মাথিশা পাথিরানা।


আরও খবর