আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শাবিপ্রবির রেজিস্ট্রারসহ তিন পরিচালকের পদত্যাগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ বেশ কয়েকজন পরিচালক পদত্যাগের পর এবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।

পাশাপাশি ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (আইআইসিটি) পরিচালক অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর তৈমুরও পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে পদত্যাগের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান। 

এর আগে বুধবার (৮ আগস্ট) প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্যসহ আবাসিক হলের প্রভোস্টরা পদত্যাগ করেন। পরবর্তী সময়ে শনিবার (১১ আগস্ট) ব্যক্তিগত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীনসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা পদত্যাগ করেন।

তবে শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেও বঙ্গবন্ধু গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল গণিসহ আরও কয়েকটি দপ্তর প্রধানরা পদত্যাগ করেননি বলে জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

অন্যদিকে, পদত্যাগ না চাওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন আজিজ খানসহ এই দপ্তরের আরও দুজন অতিরিক্ত পরিচালক পদত্যাগ করেন।

গত ০৭ আগস্ট শাবিপ্রবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ প্রশাসনিক বডির সবাইকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এরপর উপাচার্যসহ একে একে সবাই পদত্যাগ করেন।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



জামালপুরে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

অতিরিক্ত অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জামালপুর পৌর শহরের ইদিলপুর মৌজার ডাকপাড়া এলাকায় হাজী খুশিদা রহমানের পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগী পরিবার।

বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেসক্লাব জামালপুর মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জামালপুর পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত এসএম তৈহাজী খুশিদা রহমান ও তার ছেলে এস এম মোরশেদ আলম সংবাদ সম্মেলনে জমি দখলের অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.মিজানুর রহমান রংপুর রেঞ্জের দায়িত্ব পালন করছেন ও তিনি মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের গুজামানিকা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাজী খুশিদা রহমান বলেন, আমার স্বামী এস এম তৈয়বুর রহমান ও তার ছোট ভাই আব্দুল জব্বার ডাকপাড়া এলাকায় ১৬৮ শতাংশ জমি আরওআর রেকর্ডীয় মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করেন। সেই জমি বিআরএস রেকর্ডে কিছু অংশ তাদের অপর এক ভাইয়ের নামে রেকর্ড হয়। পরে আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করা হয়। সেই জমি দুই ভাই পূর্ণাঙ্গ মালিকানা পান। পরে রাস্তা ও গ্যাসের লাইনের জন্য সরকারীভাবে ৬১ শতাংশ জমি অধিগ্রহন করা হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তার শশুড় একক স্বাক্ষরে সেই অধিগ্রহনের টাকা উত্তোলন করেন। সেই হিসাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তার শ্বশুরের ২৩ শতাংশ জমি অবশিষ্ট থাকে। এর কিছুদিন পরে তিনি মারা যান। আর তার ছেলে সন্তান না থাকায় অবশিষ্ট ২৩ শতাংশ জমি মৃত আব্দুল জব্বারের মেয়ে ডিআইজি মো.মিজানুর রহমানের স্ত্রী নাসরিন দেবা সুমি, ভাই, ভাতিজা ও বোনেরা ওয়ারিশ হয়। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ২০১৬ সালে স্বামীর দাপটে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তাদের জমিসহ আমাদের ৮৪ শতাংশ জমি ও দোকানপাট জোর পূর্বক দখল করেন।

খুশিদা রহমানের ছেলে এস এম মোরশেদ আলম বলেন, ডিআইজি মিজানুর রহমান পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় তার নির্দেশে পুলিশ সাথে নিয়ে জমি দখল করে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের থানায় তুলে নিয়ে যায়। হামলা-মামলার হুমকি দেন, অপমান-অপদস্ত ও গালি গালাজ করেন। আমাদের দেখলেই ভয়ভীতি দেখান। সেই সময়ের আওয়ামী লীগের নেতারা ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এতোদিন ভয়ে আমরা কিছু করতে পারিনি। এখন সরকার পতনের পরও আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। জীবনের ভয়ে আছি। পুলিশ কর্মকর্তার হাত আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, আমি যতদিন যাবত সদর থানায় আছি। এ সময়ের মধ্যে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগে যদি ঘটে থাকে, আর কেউ অভিযোগ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করবো।

এ প্রসঙ্গে রংপুর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.মিজানুর রহমান বলেন, এটা আমার শ্বশুড়ের পৈত্রিক সম্পত্তি। তারা যে অভিযোগ করেছে সেটা অবান্তর। আপনারা খোঁজ খবর নিয়ে দেখতে পারেন। 

নিউজ ট্যাগ: জামালপুর

আরও খবর



শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের ‘লাল পাসপোর্ট’ বাতিলের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা লাল পাসপোর্ট বাতিল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাধ্যতামূলক অবসর ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হওয়া সচিবদের লাল পাসপোর্টও বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) পাসপোর্ট অধিদফতরকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

লাল পাসপোর্ট বাতিল হলে সাধারণ পাসপোর্ট পেতে তাদেরকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যাদের নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা আছে বা গ্রেফতার হয়েছেন তারা আদালতের আদেশ ছাড়া সাধারণ পাসপোর্ট পাবেন না।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের লাল পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ভারতে ৪৫ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন। এর ফলেই শেখ হাসিনা ভিসা ছাড়াই দেশটিতে অবস্থান করতে পারছেন। তবে ইতোমধ্যে ১৭ দিন পার হয়ে গেছে। আর ২৮ দিন শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করতে পারবেন।

তবে এর আগেই শেখ হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল হলে তাকে রাখতে বিকল্প চিন্তা করতে হবে ভারতকে। অপরদিকে, শেখ হাসিনার সাথে ভারতে আশ্রয় নেয়া শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী। ভারতে থাকতে তার কোনো সমস্যা নেই। অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধায় তিনি যতদিন খুশি ভারতে থাকতে পারবেন।


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করার দাবিতে জয়পুরহাটে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করার দাবিতে জয়পুরহাটে মানববন্ধন করেছে জেলার ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকালে ১১টায় শহরের জিরো পয়েন্ট পাঁচুর মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিতিদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলার ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কারী তাজরুল ইসলাম, মাছুম রেজা,জাকিয়া সুলতানা, ইসমত আরা, মাসুদ বিল্লাহ, আবু সাইদসহ অনেকেই।

বক্তারা প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা উপদেষ্টা কাছে চাকরির প্রার্থীদের বয়স সীমা ৩৫ বছর করার আবেদন জানান। অন্যথায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দেন।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



১০ বছরেও সুপেয় পানির সংকট কাটেনি জয়পুরহাট পৌরসভায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাট পৌরসভার বাসিন্দাদের সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয় ওভারহেড ট্যাংক। ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরসভার খঞ্জনপুরে প্লান্টটি নির্মাণ করা হলেও এর সুফল পাননি বাসিন্দারা। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণের কথা থাকলেও সেটা করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক যুগ ধরে পড়ে রয়েছে ওভারহেড ট্যাংকটি। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট না থাকায় ১০ বছর ধরে সুপেয় পানি সংকটে রয়েছে পৌরসভার বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি, অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ওই প্লান্টটি এখনো বাস্তবায়ন করা যায়নি। বর্তমানে ট্যাংকটি পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ১০ বছর ধরে তারা সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। দ্রুত ওই ট্যাংক চালু করে সুপেয় পানি সরবরাহের দাবি তাদের।

জয়পুরহাট পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৬ জুন ওভারহেড ট্যাংক ও পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণ শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মাঝারি শহরে পানি সরবাহ ও স্যানিটেশন (জিওবি-এডিবি) যৌথ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার খঞ্জনপুরে প্লান্টটি নির্মাণ করা হয়। তবে প্রকল্প প্যাকেজের আওতায় তখন শুধু ওভারহেড ট্যাংক নির্মাণ করা হলেও পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট করা হয়নি সেখানে। প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৯ টাকা। ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল কাজটি শেষ হয়। প্রকল্প বুঝিয়ে দিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৬৬৩ টাকা বিল উত্তোলন করে নিলেও ১০ বছরে সুপেয় পানি সরবরাহ করা যায় নি।

এব্যাপারে জয়পুরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঝর্ণা বলেন, আমি বিষয়টি পৌরসভার বিভিন্ন বৈঠকে আলোচনা করেছি। কিন্তু কেউ তখন সেটাকে গুরুত্ব দেননি। এজন্য সমাধানও হয়নি।

কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ শুরু হয়নি বলে মনে করেন পৌরসভার বাসিন্দারা। পরিত্যক্ত থাকায় ট্যাংকসহ ও অন্যান্য সরঞ্জাম অকেজো হয়ে পড়েছে।

এপ্রসঙ্গে প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঝর্ণা বলেন, এখানে অবশ্যই দুর্নীতি করা হয়েছে, না হলে এতদিনেও এটি চালু হলো না কেন? জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি। এজন্য আমি চাই এটা দ্রুত চালু করা হোক, এতে জনগণের উপকার হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি আবারো স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও পৌরসভার প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করব। শিগগিরই ট্যাংকটি চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে ট্যাংকটি বন্ধ থাকায় পূর্ব এলাকার ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। দ্রুত পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণ করে বন্ধ ট্যাংকটি চালুর দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।

খঞ্জনপুরের খালেক উদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক আব্দুর রহমান ও ফিরোজসহ কয়েকজন নাগরিক বলেন, আমরা হতাশ হয়েছি। এখনো অনেকেই জানেন না, ট্যাংকটি চালু নেই। পানির ট্যাংকটি ১০-১২ বছর আগে নির্মাণের পর থেকে এখনো চালুই হয়নি, অকেজো পড়ে রয়েছে। ট্যাংকটি কোনোদিন চালু না হওয়ায় এখান থেকে সুপেয় পানির সুবিধা আমরা পাচ্ছি না। সরকার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ট্যাংক নির্মাণ করেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টটি নির্মাণ না হওয়ায় যেসব পাম্প বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ছিল, সেগুলো এখন হারিয়ে গেছে। ট্যাংক চালু না হওয়ায় শহরের পূর্ব এলাকার সিও কলোনি ও বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরের ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। অনেক সময় পানের অযোগ্য পানি সরবরাহ করা হয়।

পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদুল ইসলাম সোহেল  বলেন, সবকিছুই বরাদ্দ ছিল, কিন্তু বিগত সময়ে মেয়রের গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে ট্যাংকটি চালু হয়নি। যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) খালেদুল হক জানান, প্রকল্পের আওতায় শুধু ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট করা হয়নি। এজন্য ওই ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। প্লানটি নির্মাণ করা হলে ওই অঞ্চলের অধিকসংখ্যক মানুষ সুপেয় পানি পাবে, পৌরসভার রাজস্ব আহরণও বাড়বে।

এপ্রসঙ্গে পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ রায়হান বলেন, আমি সদ্য প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

নেপালের ভেন্যু বাংলাদেশের জন্য পয়া। দুবার এই নেপাল থেকে শিরোপা এসেছে দেশের ফুটবলে। এবার ওই নেপালের মাটিতে স্বাগতিকদের ৪-১ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ছেলেদের ফুটবলে প্রথমবার ঘরে এসেছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের শিরোপা।

বুধবার নেপালের ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে প্রথম লিড নেয় বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-২০ দলের ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে লক্ষ্য ভেদ করেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ওই মিরাজুলের গোলে শিরোপার গন্ধ পেতে শুরু করে বাংলাদেশ যুবা দল। ৫৫ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন তিনি।

এরপর রাব্বির গোলে ব্যবধান ৩-০ হয়। ম্যাচের ৭০ মিনিটে গোল করেন তিনি। তবে পরেই এক গোল হজম করে বসেন গোলরক্ষক আসিফ হোসেন। তাতে অবশ্য বড় জয় আটকায়নি। ম্যাচে ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। শেষ বাঁশির আগে আরও এক গোল করে বড় জয় নিয়েই শিরোপার উচ্ছ্বাসে মেতেছেন কোচ একেএম মারুফুল হকের দল। শেষ গোলটি করেন পিয়াস আহমেদ।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪