সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয়
উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ, নির্বিঘ্নে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে
সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি’র কার্যালয়ে চট্টগ্রাম
রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল নুরেআলম মিনা'র সভাপতিত্বে ১১টি জেলার পুলিশ সুপারসহ
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভা
অনুষ্ঠিত হয়।
ডিআইজি জানান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের মোট ৪০৩৪টি
পূজামন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং প্রবেশ পথে হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টর এর মাধ্যমে
স্বেচ্ছাসেবক কর্তৃক তল্লাশীর ব্যবস্থার নিশ্চিত করণের উপর আলোকপাত করেন। সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ইউটিউব, ব্লগ, ইনস্টাগ্রাম এবং মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে অপপ্রচার চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা
পরিস্থিতি অবনতি ঘটানো এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্দির ভিত্তিক কমিটি গঠনপূর্বক পূজা চলাকালীন
স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখা, পূজামন্ডপ ও বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত
আলোর ব্যবস্থা, জেনারেটর স্থাপন, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা এবং আযান ও নামাজের সময় উচ্চ
শব্দে মাইক ব্যবহার না করার জন্য পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি অনুরোধ জানান।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বড় বড়
শপিং সেন্টার, মার্কেট, বাজার, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে
গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি
ও প্রতারক চক্রগুলোর তৎপরতা রোধে মাঠ পর্যায়ের অত্র রেঞ্জের সকল পুলিশ সদস্যকে সতর্কভাবে
দায়িত্ব পালন করতে বলেন।
সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ)
প্রবীর কুমার রায়; অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম) মো: মাহফুজুর রহমান; অতিরিক্ত ডিআইজি,
কমান্ড্যান্ট, রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স, শাহজাদা মো: আসাদুজ্জামান; পুলিশ সুপার(এডমিন);
পুলিশ সুপার(অপারেশন্স); পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স) ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১১টি জেলার
পুলিশ সুপার ও জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ চট্টগ্রাম রেঞ্জ
কার্যালয়ের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ
ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা এবার ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ২০ অক্টোবর
ষষ্ঠী এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী এবং বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে।