জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপির বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগী নয়নকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মধ্য ধাতুয়াকান্দা এলাকার বাড়ি থেকে নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা জানান। গ্রেপ্তার ২৪ বছর বয়সী নয়ন ওই এলাকার সানোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগী। গোলাম রব্বানী হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই নয়ন পলাতক ছিলেন।
ওসি সোহেল রানা বলেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা নয়ন মিয়ার জড়িত থাকার কথা জানায়। ঘটনার পর থেকে নয়ন ঢাকায় পালিয়ে ছিলেন। তবে সম্প্রতি এলাকায় ফিরে এসেছেন বলে গোপনে খবর পায় পুলিশ। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৪ জুন বুধবার পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পৌর শহরের সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মোড়ে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা হয়। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে আরও ২২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাবুকে অব্যাহতি এবং দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে নাদিম হত্যার প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার মধ্যে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও রেজাউল হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।