আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

সারাদেশে বাড়তে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী তিনদিনে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এছাড়া আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে এবং রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।

শনিবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।


আরও খবর



ঢাকার বায়ু আজ সহনীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। তবে দূষণমাত্রার দিক থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১৩তম। রোববার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা জাকার্তার বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ১৭৮ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭৭ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।

সূচকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭৪। এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর। দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৩তম। রাজধানী ঢাকার দূষণমাত্রার স্কোর হচ্ছে ৯৯ অর্থাৎ এখানকার বায়ু মাঝারি মানের বা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর
ঢাকা ওয়াসার যৌথ ওয়ার্কশপ সম্পন্ন

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

বাস মালিক দ্বন্দ্বের জেরে রাজবাড়ী থেকে ঢাকা রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ আছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

জানা গেছে, ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া শ্যামলী পরিবহনের বাস রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে চলাচল নিয়ে রাজবাড়ীর বাস মালিক সমিতি আটকে দেয়। এর জেরে ঢাকার গাবতলীতে রাজবাড়ীর কোনো বাস ঢুকতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। আবার সেখান থেকে কোনো বাস আসতেও দিচ্ছে না। তাই রাজবাড়ী থেকে ঢাকা রুটের কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে রাজবাড়ী থেকে দেশের অন্য রুটের বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে। স্বাভাবিক আছে অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচলও।

সরেজমিনে রাজবাড়ীর মালিক সমিতি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা রুটে চলাচলকারী বাসের টিকিট কাউন্টার বন্ধ, নেই কোনো কাউন্টার মাস্টার। ঢাকার যাত্রীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন।

এদিকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের লোকাল পরিবহন বা বিকল্প উপায়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। এতে তাদের অতিরিক্ত সময় ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ঢাকামুখী যাত্রী লতিফ মন্ডল বলেন, রাত ১০টায় সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট। যে কারণে সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। বড়পোল এসে দেখছি ঢাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ। এখন কষ্ট করে মালপত্র নিয়ে লোকাল বাসে যেতে হচ্ছে।

এমএম পরিবহনের সুপারভাইজার স্বপন বলেন, ঢাকার বাস এভাবে মাঝে মধ্যেই বন্ধ থাকে। এতে যাত্রীদের পাশাপাশি আমরাও ভোগান্তিতে পড়ি। কাউন্টারে অসহায়ভাবে বসে যাত্রীদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। মালিক পক্ষ আমাদের কোনো বেতন ভাতা দেন না। দিনমুজুরি দেন। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে পরিবহন শ্রমিকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। আসলে ঢাকা ও রাজবাড়ীর বাস মালিক পক্ষে কিছু চাহিদায় এ সমস্যা হয়েছে। আর ভোগান্তি পোহাচ্ছে জনগণ।

রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিছু না জানিয়ে গাবতলী থেকে গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। রাজবাড়ীর গাড়ি থাকলেও কোন যাত্রী উঠতে দিচ্ছে না।


আরও খবর



বেতাগীতে এনসিটিএফ‘র জন্মদিনে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না, বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

Image

বেতাগীতে শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিল্ডেন ট্রাষ্ট ফোর্স (এনসিটিএফ) জন্মদিনে সাইকেল ও পায়ে হেঁটে শোভাযাত্রা, কেক কাটা, উত্তরীয় পড়ানো, আলোচনা সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রবিবার ৫ ঘটিকায় টেকনিক্যাল কলেজ মিলনায়তনে এনসিটিএফ সভাপতি খাইরুল ইসলাম মুন্নার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা এনসিটিএফ'র সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোসা মিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহামুদ পিয়লা, সদস্য সাইফুল ইসলাম রিয়াজ অন্যান্যরা।

এ সময় বাল্য বিয়ে, মোবাইল আসক্তি রোধ, ইভটিজিং, মাদক মুক্ত শহর, অধিকার রক্ষা ও শিশু উন্নয়নের কাঙ্খিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ও প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

বেতাগী উপজেলা এনসিটিএফ কে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় মধ্য থেকে পাঁচজনকে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।


আরও খবর



জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে দুদিনব্যাপী গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। হাজারো দর্শকের টানটান উত্তেজনার মধ্যেই বাইচের নৌকার মাঝিরা হাঁক দিলেন হেঁইয়ো রে হেঁইয়ো। টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে ফাইনালে ইসলামপুরের রকেট জয়ী হয়।

শুক্রবার ও শনিবার বিকালে জামালপুর শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন ঢাকাস্থ জামালপুর সমিতি।

দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে ব্রহ্মপুত্র সেতু থেকে ছনকান্দা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার স্থান জুড়ে নদের দুই পাড়ে এবং ব্রহ্মপুত্র সেতুতে হাজার হাজার দর্শক সমাগম ঘটে। বাইচে জামালপুরের মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী, ইসলামপুর ও পার্শ্ববর্তী শেরপুর জেলা থেকে বাংলার বাঘ, তুফান, মনিরাজ, দশের দোয়া, রকেট, বাংলার সম্রাট, দিগন্ত, ময়ূরপঙ্খীসহ নানা নামের ১৫টি নৌকা অংশ নেয়। শুক্রবার ছিল প্রথম রাউন্ড, বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয় বাইচ। ওইসব নৌকার মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৮টি নৌকা ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছায়। শনিবার ওই ৮টি নৌকা নিয়ে একই স্থানে ফাইনাল রাউন্ড হয়।

শুক্রবার বিকেলে উদ্বোধনী দিনে ছিল বাছাই পর্ব এবং শনিবার ছিল প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুদের মাঝে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে। এছাড়াও জেলার সাতটি উপজেলা থেকেই শত শত নৌকায় করেও অনেক দর্শককে নৌকা বাইচ উপভোগ করতে দেখা গেছে। নদের দুই পাড়ে খুদে ব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্ন খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির পসরা নিয়ে বসে। শনিবার বিকেলে চূড়ান্ত পর্বে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী নৌকা বাইচ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটে।

প্রতিযোগিতা শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি নৌকা বাইচে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী নৌকা বাইচ দলের মাঝে নগদ টাকা, মেডেল ও সনদপত্র বিতরণ করেন। প্রথমস্থান অধিকারী ইসলামপুরের নৌকা রকেট দল পেয়েছে নগদ দেড় লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান ইসলামপুরের সাজালের চরের নৌকা মনিরাজ দল পেয়েছে নগদ এক লাখ টাকা এবং তৃতীয় স্থান মেলান্দহ উপজেলার দক্ষিণ ঝাইগড়া গ্রামের একতা সংঘের নৌকা দল পেয়েছে নগদ ৫০ হাজার টাকা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, জামালপুর সমিতি, ঢাকার সভাপতি হাছান মাহমুদ রাজা, মহাসচিব গ্রুপ ক্যাপ্টেন অব: শেখ মো. শফিকুল ইসলাম, নৌকা বাইচ বাস্তবায়ন উপ-কমিটর সদস্য সচিব ক্যাপ্টেন (অব:) মো. শহীদুল ইসলাম ও আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম মৃনাল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা জিল্লুর রহমান শিপন প্রমুখ।


আরও খবর



আজ জাতীয় কন্যাশিশু দিবস

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। এবার বিনিয়োগে অগ্রাধিকার, কন্যাশিশুর অধিকার-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৩ ।

দিবসটি উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ৩০ সেপ্টেম্বর কন্যাশিশু দিবস উদযাপনে কর্মসূচি গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ে করে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপনের কর্মসূচি গ্রহণ ও প্রতিপাদ্য বিষয়টি ব্যাপক প্রচারের অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।

২০০৩ সালে কন্যাশিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩০ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, দেশকে সমৃদ্ধির সুউচ্চ শিখরে পৌঁছাতে একটি সুস্থ, সুন্দর, শিক্ষিত প্রজন্ম অপরিহার্য। সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময় থেকে শুরু করে শিশুদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, চিকিৎসা, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতের মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আজকের কন্যাশিশুর মধ্যেই সুপ্তভাবে বিরাজ করছে আগামী দিনের আদর্শ মা। তাই কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার প্রণয়ন করেছে বিভিন্ন আইন ও সুরক্ষা কার্যক্রম। ভবিষ্যৎ সুস্থ প্রজন্ম গড়ার প্রত্যয়ে কন্যাশিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। উপবৃত্তির সুযোগসহ যুগোপযোগী শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষাকে পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সমাজ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে কন্যাশিশুদের সম্পৃক্ত করায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ের কন্যাশিশুরা শিক্ষিত ও নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারি-বেসরকারি নানা পদক্ষেপের কারণে দেশে কন্যাশিশুদের শিক্ষার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাল্যবিবাহ ও যৌতুকের হার কমে এসেছে। কন্যাশিশুরা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে ঈর্ষণীয় সফলতা প্রদর্শন করছে। এছাড়া তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে জেন্ডার সমতায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন,  বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে কন্যাশিশু। নারী ও কন্যাশিশুর মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বাংলাদেশ এখন জেন্ডার সমতায় সারা বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তাই কন্যাশিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকার লক্ষ্যে উন্নত বিশ্বের সুদক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আসছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি নারী ও কন্যাশিশুদের উন্নয়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে জেন্ডার সম্পৃক্ত বরাদ্দের পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭ শত ৮৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৩৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং জিডিপির ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। বাজেটে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও ১৭টি বিভাগের জন্য পৃথক জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে, যা নারী ও কন্যাশিশুদের সার্বিক অধিকার রক্ষায় ব্যবহৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কন্যাশিশুদের কল্যাণে অবৈতনিক শিক্ষার প্রচলন, উপবৃত্তি প্রবর্তন, বিনামূল্যে বই বিতরণ, নারী শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করেছি। জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধিত) আইন-২০২০ এবং যুগোপযোগী বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আমাদের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বাল্যবিবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রীড়াঙ্গনেও আমাদের মেয়েরা ঈর্ষণীয় সাফল্য প্রদর্শন করছে। এর মূল কারণ কন্যাশিশুর প্রতিভা বিকাশে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি, তাদের জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও পৃষ্ঠপোষকতা।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছরের ১১ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস। এদিকে প্রতিবছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শিশু সপ্তাহ পালন করা হয়। এই শিশু সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস হিসাবে।


আরও খবর