ঘন কুয়াশার কারণে সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। তবে কুয়াশার প্রকোপ না কমায় আরিচা-কাজিরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে এখনও ফেরি চলাচল শুরু হয়নি। এর আগে শনিবার রাত ১টায় ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বিষিয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাত ১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। কুয়াশা কেটে গেলে আজ সকাল সাড়ে ৯টার ফেরি চলাচল শুরু হয়। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পারাপার হওয়া গাড়ির সংখ্যা কমে যাওয়ায় এখানে যাত্রীদের আগের মতো ভোগান্তি নেই।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার পর থেকে পদ্মা নদীর অববাহিকায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে সামান্য দূরের কোনোকিছু দেখা যায় না। এ সময় দৃষ্টিসীমা শূন্যে নেমে এলে রাত ১টার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো (বড়) ফেরি ভাষা শহীদ বরকত, গোলাম মাওলা, ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি বনলতাসহ পাঁচটি ফেরি মাঝ নদীতে আটকে পড়ে। ফেরি চারটিতে অন্তত শতাধিক যানবাহন ছিল। এ ছাড়া এই নৌপথে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ছয়টি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে একটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে পন্টুনে নোঙর করে রাখা হয়।
রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে চলাচল করা সৌহার্দ্য পরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাট তত্ত্বাবধায়ক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ফেরি বন্ধ হয়ে পড়ায় রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক জেলার অন্তত ৬০টির মতো যাত্রীবাহী বাস নদী পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে তাদের তিনটি বাস রয়েছে। এসব পরিবহনের কয়েক’শ যাত্রী কুয়াশা আর শীতে দুর্ভোগের শিকার হন।