আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সারাদেশে নিয়োগ পাচ্ছেন ৩৬ হাজার শিক্ষক

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচিতদের নিয়োগপত্র তুলে দিতে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্র ডাউনলোড করবেন। সুপারিশপত্রে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাকি প্রার্থীদের মধ্যে চার হাজার ১৯৮ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভি রোল ফরম না পাঠানো, নয়জনের প্রতিষ্ঠান সরকারীকরণ হওয়া, তিনজনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১০ নম্বর শর্ত ভঙ্গ করে মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে আবেদন করার কারণে নির্বাচিত হননি। ফলে বিভিন্ন কারণে মোট চার হাজার ২১০ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। যেসব প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি তাদের তালিকা এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

যেসব প্রার্থী ভি রোল ফরম পাঠাননি তাদের আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এনটিআরসিএ অফিসে সরাসরি অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে গত দুই বছর আগে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সুপারিশ করা হয়। পরে তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে দুই বছর সময়ক্ষেপণ করা হয়। বর্তমানে সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আগামীকাল (সোমবার) সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে দুই হাজার ৬৫ জন এবং এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষকের মধ্যে নিয়োগপত্র প্রদান করবেন। এ বিষয়ে ওইদিন দুপুর ২টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করবেন মন্ত্রী।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

মালয়েশিয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেকেন্ড হোম গড়েছেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশি। দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সেকেন্ড হোম গড়ার তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।

মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং দেশটির মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ) কর্মসূচির আওতায় সেকেন্ড হোম গড়া বাংলাদেশিদের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। দেশটির সংসদে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন তিনি।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি সেকেন্ড হোম গড়েছেন বলে জানিয়েছেন দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং।

সংসদে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে দাতুক সেরি তিয়ং বলেছেন, ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৫৬ হাজার ৬৬ জন সক্রিয় ‌‌সেকেন্ড হোম’ পাসধারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে অংশগ্রহণকারী পাসধারীর পাশাপাশি নির্ভরশীল পাসধারীও রয়েছেন।

গত ১১ মার্চ দেশটির সংসদকে তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ায় সবার শীর্ষে আছেন চীনের নাগরিকরা। দেশটিতে চীনের ২৪ হাজার ৭৬৫ জন নাগরিকের মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম পাস রয়েছে। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া; দেশটির এই সংখ্যা ৯ হাজার ২৬৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ হাজার ৯৪০ জন, জাপানের ৪ হাজার ৭৩৩ জন, বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬০৪ জন ও যুক্তরাজ্যের ২ হাজার ২৩৪ জন।

মালয় মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ছাড়া এই কর্মসূচিতে তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ভারতের এক হাজারের বেশি করে এমএম২এইচ পাসধারী আছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মালয়েশিয়ার সরকার সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে সংস্কার আনে। সেই সময় এই কর্মসূচিকে তিন স্তরে বিভক্ত করা হয়।

নতুন এই ব্যবস্থার আওতায় আবেদনকারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। দেশটির সরকার তখন বলেছিল, প্রাথমিকভাবে আবেদনের পর এমএম২এইচ কর্মসূচিতে পরীক্ষামূলকভাবে এক বছর থাকতে হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য শর্তাবলি পর্যালোচনা করে কর্মসূচিতে সমন্বয় করা হবে। নতুন ব্যবস্থায় আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩০ বছর কিংবা তার বেশি নির্ধারণ করা হয়।

তিন স্তরবিশিষ্ট ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আবেদনকারীদের আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে বিভক্ত করা। এই তিন স্তর হলো— প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার। নতুন নিয়মে প্লাটিনাম স্তরের আওতায় আবেদনকারীদের ৫০ লাখ রিঙ্গিত, গোল্ড স্তরে ২০ লাখ ও সিলভার স্তরে ৫ লাখ রিঙ্গিত স্থায়ী আমানত থাকতে হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া নির্বাচিত সব স্তরের অংশগ্রহণকারীদের বছরে মোট ৬০ দিন মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে হবে।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর



গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকা ১৩ জেলে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরের কুতুবিয়ায় গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে গত চারদিন ধরে ভাসতে থাকা একটি ফিশিং বোটের ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, চারদিন আগে ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া লাইট হাউস থেকে ৯ নটিকেল মাইল দূরে ভাসছিল ফিশিং বোট এফবি শিফা। পরে ভাসতে থাকা জেলেরা ৯৯৯ জরুরি সেবা নম্বরে যোগাযোগ করলে কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ সবুজ বাংলা জেলেদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড।

কোস্টগার্ড মিডিয়া সেলের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইতোমধ্যে উদ্ধার হওয়া জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং রাত ৮টার দিকে বোট মালিকের কাছে জেলেদের হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিবুতির উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাছাড়া উদ্ধার হওয়া ২২ জনকে সহযোগিতা করছে সংস্থার সদস্যরা।

আইওএম জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পর পূর্বাঞ্চলীয় ওই পথে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

এর আগে রবিবার (৭ এপ্রিল) তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ১৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড। উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হতাহতের ঘটনা নতুন নয়।

গ্রীষ্ম শুরুর এই সময়ে সাগরে অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগে ইউরোপ মুখে যাত্রা করা নৌকার সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড।


আরও খবর



পাকিস্তানে জানা গেল ঈদের সম্ভাব্য তারিখ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) সোমবার জানিয়েছে, ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন এবং ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর জিও নিউজের

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নতুন চাঁদের জন্ম ৮ এপ্রিল রাত ১১টা ২১ মিনিটে হবে এবং তার বয়স পরের দিন (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ১৯ থেকে ২০ ঘণ্টার মধ্যে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, সূর্যাস্তের পর ৫০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চাঁদ দেখা যাবে।

পিএমডি জানিয়েছে, ৯ এপ্রিল দেশের বেশিরভাগ অংশের আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তবে উত্তরাঞ্চলে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

সাধারণত সৌদি আরবের পরের দিনই বাংলাদেশ ও ভারতে ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। এই হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল-ফিতর উদযাপিত হতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পর পর ৩ মাস ২৯ দিনে হয় না। এবার রমজান ৩০ দিন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ফলে ঈদুল ফিতর হতে পারে ১১ এপ্রিল। ১১ এপ্রিলকে ঈদুল ফিতরের দিন ঠিক করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রমজান মাসের আগের ২ মাস ২৯ দিনে শেষ হয়েছিল। তাই এ মাস ২৯ দিনে হবার সম্ভাবনা খুবই কম, তাই ৯ এপ্রিল ছুটির প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছে।

এর আগে ১১ মার্চ পাকিস্তানে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছিল এবং পরের দিন পবিত্র মাসের প্রথম দিন বা প্রথম রোজা পালিত হয়। সুতরাং পাকিস্তানিরা ২৯ দিন রোজা পালন করবে যদি পিএমডির পূর্বাভাস সত্য হয়।

রমজান শেষ হলে এবং শাওয়াল শুরু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা ঈদুর ফিতর উদযাপন করেন। ধর্মীয় মাস রমজান ধৈর্য এবং আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করতে শেখায়, পাশাপাশি দাতব্য ও কল্যাণমূলক কাজে উৎসাহিত করে।


আরও খবর