গোসাইরহাট শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ২নং দাসের জঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
গত রোববার বিদ্যালয় পানি জমে থাকতে দেখা যায়। এই সমস্যা সমাধানে মাঠটিতে মাটি ভরাট করে উঁচু করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৯ সালে ৪২ শতাংশ জায়গা নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি পরিত্যক্ত ভবনসহ চারটি ভবন রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪১৬। সহকারী শিক্ষক রয়েছেন ১১জন। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে থাকে। পিছিয়ে নেই খেলাধুলায়ও। কিন্তু বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠসহ আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে আসা-যাওয়া করা যায় না।
গত সপ্তাহে সকালে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা আরও বেড়ে যায়। এতে বিদ্যালয়ের মাঠসহ আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে শিক্ষকেরা বিদ্যালয় ছুটি দেন।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খিয়াম ৫ম শ্রেণী মো. মেহেদি হাসনা ও ফাতেমা বলেন, মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত খেলাধুলা করা যায় না। একটু বৃষ্টি হলেই একটি ভবন থেকে অন্য ভবনে আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তা ছাড়া বিদ্যালয় থেকে রাস্তায় যাওয়া যায় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কহিনুর ইয়াসমিন বলেন, পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। এ কারণে মাঠটিতে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলে মাঠে পানি বেড়ে যায়। বিদ্যালয়টিতে একটি ভবনে অফিস কক্ষ এবং অন্যটিতে শ্রেণিকক্ষ আছে। জলাবদ্ধতার কারণে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে আসা-যাওয়া করা যায় না। বেশি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে স্কুল পরিচালনা করা ব্যহত হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটসহ জলাবদ্ধতা দূরীকরণের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাথে আলোচনা করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলা প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।