আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সহায়ক: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সহায়ক মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে, শান্তির মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান হোক। আমরা সংঘাত চাই না, সবার উন্নতি চাই।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে আমরা পেরেছি, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় করেছি আলোচনার মাধ্যমে, তাহলে আজ কেনো এই অস্ত্র প্রতিযোগীতা?

আরও পড়ুন: ভারতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদী

আজ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিশ্বের কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অস্ত্র প্রতিযোগীতায় যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে সেই অর্থ কেনো ব্যয় হয় না ক্ষুধার্ত শিশু ও মানুষের জন্য? এই অস্ত্র প্রতিযোগীতার কারণে বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মানুষ, শিশু, নারী মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি, তারাও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। কাজেই আমরা চাই, বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিতে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা কঠিন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বিশ্ব শান্তিতে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন শান্তি পরিষদের মহাসচিব বলেছিলেন, শেখ মুজিব কেবল বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যাতে শান্তির কথা ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা ছিল। তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

জাতির পিতার কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকার প্রধান বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথাই তিনি বলে গেছেন।

জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতি আমরা আজও মেনে চলি। মেনে চলতে চাই। কারণ বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি শান্তির কথা বলেছিলেন। অথচ যিনি সর্বদা শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবন দিতে হলো। প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঘানায় নৌ দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত

তিনি বলেন, আমরা সবসময় শান্তিতে বিশ্বাস করি। দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি। এ দেশে কেউ দরিদ্র, ভূমিহীন থাকবে না। সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। যা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। জাতির পিতাকে হত্যার পর একের পর এক ক্যু হয়। অনেককে হত্যা করা হয়। এমন একটা অশান্ত পরিবেশে দেশের মানুষকে ২১ বছর কাটাতে হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে উন্নয়নমূলক কাজ করতে শুরু করি। মাঝে আবারও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, দুর্নীতি, অর্থপাচার করে দেশটাকে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধকন্যা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজমান। এজন্যই আজকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষের উন্নয়ন কাজ করেছি। এজন্য দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। সাক্ষরতার হার বেড়েছে, আয়ুষ্কাল বেড়েছে। মাতৃমৃত্যুহার কমাতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মার্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।


আরও খবর



গুলিস্তানে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় যুবক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা মো. রাসেল (১৭) নামে যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুই আরোহী আহত হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পাতারহাট গ্রামের মো. সিরাজুল হক ও তাসলিমা বেগমের ছেলে রাসেল। বর্তমানে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশন পল্লবী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট। আহত বাকি দুজন হলো মানিক (১৯) ও এনামুল (২৩)।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> তিন হাজারের বেশি গুমের অভিযোগ পর্যালোচনা করবে জাতিসংঘ

ঘটনার পর আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর রাসেলকে ভোর সাড়ে ৪টায় মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় তার সহকর্মী মানিক ও এনামুল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

নিহত রাসেলের ভাই মো. হোসেন জানান, রাসেল একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতো। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আরেক জনের মোটরসাইকেল নিয়ে দুই বন্ধুসহ তিন জন কিছু খাবার খাওয়া জন্য পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তারা আহত হয়। পরে হাসপাতালে রাসেলকে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

নিউজ ট্যাগ: যুবক নিহত

আরও খবর



পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাকিরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৫৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিদেশ যেতে পারবেন না। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। তবে তার পাসপোর্ট দাখিল করার শর্তে জামিন বহাল রাখা হয়েছে।

তার জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার আদালত বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। পরে খুরশীদ আলম খান জানান, জাকির দেশ ছাড়তে পারবেন না। তিনি এখনও মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে কিছু গোষ্ঠী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ জাকিরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে ওই জামিন স্থগিত ও বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। এর আগে গত ২৯ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল বিন আতিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।

বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) রসিদের তথ্য, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও গাড়িসহ অবৈধ উপায়ে অর্জিত প্রায় ৫৭ কোটি টাকা সম্পদের খোঁজ মিলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভগের চেম্বার আদালত। তবে তার পাসপোর্ট দাখিল করার শর্তে বহাল রাখা হয়েছে জামিন। 

আরও পড়ুন>> জবিতে একসঙ্গে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

খুরশীদ আলম খান বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় উচ্চ আদালত ছয় সপ্তাহের মধ্যে জাকির হোসেনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আসামি ২৯ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তবে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর অবকাশকালীন আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। বর্তমানে মামলা তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানান দুদকের আইনজীবী।

গত ১৪ মার্চ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়।


আরও খবর



রাজবাড়ীতে শিশু অপহরণের পর হত্যা, তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ীতে অপহরণের পর রিফাদ হত্যায় তিন আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আসামিদের উপস্থিততে রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোঃ সাব্বির ফয়েজ এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো, রাজবাড়ী জেলা শহরের সজ্জনকান্দা এলাকার রক্তিম, রাসেল ও মিজানপুর ইউনিয়নের চরনারায়নপুর এলাকার রনি।

২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর তারিখে দন্ডপ্রাপ্তরা রিফাতকে স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ করে। পরে রিফাতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পাওয়ায় রিফাতকে হত্যা করে। ঘটনার ৯ দিন পর রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ সজ্জনকান্দা টিএন্ডটি পাড়ার জনৈক ভৈরব শীলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু রিফাতের লাশ উদ্ধার করে।

হত্যা ও অপহরণের ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মোক্তার আলী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে অপহরণ ও মুক্তিপণের পৃথক দুটি মামলা করেন।

রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, শিশু রিফাদকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক রায় প্রদান করেছেন। এ রায়ে বিচারপ্রার্থী সঠিক বিচার পেয়েছে।


আরও খবর



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের হীরকজয়ন্তী উদযাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জমকালো আয়োজন ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে হীরকজয়ন্তী উদযাপন করেছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীর মিলন মেলায় প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে হীরকজয়ন্তী উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ যেখান থেকে আগামীর নেতৃত্ব তৈরী হবে। অতীতে যেভাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা দিয়ে দেশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছে আগামীতেও তারা দেশের নেতৃত্ব দিবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা রাখেন এ অধ্যাপক।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসাইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকসহ সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

পরে বিভাগটির সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড, প্রশাসনিক ভবন, টুকিটাকি চত্বর, রবীন্দ্র ভবনসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিভাগের সামনে মিলিত হোন।

আকাশী কালার শাড়ী পড়ে র‍্যালির সামনের সারিতে অংশগ্রহণ করেন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ্জোহরা। তার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে পদার্পণ করছে আমাদের বিভাগ যেটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। এতো সুন্দর জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে হীরকজয়ন্তী উদযাপন এর আগে কোনো ডিপার্টমেন্ট করেনি, আমরাই প্রথম।

হীরকজয়ন্তীতে উদযাপনের অংশ নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী বর্ষা রাণী মন্ডল বলেন, আমার কাছে আজকের দিনটা খুবই আনন্দের যার অনুভূতি বলে শেষ করা যাবে না। প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করতে অনেকদিন যাবত প্রস্তুতি নিতে হয়েছে আমাদের। খোলা আকাশের নীচে, সবাই আকাশী কালার শাড়ী পড়ে র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করার অনুভূতি দারুণ। বিকেলে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে ফলে অনেকদিন যাবত প্রস্তুতি নিচ্ছি। ক্যাম্পাস লাইফে সব থেকে সেরা পাওয়া গুলোর মধ্যে হীরকজয়ন্তী উদযাপন একটি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারহাত তাসনীম বলেন, আমাদের আয়োজন খুব সাজানো গোছানো ছিলো। এতে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছেন। আমরা সাবেকদের জানিয়েছিলাম তাঁরাও আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে হীরকজয়ন্তী উৎযাপনে অংশগ্রহণ নেন। বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে আমাদের ছেলে-মেয়েরাই পারফর্ম করবে। আয়োজনটি সুন্দরভাবে সফল করায় সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এদিকে হীরকজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে থাকবে ফটোসেশানের ব্যবস্থাও।


আরও খবর



মাদারীপুরে বর্ণিল আয়োজনে দৈনিক আজকের দর্পণের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ