আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সাংবাদিক নাদিমের মেয়ের অনশনের ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রায় এক মাস হতে চলল। এখনো হত্যাকারী চেয়ারম্যানপুত্র রিফাতসহ এজাহার ভুক্ত ১৭ আসামি ঘরা ছোঁয়ার বাইরে। তাদের ধরা না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত।

নাদিম হত্যাকাণ্ডের ২৫ দিনের মাথায় শুক্রবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে একটি পোস্ট করেন জান্নাত। লেখেন- আব্বুর সব হত্যাকারীদের আইনে হেফাজতে দ্রুত আনুন। নাহলে আমরণ অনশনে নামবো। কে কে সাথে আছেন?

আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর

পরে বিষয়টি স্ট্যাটাসের ব্যাপারে জানতে ফোন দিলে জান্নাত বলেন, আমার আব্বুর হত্যাকারী এজাহারভুক্ত আসামি মাত্র ৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান বাবুও গ্রেপ্তার আছে। কিন্তু তার ছেলে রিফাত আমার বাবাকে ইট দিয়ে মেরেছে। তাকে এখনো কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে পারল না? সেই সাথে আরও আসামি আছেন যারা আমার বাবাকে হত্যার সময় উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকেও এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি ব্যর্থ? নাকি তারা ইচ্ছা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না?

তিনি আরও বলেন, আমার বাবাকে যেভাবে মেরেছে তার বিচার চাইছি অনেক দিন থেকেই। তবে মুল হোতারা গ্রেপ্তার হয়নি। এছাড়া আমাদের সাথে যারা বিচার চাইছে আমার বাবার, তাদেরকেও বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে আসামিদের পরিবার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা নেই, তাহলে আসামিরা গ্রেপ্তার হবে কি করে? আমি চিন্তা করছি আসামি রিফাত কি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে? তবে সে কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না? আমি বাধ্য হয়েই এই ঘোষণা ফেসবুকের মাধ্যমে দিয়েছি; আমার আর উপায় নেই। অনশন করবো বাবার হত্যার ঘটনায় আসামিরা যদি গ্রেপ্তার না করা হয়।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

এদিকে নাদিম হত্যার ঘটনায় জড়িত নতুন একজনের নাম আসছে বারবার। কারণ, হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত করা বেশিরভাগ আসামিই তাতীলীগের নেতাকর্মী। আর এই তাতীলীগের নেতাকর্মী ও চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদারের অনুসারী।

বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, নাদিম হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি আসামিদের হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন: নাদিম হত্যা: চেয়ারম্যান বাবুকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার

উল্লেখ্য, তাতীলীগের নেতাকর্মী ও চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে গত ১৪ জুন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। প্রথমে তাকে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মৃত্যু হয় নাদিমের।

এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাত নামা আরও ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে বাবু চেয়ারম্যানসহ ১৪ আসামিকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে নেওয়া হয়। ১৪ জনের মধ্যে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও রেজাউল হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পাঁচ গ্রেপ্তার রয়েছে।


আরও খবর



এবার পরিধি বাড়ছে মঙ্গল শোভাযাত্রার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদ্‌যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ জানিয়েছেন, এবারের পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার পরিধি বাড়ছে। যা চারুকলা থেকে বের হয়ে শিশু পার্ক ঘুরে ফের টিএসসিতে এসে শেষ হবে। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চারুকলায় পহেলা বৈশাখ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য হলো আমরা তো তিমিরবিনাশী। প্রতিপাদ্যটি নেয়া হয়েছে কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে।

তিনি বলেন, এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রার নিরাপত্তা দিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তবে দূর থেকে। এদিকে এবার চারুকলারও ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। এজন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলে জানান চারুকলা অনুষদের ডিন নিসারুল হোসেন।

অন্যদিকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা রক্ষার নামে সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।


আরও খবর



জনপ্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি, পরে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে রুবেল আহম্মেদ নামে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করার পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল আহম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরে রুবেল আহম্মেদ পাকুড়িয়া বাজারে আসেন। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারযোগে আসা একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ছয় রাউন্ড গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপর বসে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

মাধবদী থানা পুলিশের এসআই ফজলে রাব্বি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের ধারণা, ইউপি নির্বাচনের সময় তৈরি হওয়া শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

জানা গেছে, সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল নামে এক প্রার্থী। ওই সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে রুবেল বিজয়ী হন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়।


আরও খবর



অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবান থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৮ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার  দিকে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ ই বেঙ্গলের দোপানিছড়াপাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা যায়, টহল দল কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে। এ সময় আট জনকে আটকের পাশাপাশি নয়টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, দুইটি মোবাইল ফোন এবং দুইটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে হামলা, টাকা লুটের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় আসে কেএনএ। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ যৌথ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।


আরও খবর



গরুবোঝাই নছিমনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরের হিলিতে গরুবোঝাই নছিমনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুপুরে একটি মোটরসাইকেলে দুজন বিরামপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা গরুবোঝাই নছিমনে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন।

হাকিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।


আরও খবর



মুফতি আমির হামজাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর দারুস সালাম থানার সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি মো. আমির হামজাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

গত ২৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে চার্জশিটের বিষয়টি আজ বুধবার জানা গেছে।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান, অলিউন নবী সবুজ, মো. কাদের কিবরিয়া সাগর ও এম যুবায়ের আহমেদ।

এছাড়া মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, তাসনিমুল করিম রিজভী ও আব্দুল্লাহ আল আমিনের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় মামলাটি করেন।

ধর্মীয় ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ২০২১ সালের ২৪ মে মুফতি আমির হামজাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। সংসদ ভবনে খোলা তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনায় অভিযোগে করা মামলায় আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ওই বছর ৩১ মে মুফতি আমির হামজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তিলাভ করেন।


আরও খবর