মাদক-সন্ত্রাস ও ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে করণীয় ঠিক করতে আয়োজিত নারায়ণগঞ্জের এক সভায় শামীম ওসমানের আমন্ত্রণে সাড়া দেননি স্থানীয় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি)। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারী) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে সামছুজ্জোহা ক্রীড়া কমেপ্লেক্সে আয়োজিত সভায় শামীম ওসমান বলেন, ‘বিগত ৪০ বছরে এমন একটি সমাবেশ নারায়ণগঞ্জে হয়নি। যেখানে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের লোকজনের উপস্থিতি ছিল। আমি নির্বাচনের প্রচারণার সময়ই বিভিন্ন স্থানে বলেছি, আমার প্রথম কাজ হবে নারায়ণগঞ্জ থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও ভূমিদস্যুতা দূর করা। ‘‘প্রত্যাশা’’ নামক সংগঠনের মাধ্যমে এই কাজটি করব বলেছিলাম। আজকের এই সমাবেশ সে জন্যই করা। আজকে নারায়ণগঞ্জের সকল এলিট শ্রেণির মানুষ এখানে আছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের এসপি এবং ডিসি এখানে আসেন নাই। নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে আমি বারবার এই সমাবেশের কথা বলেছি। তবুও তারা আজকে এখানে আসে নাই। তারা হয়তো জানেন না, যেখানে একজন সংসদ সদস্য থাকেন সেখানে অবস্থানটা কোথায়?’
তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রশ্ন জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করব। যারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নেন, তারা কেন আজকে এখানে আসেন নাই। আমি সেই প্রশ্ন সেখানেই করব। আমরা অনেক কিছুই জানি। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা কিন্তু আমাদের জানান। আপনারা কেউ হতাশ হবেন না। এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ। আমরাই ঠিক করব আমাদের নারায়ণগঞ্জ।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘হিসেব করে দেখেছি, যদি প্রতিটি ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড থেকে এক হাজার লোক করে নেওয়া হয়, তাহলে সাড়ে চার লাখ লোক হয়। প্রত্যাশার মাধ্যমে এত সংখ্যক লোক যদি একত্রিত হয়, তাহলে নারায়ণগঞ্জ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ভূমিদস্যুতা, ইভিটিজিংয়ের মতো অপরাধ দমন করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দীপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফজলুল হক রুমন রেজা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনুসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ।