আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সাকিব-তাইজুলের স্পিনে বিপদে আয়ারল্যান্ড

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে অনেকটা দেরিতে বল হাতে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সমালোচনাও সইতে হয়েছে তাকে।

এরপর ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা এই অলরাউন্ডার আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বল হাতে নিলেন। ওই ওভারে উইকেটও তুলে নিলেন। কিছুক্ষণ পর সাকিবের সঙ্গে যোগ দিলেন তাইজুল ইসলাম। দুই বাঁহাতি স্পিনার পেলেন জোড়া উইকেটের দেখা।

সফরকারীদের বিপক্ষে ১৫৫ রানের লিড নিয়ে ফের ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ। শুরুটাও হলো দারুণভাবে। আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানলেন সাকিব। তার করা চতুর্থ বলেই আইরিশ ওপেনার জেমস ম্যাককলামের বিপক্ষে হলো লেগ বিফোরের আবেদন। কিন্তু আম্পায়ার আলীম দার মাথা নাড়িয়ে নাকচ করে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে রিভিও নিলেন সাকিব। তার সিদ্ধান্ত যে সঠিক তা রিপ্লেতেই প্রমাণিত হলো। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরলেন ম্যাককলাম।

সাকিবের পর আসরে নামলেন তাইজুল ইসলাম। নিজের প্রথম ওভারটা করলেন মেডেন। এরপর সাকিবের নিয়ন্ত্রিত ওভারের পর ফের আক্রমণে তাইজুল। ওই ওভারের চতুর্থ বলে তার বলের লাইন বুঝতে ভুল করলেন আইরিশ ব্যাটার মারে কামিন্স। বল পায়ে লাগতেই লেগ বিফোরের আবেদন, আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিলেও রিভিও নিলেন মারে। কিন্তু রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্তই এলো। 

নিজের পরের ওভারে ফের আঘাত হানলেন তাইজুল। এবার তার বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি (৩)। পরের ওভারে ফের আঘাত হানেন সাকিব। এবার তার বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুর্তিস ক্যাম্ফার (১)। এবার ব্যাটার নিজেই রিভিও নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। মাত্র ১৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় আইরিশরা।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ইসরাইলের কাছে পাঁচ মাসে শতাধিকবার মারণাস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ষষ্ঠ মাসে গড়িয়েছে। গত বছর ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এমন হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও চাপ উপেক্ষা করে ঘনিষ্ট মিত্র ইসরায়েলকে অর্থ ও অস্ত্রসহ সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন তেলআবিবের কাছে শতাধিকবারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রয় অনুমোদন দিয়েছে। এমনকি ইসরায়েলি নেতারা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কোনো উদ্যোগ না নিলেও অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখে ওয়াশিংটন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক এক গোপন নথিতে মার্কিন কর্মকর্তারা কংগ্রেসের সদস্যদেরকে জানিয়েছেন, হাজার হাজার দূরনিয়ন্ত্রিত অস্ত্র, ছোট ব্যাসের বোমা, বাঙ্কার বাস্টার, ছোট অস্ত্র ও অন্যান্য প্রাণঘাতী অস্ত্রসরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের ওপর শত বছরের নজিরবিহীন নির্যাতন-নিপীড়ন ও আল আকসা মসজিদের অবমাননার জবাবে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মূল-ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের সশস্ত্র কয়েকটি গোষ্ঠী। এরপরই হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল যা পাঁচ মাসের বেশি সময় অব্যাহত রয়েছে।

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ২২ হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার।

তেলআবিবের এই হত্যাযজ্ঞকে এরই মধ্যে গণহত্যা অভিহিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ। গণহত্যার অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেই শুরু থেকেই এই গণহত্যায় জোরালো রাজনৈতিক সমর্থন এবং অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে চলেছে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি নিয়ে অনেক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার গভীর উদ্বেগ সত্ত্বেও শতাধিকবার অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের মানে হলো পাঁচ মাসব্যাপী সংঘাতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েছে ওয়াশিংটনও।


আরও খবর



পদোন্নতি পেয়ে বিসিএসের মর্যাদা পেলেন ৩৭ পরিদর্শক

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশের ৩৭ জন পুলিশ পরিদর্শককে (ইন্সপেক্টর) পদোন্নতি দিয়ে বিসিএস-পুলিশ ক্যাডার সমমর্যাদায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) করা হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে তাদের এই পদোন্নতি দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবর যোগদানপত্র দিয়ে নতুন পদে যোগদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পদোন্নতিপ্রাপ্তরা হলেন, মো. আনোয়ার হোসেন মিয়া- হাইওয়ে গাজীপুর, জাফর উদ্দিন আহম্মদ- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, মো. দেলওয়ার হোসেন- কুমিল্লা, খোন্দকার হোসেন আহম্মদ-খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, খুলনা, মো. নজরুল ইসলাম- রাজশাহী জেলা; মো. শাহজাহান আলী, স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন-২।

মো. বাবুল উদ্দীন সরদার- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, বরিশাল; এ কে এম কাউসার- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নোয়াখালী; মোহাম্মদ মিজানুর রহমান- বিশেষ শাখা, মো. ইসমাইল হোসেন- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পাবনা; মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নাটোর; জিল্লুর রহমান চৌধুরী- বিশেষ শাখা।

কাজী জাহেদুল হাফিজ- রাজশাহী মহানগরী পুলিশ, রাজশাহী; মো. মতিয়ার রহমান- বিশেষ শাখা, মো. আব্দুল বাছেদ- অপরাধ তদন্ত বিভাগ, মো. মাহফুজুর রহমান- অপরাধ তদন্ত বিভাগ, মো. কামরুল হক- বিশেষ শাখা, মো. এনামুল হক- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নোয়াখালী; মো. কাউয়ুম শেখ- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, মকবুল আহাম্মেদ- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, হবিগঞ্জ।

মো. জাকির হোসেন মোল্লা- ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ অধিদপ্তর, মো: রফিকুল ইসলাম খান- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, ঢাকা; মো: নবীর হোসেন- সিলেট মহানগরী পুলিশ, মো. তাবরেজুর রহমান সরদার- রংপুর, মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিক- ১৩ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, উত্তরা; মো. হাবিবুর রহমান- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পটুয়াখালী; মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, একেএম মেহেদী হাসান- স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন-২, মো. আনোয়ারুল হক ভূঁঞা- বিশেষ শাখা, ঢাকা;

শেখ মোস্তাফিজুর রহমান- বিশেষ শাখা, ঢাকা; মো. মনজুর রহমান- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিরাজগঞ্জ; মো. শাহ আলম- বিশেষ শাখা, ঢাকা; মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী- অপরাধ তদন্ত বিভাগ, ঢাকা; আ ম ফারুক- অপরাধ তদন্ত বিভাগ, ঢাকা; মো. আমিরুল ইসলাম- বিশেষ শাখা, ঢাকা; মুহাম্মদ জাকের হোসাইন- বিশেষ শাখা, ঢাকা; মো. সাইদুর রহমান- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কক্সবাজার।


আরও খবর



চট্টগ্রামে উদ্বোধন হল নান্দনিক 'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ' স্মৃতি স্মারক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নগরীর বহদ্দারহাট চত্বরে নান্দনিক 'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ' স্মৃতি স্মারক উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়েছে। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে এই স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছি। এই স্মৃতিফলক তরুণ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিবে স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের ভূমিকার কথা।

কাঁচ দিয়ে নির্মাণ করা স্মৃতিস্মারকটি পিরামিড আকৃতির। কাচের ফ্রেমের ভেতর রয়েছে মাইক্রোফোন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের সময় যে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছে এটি তার প্রতীক। পিরামিডটি মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭ কোটি বাঙালির ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক।

উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, হেলাল আহমেদ, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন জয়, জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কাবেদুর রহমান কচি, আশরাফুল গনি, সাইফুল ইসলাম লিটন, নেছার আহমেদ, পলাশ খাস্তগীর, শওকত হোসেন, ভাস্কর মান্না পাল, সুকান্ত প্রয়াস, স্থপতি আজমুল হক।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



যে যুগে ওজন কমাতে ফিতা কৃমি খেতেন নারীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

যুগে যুগে ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন অদ্ভুত ডায়েট অনুসরণ করেন নারীরা। তেমনি একটি হলো টেপওয়ার্ম ডায়েট বা ফিতা কৃমির ডায়েট! উনিশ শতকের শুরুতে এই ডায়েট নিয়ে বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হতো।

এই ডায়েটে ফিতা কৃমির ডিম ভর্তি একটি বড়ি খাওয়া হতো। এই ডায়েটের তত্ত্ব ছিল, পেটে গিয়ে ডিমগুলো ফুটে কৃমি জন্মাবে। অন্ত্রের ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিয়ে ধীরে ধীরে বড় হবে কৃমিগুলো, একপর্যায়ে বংশ বিস্তারও করবে। আর যারা এই ডায়েটে রয়েছেন তাঁরা যত খুশি খেতে পারবেন, কিন্তু মোটা হবেন না। এই ডায়েট করলে ওজন কমতো, কিন্তু ডায়রিয়া ও প্রচুর বমি হতো।

তখনকার নারীরা কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছে গেলে কৃমিনাশক ওষুধ খেতেন। কিন্তু তার আগেই পেট ও মলদ্বারের ক্ষতি হয়ে যেত, ফলে পরবর্তীতে নানা জটিলতা দেখা দিত।

এই ডায়েট অনেক দিক দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ। একটি ফিতা কৃমি দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট (৯ মিটার) পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই ডায়েট মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা, মেনিনজাইটিস, মৃগীরোগ এবং ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রষ্ট)সহ অনেক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

এই কৃমি মস্তিষ্কে পৌঁছে গেলে স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও। কৃমির কারণে মস্তিষ্কে পানিও জমতে পারে ও সিস্ট (জলকোষ) হতে পারে। সিস্ট হলে অপারেশনও করতে হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে শুধু কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে কাজ হয় না। প্রদাহ বা খিঁচুনি কমানোর ওষুধও দিতে হয়।

এ ছাড়া কৃমি হলে কিছু মানুষের কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) আসক্তি অনেক বেড়ে যায়। অন্ত্রের কৃমিগুলোর জন্য পুষ্টি সরবরাহ করার পরও প্রচুর শর্করা উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে ওজন বাড়ে।

খাদ্য ইতিহাসবিদ অ্যানি গ্রে বলেন, উনিশ শতকের সময় ডায়েটিং একটি বড় বাণিজ্যে পরিণত হয়েছিল। ব্যাপক বিজ্ঞাপন ডায়েট পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছিল। প্রচুর ডায়েট পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। সেলিব্রিটি ও গণমাধ্যমের প্রসার সেসময় ডায়েট শিল্পের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।

অনেক বছর পর বিশ শতকের জনপ্রিয় মার্কিন অপেরা গায়িকা মারিয়া ক্যালাস ওজন কমানোর জন্য এ ধরনের পরজীবী খেয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে অনেকে বলেছেন, এটি শুধুই গুজব!

মেঝে থেকে ভাঙা কাচের টুকরো পরিষ্কারের সহজ উপায়

কাচের কোনো জিনিস মেঝেতে পড়ে গেলে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যায়। এসব ছোট ছোট টুকরো খালি চোখে দেখতে পাওয়া কঠিন। এগুলো পুরোপুরি সরিয়ে না ফেললে পায়ের তালুতে বিঁধে যেতে পারে। শিশুদের গায়েও বিঁধতে পারে। টর্চ জ্বালিয়ে খুব সহজেই এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাচের টুকরাগুলো শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলা যায়।

কাচের টুকরো শনাক্তে টর্চ

কাচের জিনিস মেঝেতে পড়ে ভেঙে গেলে সাবধানে নড়াচড়া করতে হবে। ঘরে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়াই ভালো। এরপর প্রথমে ঘরটিকে অন্ধকার করতে হবে। অন্ধকার করার পর মেঝের দিকে টর্চ তাক করলে কাচের টুকরাগুলো জ্বলজ্বল করবে। সেই সঙ্গে মেঝেতে টুকরোগুলোর বিপরীতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছায়া পড়বে। কাচের টুকরাগুলো ভালোমতো দেখতে সাবধানতার সঙ্গে মেঝের দিকে যতটা সম্ভব ঝুঁকতে হবে।

ভাঙা কাচের টুকরো নিরাপদে পরিষ্কার করতে

হাতে রাবার অথবা মোটা চামড়ার গ্লাভস পরে নিতে হবে। টর্চ ব্যবহার করে ছোট ছোট কাচের টুকরো শনাক্ত করার আগে সাবধানে বড় টুকরোগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। ঝাড়ু ব্যবহার না করাই ভালো। এতে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম টুকরোগুলো ঝাড়ুতে লেগে যাবে এবং পরে ঝাড়ুটি ব্যবহারের সময় মেঝেতে আবার কাচের টুকরা ছড়িয়ে যাবে।

তাই সাবধানতার সঙ্গে বড় টুকরোগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে ফেলাই ভালো। এরপর বাকি ক্ষুদ্র টুকরোগুলো শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলতে হবে।

পাউরুটি ব্যবহার করে

পাউরুটির একটি স্লাইস ব্যবহার করে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাচগুলো পরিষ্কার করা যায়। এ জন্য টর্চ জ্বালায়ে রাখা অবস্থায় হাতে গ্লাভস পরে কাচের টুকরোগুলোর ওপরে পাউরুটির টুকরো চেপে ধরতে হবে। এতে পাউরুটিতে কাচের টুকরোগুলো লেগে যাবে।

আলু ব্যবহার করে

ঘরে পাউরুটি না থাকলে বড় আকারের আলু ব্যবহার করেও কাচের টুকরো পরিষ্কার করা যায়। এ জন্য একটি আলু অর্ধেক করে কাটতে হবে। সেই আলুর অর্ধেক কাটা অংশ কাচের ওপরে চেপে ধরতে হবে। এতে কাচগুলো আলুর সঙ্গে উঠে যাবে।

ভেজা টিস্যু

টাওয়েল বা টয়লেট টিস্যু ভিজিয়ে কাচের টুকরোগুলোর ওপর রাখলে সেগুলো টিস্যুতে লেগে যাবে। আর এভাবে কাচের টুকরোগুলো সহজেই পরিষ্কার করা যাবে।

টেপ ও লিন্ট রোলার

টেপ (স্কচ টেপও হতে পারে) ও লিন্ট রোলার ব্যবহার করেও মেঝে থেকে কাচের টুকরো পরিষ্কার করা যায়। লিন্ট রোলার হলো একধরনের আঠালো টুল যা বিভিন্ন স্থানে ঝরে পড়া পোষা প্রাণীর লোম পরিষ্কারে ব্যবহার করা হয়।

এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার পরেও দ্বিতীয়বার টর্চ জ্বালিয়ে নিশ্চিত হতে হবে, যেন কোনো কাচের টুকরো বাদ না পড়ে।

সতর্কতা: এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই পায়ে জুতা বা স্যান্ডেল ও হাতে গ্লাভস পরতে হবে। আর কাচসহ পাউরুটি বা আলুর টুকরাগুলো এমন স্থানে ফেলতে হবে যেন শিশু ও পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে থাকে।


নিউজ ট্যাগ: ফিতা কৃমি

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ছাত্রকে গুলি করা সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে।

সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।

সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ডা. রায়হান শরীফ কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক।

ওদিকে উক্ত ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর