আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

সার ও জ্বালানিতে শুল্ক কমানোর পরামর্শ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনা মহামারির রেশ কাটতে না কাটতেই বিশ্ব অর্থনীতির ঘাড়ে চেপে বসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। আমদানি ব্যয় বাড়লেও বাড়েনি রফতানি আয়। এর মধ্যে বাড়ছে ডলারের দামও। মূল্যস্ফীতি চলে যাচ্ছে লাগামের বাইরে। সরকারি বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, সারের দাম নিয়ে। পরিস্থিতির সামাল দিতে এসবে বাড়াতে হতে পারে ভর্তুকি। ভর্তুকি বাড়লে বাজেট ঘাটতিও বাড়বে। তাতে সমস্যা নেই বলে অভয় দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। এ পরিস্থিতিতে আমদানি করা সার ও জ্বালানির ওপর শুল্ক কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, দেশের সারের বাজারের অনেকটাই আমদানি নির্ভর। বছরে চাহিদা আছে ৬০ লাখ টনের। এর ৭০ শতাংশই সরকারি সংস্থার নির্ধারিত মূল্যে আমদানি ও বিক্রি হয়। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বেড়েছে কয়েক গুণ। আগের অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়ার দাম ছিল ৩২ টাকা। চলতি অর্থবছরে বেড়ে ৯৬ টাকা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ ঋণ বাবদ ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের মূল্য বাড়িয়ে সমন্বয় করা না হলে এই তিন খাতেই ভর্তুকি লাগবে ৫০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এদিকে, বিশ্ববাজারে এলএনজির দামও বেড়েছে। কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি গত বুধবার (১৮ মে) পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াও চলছে।

অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, সারের দাম বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।  অর্থ বিভাগের হিসাবে, মূল্য সমন্বয় না হলে আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি লাগবে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকি খাতে এটিই হবে সর্বোচ্চ। এ টাকা চলতি অর্থবছরের বরাদ্দের প্রায় দ্বিগুণ। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম ১৪ বছরের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ। প্রাকৃতিক গ্যাস ও সারের দামও রেকর্ড ছুঁয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সারের দাম বাড়ানো হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে কৃষি তথা খাদ্য উৎপাদনের ওপর। তাই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সারের দাম না বাড়লে বাজেটে বিপুল ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে। অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করলে বা ভর্তুকি দিলে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে সেটার ধারণা পেতে কাজ করছে অর্থ বিভাগ। অর্থ বিভাগের হিসাবে, নতুন বাজেটে গ্যাসের মূল্য সমন্বয় করা না হলে এলএনজি আমদানি ও প্রণোদনা প্যাকেজের সুদ মিলিয়ে ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ আছে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে যদি সারের মূল্য সমন্বয় করা না হয়, তবে কৃষি প্রণোদনা বাবদ ১৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে। কৃষি খাতে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকিতে বরাদ্দ ৯ হাজার কোটি টাকা। বিভাগটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দাম সমন্বয় না হলে আগামী অর্থবছরে ভর্তুকিতে যে পরিমাণ বরাদ্দ লাগবে, তার বেশিরভাগ যাবে এই তিন খাতে।

কর্মকর্তারা আরও জানান, দাম সমন্বয় করা হলে কত খরচ পড়বে এবং সমন্বয় না করা হলে খরচ কত পড়বে, তার হিসাব অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে দেওয়া হয়েছে। সরকার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তারা আরও জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই তিন পণ্যের কোনোটিরই দাম বাড়ানোর পক্ষে নন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ডলারের দামও বাড়ছে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। এমন সময়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস, সারের দাম বাড়ানো ঠিক হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষক তৌফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে সরকারের কাছে হয়তো দাম না বাড়ানোর বিকল্প পথ থাকবে না। তবে ভর্তুকি বাড়িয়ে জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার কৌশল ঠিক আছে। এই জটিল সময়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সারের দাম বাড়ানো ঠিক হবে না।


আরও খবর



হাজারীবাগে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাজারীবাগে টিনশেড বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার। তিনি বলেন, হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বস্তিতে আগুন লাগার খবর আসে বেলা ১২টার দিকে। খবর পেয়ে হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনের দুটি, লালবাগের দুটি, মোহাম্মদপুরের দুটি ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের একটি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলা: উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইরানে মিছিল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে সরাসরি হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিছিল করেছে শত শত ইরানি নাগরিক। দেশটির বিভিন্ন স্থানে এই মিছিল হয়েছে।

ইসরায়েলে চালানো হামলা উদযাপন করতে অনেকেই জড়ো হন তেহরানে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে। সেখানে বহু মানুষকে ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়। তাছাড়া ফিলিস্তিনিরে বড় একটি পতাকা নিয়ে অনেকেই জড়ো হন তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ারে।

প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিন স্কয়ারের কাছে মোটরসাইকেলের পেছনে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াচ্ছেন একজন। এ সময় একজন ডামি বুলেট হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

ইসরায়েলও হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, তেহরান হামলা শুরু করেছে।

ইরানের হামলা শুরু হওয়ার পরই তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। তবে ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অধিকাংশই ভূ-পাতিত করা হয়েছে। এঘটনায় এখনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই আহত হয়েছেন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। কেউ দায়ভার স্বীকার না করলেও এ হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান।


আরও খবর



তীব্র গরমে গাজীপুরে বেঁকে গেছে রেললাইন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে গেছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জের আড়িখোলা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আপ রেললাইনটি বেঁকে যায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত রেললাইন মেরামত কাজ শুরু করেছে।

পূবাইল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চলমান দাবদাহে অতিরিক্ত গরমে পূবাইল আড়িখোলা এলাকায় অন্তত ১০ ফুট রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরিপানা, কাঁদামাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ওই অংশ মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে গন্তব্যে চলে গেছে। এছাড়া ডাবল লাইনের অন্য একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



দেশের মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এভাবেই আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে।

বুধবার (১ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এটা শুধু বিএনপির সংগ্রাম নয়, এটা দেশের মানুষের অস্তিত্বের সংগ্রাম। অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে মে দিবস পালন করছি, যখন দেশটা দৈত্য-দানবের কবলে পড়ে সমস্ত কিছু তছনছ হয়েছে। আমাদের অগণিত নেতাকর্মী সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মে দিবসে দেশের সকল মানুষের কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, এখন আর চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের জেগে উঠতে হবে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনার অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন ও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আনব। এই হোক আজকের মে দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে৷ যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে৷ আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়৷ কিছু রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী অনবরত দেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না৷ বাংলাদেশ তো পেছাচ্ছে না৷ এগিয়ে যাচ্ছে৷ তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় বসে লুটপাট করতে পারছে না বলেই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় নেমেছে বিএনপি৷ বিএনপি এমন একটি দল, যাদের কোনো মাথামুণ্ডু নেই৷ তারা শুধু পারে অনলাইনে নির্দেশনা দিতে৷ ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে অপকর্ম করেছে, তা মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত না৷

ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা দলের কাছে আজ গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তারা কেনো বুঝছে না দেশবাসী এই নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে খুশি৷ জনগণের আস্থা আওয়ামী লীগ পেয়েছে, কারণ মানুষ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ তাদের উপকার করে৷

জনগণের আস্থা-বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর না পেরোতেই দেড় হাজার কোটি টাকা উপার্জন হয়েছে দেশের৷ এটাই তো প্রাপ্তি, বলেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে সবক দেয় বাংলাদেশকে৷ মার্কিন কোনো পুলিশের গায়ে কোনো রাজনৈতিক দল হাত তুললে, কী করতো সেখানতার পুলিশ? কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধীতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কি জুলুমটাই না করলো আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন৷ এর জবাব কী?

প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় গরম ছড়িয়ে পড়ছে৷ শিগগিরই বৃষ্টি হবে বলে আশা করছি৷ পহেলা আষাড় থেকে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ চালিয়ে যেতে হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা৷


আরও খবর