আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সাজার বিরুদ্ধে হাজী সেলিমের আপিল, জামিন আবেদন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমকে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে আজ মঙ্গলবার আপিল করা হবে। একই সঙ্গে আপিল আবেদনে তাঁর জামিন প্রার্থনা করা হবে।

হাজি সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা আজ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা সাজার বিরুদ্ধে আজ সকাল ১০টার পর আপিল করব। আগামী সপ্তাহে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আপিল গ্রহণ করার পর হাজি সেলিমের জামিন চাওয়া হবে।

এদিকে, দুদকের মামলায় দণ্ডিত সংসদ সদস্য হাজি সেলিমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ শারীরিক নানা জটিলতা থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার দুপুরে বিএসএমএমইউ-এর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত রোববার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হাজি সেলিম। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাজি সেলিমকে কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

নথি থেকে জানা গেছে, দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের রায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল থাকায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে আত্মসমর্পণ করেন হাজি সেলিম। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিচারিক আদালত হাজি সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২০ সালের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল বেঞ্চ তাঁর ১০ বছরের সাজা বহাল রাখেন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ রায় প্রকাশ হয়। এতে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৯ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে, নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাঁকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তাঁর সাজা বাতিল করেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।


আরও খবর



শুল্ক কমানো হলেও দফায় দফায় বাড়ছে খেজুরের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোজার খাদ্যতালিকায় অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো এবং বাজার তদারকিসহ সরকারের নানান উদ্যোগের পরও কমছে না এ খেজুরের দাম। কয়েকদিনের ব্যবধানে খেজুরের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে কেজিতে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা।

ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত শুল্ক, ডলার সংকট, এলসি না পাওয়া ও সরবরাহে ঘাটতি।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সৌদি আরবের মেডজুল, মাবরুম, আজওয়া ও মরিয়ম খেজুরের দাম এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। জাম্বো মেডজুল মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। সাধারণ মেডজুল ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০, মাবরুম খেজুর ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৫০০, আজওয়া খেজুর মানভেদে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। এ ছাড়া কালমি মরিয়ম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, সুফরি মরিয়ম ৭৫০ থেকে ৮০০, আম্বার ও সাফাভি ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ও সুক্কারি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

তবে পাড়া মহল্লার বাজার ও দোকানে এসব দামি খেজুর বিক্রি হচ্ছে আরও ৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দরে। সাধারণ মানের খেজুরের মধ্যে খুচরায় বর্তমানে প্রতি কেজি গলা বা বাংলা খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, জাহিদি খেজুর ৩০০ থেকে ৩২০ ও মানভেদে দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বরই খেজুর মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৫৪০ টাকায়।

পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালে রোজার আগে জাহেদি ব্র্যান্ডের খেজুরের দাম ছিল কার্টনপ্রতি (১০ কেজি) ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। চলতি বছরের দুই সপ্তাহ আগেও একই ব্র্যান্ডের খেজুরের দাম ছিল কার্টনপ্রতি এক হাজার ৮০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে খেজুরের শুল্কায়ন মূল্য প্রতি টন ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৭৫০ ডলার। ফলে শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর পরও খুচরা বাজারে দামে খুব একটা প্রভাব পড়ছে না।

আমদানিকারকরা জানান, এমনিতেই ডলার সংকটের কারণে তারা চাহিদা অনুযায়ী খেজুর আমদানি করতে পারছেন না। এর মধ্যে প্রকৃত মূল্যের চেয়েও বাড়তি দামে শুল্কায়ন খেজুরের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছে। যৌক্তিক অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণে কাস্টম কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েও তারা কোনো প্রতিকার পাননি।

এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে খেজুরসহ চার পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পর ব্যবসায়ীরা অনেকে বিপুল পরিমাণ খেজুর আমদানি করে বন্দরে খালাস না করে রেখে দেন। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন জারির পর ব্যবসায়ীরা আশানুরূপ খেজুর খালাস করেননি। যার ফলে দামে এর প্রভাব পড়ছে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাস্টমস নিজেরা নিজেরা পণ্যের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু করছে। গত বছর আমরা যে পণ্য ১ হাজার ডলার দিয়েছি এবার সে পণ্যের দাম ২ হাজার ৫০০ ডলার ধরেছে। আমরা ইরাক তিউনেসিয়া, আলজেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে খেজুর আমদানি করে থাকি। ইরাকি খেজুর ৯০০ ডলারে এলসি খুলেছি, আবর আমিরাতের খেজুর ১ হাজার থেকে ১২০০ ডলারের, আলজেরিয়া থেকে ১ হাজার থেকে ১২০০ ডলারের এলসি খুলেছি। পণ্যের কাস্টমস দিতে গিয়ে দেখি ৯০০ থেকে ১২০০ ডলারের এসব পণ্যের ভ্যালু ২ হাজার ৫০০ ডলার ধরেছে। যার কারণে খেজুরের দাম বেড়ে গেছে। এখন দাম কমানোর বিষয়টা কাস্টমসের ওপর নির্ভর করছে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




চট্টগ্রামে কোল্ড স্টোরেজে আগুন: নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

এবার চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকায় একটি কোল্ড স্টোরেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট কাজ করছে।

শুক্রবার (০১ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বাকলিয়া থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক বলেন, বেলা ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে তিনটি স্টেশনের সাতটি ইউনিট কাজ করছে। এর মধ্যে আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে তিনটি, চন্দনপুরা স্টেশন থেকে দুটি এবং লামার বাজার স্টেশন থেকে দুটি করে ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এখানে নতুন নির্মাণাধীন ভবনে হিমাগার নির্মাণ করা হচ্ছিল। কাঠ এবং ককশিটের সাহায্যে এ হিমাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। ভয়াবহ আগুনে পাশের ভবনে থাকা ১০-১২ জন বাসিন্দা ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এরআগে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নারী-শিশুসহ এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।


আরও খবর



দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি দম্পতিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকায় জোহানের্সবাগে নোয়াখালীর সেনবাগের অর্জুনতলা ইউনিয়নের প্রবাসী স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে আফ্রিকার জোহানের্সবাগে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, মো.মহিন ভূঞা (৩২) উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের ইসলাম পাটোয়ারী বাড়ির মো. হোসেন ভূঞার ছেলে ও তার স্ত্রী রুনা আক্তার (২২)। তিনি একই উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নেরে জমাদার বাড়ির মো.লিটনের মেয়ে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুর জব্বার।

তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আফ্রিকার জোহানের্সবাগে মহিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে। ওই সময় তারা স্বামী-স্ত্রী ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ভাগ্যক্রমে তাদের সঙ্গে থাকা তাদের দুই সন্তান বেঁচে যায়। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে আফ্রিকায় থাকা নিহতের ছোট দুইভাই বিষয়টি দেশের বাড়িতে জানায়। প্রাথমিকভাবে এর থেকে বেশি কিছু আমরা এখনো জানতে পারিনি। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের ছোট ভাই মো.মফিজ ভূঞা বলেন, জীবিকার সন্ধানে আমার বড় ভাই মহিন ২০০৮ সালে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। এরপর ছয় বছর আগে তার স্ত্রীকে নিয়ে যায়। আমার ভাবি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সন্ত্রাসীরা ভাবিসহ আমার বড় ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে।

ইউপি সদস্য আব্দুর জব্বার আরও বলেন, নিহত প্রবাসীর গ্রামের বাড়ির মসজিদের মাইকে তাদের মৃত্যু সংবাদ এলাকাবাসীকে জানানো হয়েছে। এতে গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবার তাদের মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুন : দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেখান থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অচেতন অবস্থায় কয়েকজন শিশু ও নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে ১২ জনকে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৬০ জনকে। ভবনটিতে আরও অনেকে আটকা পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বেইলি রোডের ওই ভবনের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। ৯টা ৫৬ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এখন ১২টি ইউনিট কাজ করছে। গুরুতর আহত ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৬০ জনকে। ভবনে আটকা পড়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ কামরুজ্জামান পরিবারসহ আটকে আছেন বলে সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। জাহিদুর রহমান নামে একজনের ওই পোস্টে বলা হয়েছে, কামরুজ্জামান তাকে ফোন করে জানিয়েছেন তিনিসহ অন্তত একশজন ওই ভবনে আটকা পড়েছেন।  

ঘটনাস্থলে আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। পুলিশ সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সহায়তা করছেন।

উদ্ধার কার্যক্রমে আনসার মোতায়েন : রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩ প্লাটুন সাধারণ আনসার ও এক প্লাটুন আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করছে।


আরও খবর



নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (০২ মার্চ)  বিকালে এ ঘটনা ঘটে।

মাইন বিস্ফোরণে আহত মো. ইব্রাহিম আশারতলী গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার লাইলা বেগমের স্বামী।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আশারতলী সীমান্ত পিলার ৪৪/৪৫ এর মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের ওপার থেকে গরু আনতে যান ইব্রাহিম। সেখানে মাইন বিস্ফোরণে শরীরে মারাত্মক জখম হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, বিস্ফোরণে আহত ওই ব্যক্তিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আরও খবর