আজঃ সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সাপের শরীরে কীভাবে প্রাণঘাতী বিষ তৈরি হয়, কী বলছে বিজ্ঞান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সম্প্রতি দেশের অন্তত ২৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বিশেষ করে ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহীসহ পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় এই সাপের উপদ্রবের কারণে জনমনে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে দেশবাসীর মধ্যেও।

পদ্মার তীরবর্তী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার এনায়েতপুর চরেই জেঁকে বসেছে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক। গত তিন মাসে স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরেছেন অন্তত ৩৫ থেকে ৪০টি সাপ।

ওই চরে ভুক্তভোগীর এক স্বজন জানান, তার বোনজামাই ভুট্টা আনতে গেলে সাপ ছোবল মারে। সেই সাপটি রাসেলস ভাইপার ছিল। পরে তার বোনজামাইকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেয়া হয়েছিল। সেখানে অ্যান্টিভেনম দিলেও বিষক্রিয়া থামানো যায়নি। পরে রাজধানী ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকের মনে জেগে উঠতে পারে প্রাসঙ্গিক একটি প্রশ্ন। রাসেলস ভাইপারের মতো বিষধর সাপগুলো কীভাবে নিজের শরীরে এমন প্রাণঘাতী বিষ তৈরি করে?

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাপের বিষ হলো একটি অত্যন্ত বিষাক্ত লালা। সাপ তার মাথার পিছনের দিকে চোখের নিচে থাকা অতিক্ষুদ্র গ্রন্থিগুলোতে তৈরি করে এই বিশেষ লালা। এই গ্রন্থিগুলো সাধারণত পেশীবহুল আবরণে আবদ্ধ থাকে।

উৎপন্ন এই বিষ অ্যালভিওলি নামক অপেক্ষাকৃত বড় একটি গ্রন্থিতে জমা হয়। ছোবল দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই গ্রন্থি থেকে অতিসরু নালী দিয়ে সাপ এর ফাঁপা বিষদাঁত (ফ্যাং) দিয়ে শিকারের রক্তনালীতে বিষ ঢুকিয়ে দেয়। নির্গত এই বিষে ২০ টিরও বেশি বিভিন্ন যৌগ রয়েছে, যা বেশিরভাগই প্রোটিন এবং পলিপেপটাইড। এই বিষ শিকারের স্নায়ুতন্ত্রসহ পেশিকে অকেজো করে দেয়।

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ যাকে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও পদ্মা তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় আবারও দেখা মিলছে এই সাপের। গবেষকরা বলছে, প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে স্বভাব পরিবর্তন করছে রাসেলস ভাইপার।

সাপ ও সরীসৃপ গবেষক বোরহান বিশ্বাস রমন বলেন, সঠিক সার্ভে না করেই বাংলাদেশ থেকে রাসেলস ভাইপার বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সাপটি টিকে ছিল। পরবর্তীতে গঙ্গা হয়ে পদ্মা দিয়ে ২০০৯-১০ সালে ভেসে এসে পদ্মার চরাঞ্চলে অবস্থান নেয়। পরে তারা বংশ বিস্তার করে এবং বন্যায় এগুলো বিভিন্ন জেলায় ভেসে যায়।

চন্দ্রবোড়া সাপের দেখা মিলছে যেসব এলাকায়, সেখানকার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানালেন, সংকট আছে অ্যান্টি ভেনমের। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, অ্যান্টি ভেনেমের কোনো সংকট নেই।


আরও খবর
আজ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস

শুক্রবার ০৯ আগস্ট ২০২৪




রাষ্ট্রপতির বিষয়টি সংবেদনশীল, কথা বলতে চাই না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম থাকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি সংবেদনশীল, কিছু বলতে চাই না।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ অভিমত প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

উপদেষ্টার কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, রাষ্ট্রপতির মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম আছে বলে যে আলোচনা চলছে সেটি সত্য কি না? সত্য হলে এটি সাংবিধানিকভাবে কতটা সঙ্গত? এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াকিবহাল কি না এবং ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করা হবে কি না

জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, এর সঙ্গে রিলেটেড (যুক্ত) কোনো কাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নয়। স্পেকুলেশনের (অনুমান) ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু করতে পারবে না।

উপদেষ্টা বলেন, এটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। খুবই সেনসিটিভ (সংবেদনশীল)। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এটা দেখুক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি যুক্ত হয়ও শেষ পর্যায়ে গিয়ে হবে, আর তখন দেখা যাবে। এটা নিয়ে আমি আসলে কোনো কথা বলতে চাই না। এটার মধ্যে আইনগত দিক আছে, রাষ্ট্রপতির নিজের ব্যাপার আছে। এটা নিয়ে নাড়াচাড়া করা আমার কাজ নয়।

রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়ার নাগরিক কি না এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে জানতে চাইবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, স্পেকুলেশনের (অনুমানের) ভিত্তিতে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে আমি জানতে চাইব না।

সেকেন্ড হোম থাকার পর কি রাষ্ট্রপতি হওয়া যায়? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করুন।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিদেশে সম্পদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা চলছে। জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে বেশকিছু ছবি দিয়ে লিখেছেন, বাংলাদেশের সেকেন্ড হোম রাষ্ট্রপতি।


আরও খবর



ড. ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতিতে’ বিস্মিত ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবেশি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত অবস্থায় রয়েছে। একদিকে যখন হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়টি বাংলাদেশের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকার ভারতকে অবাক করেছে।

বিবিসির আনবারাসান এথিরাজন জানার চেষ্টা করেছেন এই দুই দেশের সম্পর্ক এখন কোথায় গিয়ে ঠেকেছে?

শেখ হাসিনাকে ভারতপন্থী হিসেবে দেখা হয়। কারণ, তার ১৫ বছরের শাসনামলে দুই দেশের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল।

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময়টি ভারতের নিরাপত্তার জন্যও সুবিধাজনক ছিল। কারণ, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত কিছু ভারতবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে দমন করেছিলেন এবং কিছু সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ভারতে তার অবস্থান নেওয়া এবং তিনি সেখানে কতদিন থাকবেন; সে বিষয়টি দুই দেশের দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে।

বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে ড. ইউনূসের গত সপ্তাহের এক সাক্ষাৎকারে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, দিল্লিতে থাকার সময় শেখ হাসিনাকে যেন রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়।

ড. ইউনূস ওই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে শর্ত হচ্ছে তাকে চুপ থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা দিল্লিতে যাবার পর যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা বাংলাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল, ড. ইউনূস হয়তো সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। যদিও এরপর থেকে শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে আর কোনো বিবৃতি দেননি। জুলাই ও আগস্টে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য এবং তাকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের ভেতরে দাবি উঠেছে।

ড. ইউনূস সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন যে, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দুই দেশের সম্পর্ক এখন নিম্ন পর্যায়ে আছে বলেও তিনি বর্ণনা করেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে কর্মকর্তারা হতাশ বলে জানা গেছে।

এক ভারতীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেছেন, বাংলাদেশে কী ঘটছে, সেগুলোর দিকে ভারত নজর রাখছে এবং ঢাকা থেকে সরকার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কী ধরনের বক্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন, সেগুলোর দিকে ভারত লক্ষ্য রাখছে।

ইউনূসের এ ধরণের বক্তব্যকে ভারতের সাবেক কূটনীতিকরা মেগাফোন কূটনীতি হিসেবে বর্ণনা করছেন এবং বিষয়টিকে তারা বিস্মিত হয়েছেন।

ড. ইউনূস মিডিয়ার মাধ্যমে বিতর্কিত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছেন বলেও তারা মনে করেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য এবং দুই দেশের সব উদ্বেগের জায়গাগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভারত তাদের প্রস্তুতি থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে, বলছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার ভিনা সিক্রি।

অবসরপ্রাপ্ত এই কূটনীতিক বলেছেন, এই সমস্যাগুলো নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা করা প্রয়োজন এবং কিসের ভিত্তিতে ড. ইউনূস দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে বর্ণনা করেছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিবিসি বাংলার মুকিমুল আহসানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতীয় নেতারা কি কোনো মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন না? ড. ইউনূসকে যদি নির্দিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি অবশ্যই তার মতামত প্রকাশ করতে পারেন।

আপনি যদি সমালোচনা করতে চান। তবে যে কোনো বিষয়েই সমালোচনা করতে পারেন, বলছিলেন তৌহিদ হোসেন।

কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ড. ইউনূস টেলিফোনে কথা বললেও এখন পর্যন্ত কোনো মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়নি।

ভারতে একটি বড় ধরণের ঐকমত্য রয়েছে বলে মনে হচ্ছে যে, শেখ হাসিনা যতদিন না অন্য কোন দেশে প্রবেশের অনুমোদন পাচ্ছেন, ততদিন তিনি ভারতে থাকতে পারবেন।

তবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিক্ষোভের সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু তাকে বাংলাদেশে গণহত্যার প্রধান আসামি করা হয়েছে। আমরা তাকে আইনিভাবে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করব।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানালেও শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করার সম্ভাবনা কম।

ঢাকায় ভারতীয় সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, তিনি এখানে ভারতের অতিথি হিসেবে অবস্থান করছেন। আমরা যদি আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুর প্রতি মৌলিক সৌজন্যতা না করি, তাহলে ভবিষ্যতে কেন কেউ আমাদের বন্ধু হিসেবে গুরুত্ব সহকারে নেবে?

ড. ইউনূস তার সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর কাছে না পৌঁছানোর জন্যও দিল্লির সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন, একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করানো হয়েছে যে, সবাই ইসলামপন্থী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ইসলামপন্থী এবং বাকি সবাই ইসলামপন্থী এবং তারা এই দেশকে আফগানিস্তানে পরিণত করবে। এবং বাংলাদেশ শুধুমাত্র শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। ভারত এই ব্যাখ্যাতেই বিমোহিত হয়ে আছে। কিন্তু ভারতীয় বিশ্লেষকরা ভিন্ন মত পোষণ করেন।

ভিনা সিক্রি বলেন, আমি এই বক্তব্যের সঙ্গে একেবারেই একমত নই। বাংলাদেশে আমাদের হাইকমিশনাররা কোনো লেবেল না দিয়েই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময় ঢাকা ও দিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ওই সময় ভারতের উত্তর-পূর্ব থেকে বিদ্রোহীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ঢাকাকে অভিযুক্ত করেছিল দিল্লি। যদিও বিএনপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করে।

তবে বাংলাদেশের অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে, ভারতের উচিত বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করা। সামনে যখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক না কেন এই দলটি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে কোনো ভারতীয় কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। আমি এটার কোনো কারণ জানি না।

উল্টো বিএনপির সঙ্গে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা নিয়মিত বৈঠক করছেন। শেখ হাসিনার পতনের পরের দিনগুলোয় নিরাপত্তার অভাব দেখা দেয়। এতে সন্দেহভাজন ইসলামপন্থীদের দ্বারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে যায়।

ভারত ইতোমধ্যে হিন্দুদের ওপর হামলার খবরে বেশ কয়েকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন মাজারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে সুন্নি মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং কট্টরপন্থীরা মাজার ও সমাধিকে ইসলাম সম্মত নয় বলে মনে করে।

সিরাজগঞ্জ জেলায় আলী খাজা আলী পাগলা পীরের মাজারের তত্ত্বাবধায়কের স্ত্রী তামান্না আক্তার বলেন, কয়েকদিন আগে একদল লোক এসে আমার শ্বশুরের সমাধি ভাঙচুর করে এবং কোনো অনৈসলামিক অনুষ্ঠান না করার জন্য আমাদের সতর্ক করে।

বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফএম খালিদ হোসেন বলেছেন, যারা ধর্মীয় স্থানকে টার্গেট করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ইসলামী কট্টরপন্থীরা যদি বাংলাদেশে একটি শক্ত অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেটা যত ছোটই হোক না কেন, তা দিল্লির জন্য বিপদের ঘণ্টা বাজিয়ে দেবে।

গত কয়েক সপ্তাহে একজন দণ্ডিত ইসলামী জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে নয়জন সন্দেহভাজন মৌলবাদী গত মাসে জেল ভেঙে পালিয়ে যায়- তাদের মধ্যে চারজনকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দিন রাহমানি গত মাসে জামিনে মুক্ত হয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। শেখ হাসিনার সরকার এই গোষ্ঠীটিকে ২০১৬ সালে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ২০১৫ সালে এক নাস্তিক ব্লগারকে হত্যার অভিযোগে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যান্য বিচারাধীন মামলার কারণে কারাগারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তিনি কারাগারে ছিলেন।

গত মাসে বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ভারত চেনে, প্রাক্তন কূটনীতিক রিভা গাঙ্গুলি দাস একে একটি গুরুতর বিষয় বলে অভিহিত করেছেন।


আরও খবর



সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ রিচমন্ড হোটেলের মিলনায়তনে মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য শরীফ মাহমুদের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগর শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক নাঈম হোসাইনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রহিম।

মতবিনিময় সভা কুরআন তিলাওয়াত এর মাধ্যমে শুরু হয়, পরবর্তীতে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হয়। ইসলামী সংগীতের পর শিবিরের সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন ক্যাম্পাসের সভাপতি ও নগরীর নেতৃবৃন্দরা তাদের পরিচয় পর্ব প্রদান করেন।

অনুষ্টানে সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ বলেন, আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মান করতে চাই, যেই বাংলাদেশে কোন বৈষম্য থাকবে না। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহা মর্যাদাপূর্ণ পেশা, এবং আল্লাহ প্রদত্ত আমানত। জাতির সামনে সব সময় সুন্দর ও সত্য সংবাদ প্রচার করে আপনারা সেই আমানত রক্ষা করবেন ছাত্রশিবির সেই প্রত্যাশা করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেন, জাতিকে সত্য জানানোর যে সুযোগ আল্লাহ দিয়েছেন তা সৎ সাহস নিয়ে জাতির সামনে উপস্থাপন করা। তিনি তার বক্তব্য আরো বলেন, সাংবাদিকদের যদি স্বাধীন সংবাদ প্রকাশে হেনেস্তা করা হয় তাহলে ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে তার প্রতিরোধ করবে। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও সাংবাদিকদের পরামর্শ গ্রহণ করেন নেতৃবৃন্দ।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির সভাপতি জহির উদ্দীন শিপন, সিলেট জেলা পূর্বের সভাপতি মারুফ আহমদ, জেলা পশ্চিম সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সিলেট মহানগর সেক্রেটারি শাহিন আহমদসহ সিলেট মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।

উক্ত মতবিনিময়ে সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ও অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গণ্যমান্য সাংবাদিক ব্যক্তিত্বসহ প্রায় শতাধিক সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অন্তর্বর্তী সরকার সব অপরাধের বিচার করবে: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের আদেশ দেওয়ার আগে হাইকোর্ট রিটকারীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সব অপরাধের বিচার করবে। সব অপরাধের বিচার হবে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রিটকারীকে উদ্দেশ করে বলেন, ছাত্র-জনতাকে যারা গুলির নির্দেশ দিয়েছে, গুলি করেছে তাদের বিচারের বিষয়ে সরকার খুব আন্তরিক। গুলির নির্দেশ দিয়েছে ব্যক্তি। অপরাধ ব্যক্তি করেছে দল নয়।

এসময় রিটকারী পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আদেশ চাইলে হাইকোর্ট বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এরই মধ্যে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কথা বলেছেন। সরকার এ বিষয়ে খুব আন্তরিক। সব অপরাধের বিচার হবে।

এরপর আদালত ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া শুনানি করেন।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।


আরও খবর
আদালতে আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে ১৬ কেজি স্বর্ণসহ আটক ১

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) ও শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর লাগেজ থেকে প্রায় ১৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক হয়েছেন এক যাত্রী।

বুধবার দুপুরে সিলেট কাস্টমস এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, সকালে দুবাই থেকে সিলেটে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক যাত্রীর লাগেজে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি জুসার ও ব্লেন্ডারের ভেতর লুকিয়ে রাখা এই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

সিলেট কাস্টমস, ভ্যাট ও এক্সাইজ কমিশনারেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সিলেট বিমানবন্দর) সাজেদুল করিম জানান, আটক হওয়া যাত্রীর নাম হোসাইন আহমদ। তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গোমরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনটি জুসার ও ব্লেন্ডারের ভেতর ১০৫টি স্বর্ণের বার এবং গলিয়ে গোল সিলিন্ডারের আকৃতি দেওয়া চারটি স্বর্ণখণ্ড বহন করছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে এই স্বর্ণের ওজন প্রায় ১৬ কেজি।

সাজেদুল করিম বলেন, 'উদ্ধারকৃত স্বর্ণ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটক ব্যক্তিকেও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪