আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাবিনাদের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর কেমন দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সিঙ্গাপুর নারী ফুটবল দলের মরোক্কান কোচ করিম বেনশেরিফা নিজের লক্ষ্যটা লুকাননি। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচকেই নিয়েছেন আগামীর প্রস্তুতি হিসেবে। সিঙ্গাপুর নিজেদের মেয়েদের দলটিকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাইছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ সেই প্রস্তুতিরই অংশ। আজ বিকেল চারটায় কমলাপুরের শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাবিনাসানজিদাতহুরামাসরুরাদের বিপক্ষে মাঠে নেমে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে চান সিঙ্গাপুর কোচ বেনশেরিফা।

মেয়েদের ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে সিঙ্গাপুরের অবস্থান ১৩০। বাংলাদেশের ১৪২। সিঙ্গাপুরের কোচ অবশ্য নিজেদের বাংলাদেশের চেয়ে খুব এগিয়ে রাখতে চান না, ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে আমরা এগিয়ে। তবে আমি মনে করি না, আমরা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ খুব ভালো দল। ম্যাচটা যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণই হবে বলে মনে করি আমি।

সিঙ্গাপুর দলটি আসলে কেমন? বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী টিটু মনে করেন, শারীরিক দিক দিয়ে দলটি বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও মাঠে লড়াইটা হবে সমানেসমান, ওদের দলটিকে যা দেখেছি, মনে হলো শারীরিক দিক দিয়ে ওদের মেয়েরা এগিয়ে। ওদের লম্বা খেলোয়াড় কয়েকজন আছে। লম্বা খেলোয়াড়েরা বাতাসে সুবিধা পাবে। কিন্তু আমরাও পিছিয়ে নেই। আমার দলে কুশলী খেলোয়াড় আছে। আমার দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। মাঠের লড়াইটা বেশ সমানেসমানই হবে বলে আমি মনে করি।

সাবিনা খাতুনদের কাছে সিঙ্গাপুর খুব একটা অপরিচিত প্রতিপক্ষ নয়। সিঙ্গাপুরের খেলোয়াড়দের মুখগুলো ভালোই চেনা বাংলাদেশের মেয়েদের। গত সেপ্টেম্বরে চীনের হাংজু এশিয়ান গেমসে গেমস ভিলেজে সিঙ্গাপুর দলের সঙ্গেই ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রতিদিনই সকালের নাশতার টেবিলে দেখা হতো দুই দলের খেলোয়াড়দের। সেই সিঙ্গাপুর আবার মাঠের প্রতিপক্ষ হিসেবে কিছুটা অপরিচিতই। এ দলটার সঙ্গে একটাই ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ৬ বছর আগে ৩-০ গোলে হারা সেই ম্যাচটিতে খেলেছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।

বাংলাদেশ হাংজু এশিয়ান গেমস থেকে একটা পয়েন্ট অন্তত নিয়ে ফিরতে পেরেছে। সিঙ্গাপুরের এশিয়াডঅভিজ্ঞতা মোটেও ভালো নয়, বাংলাদেশের তুলনায় তো বটেই। দুই দলই এশিয়াডে মেয়েদের ফুটবলের দুই ফাইনালিস্টকে পেয়েছিল নিজেদের গ্রুপে। বাংলাদেশ জাপানের কাছে ৮-০ গোলে হেরেছিল। উত্তর কোরিয়ার কাছে সিঙ্গাপুর হেরেছিল ১০-০ গোলে। সিঙ্গাপুর যে গ্রুপে খেলেছিল, তাতে দল ছিল দুটিই। সে কারণে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও আরেকটি ম্যাচ খেলেছিল তারা। সেটিতে হার ৭-০ গোলে। সিঙ্গাপুরের সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোর ফলে চোখ বোলালেও সাবিনারা সাহস পেতেই পারেন। সর্বশেষ আট ম্যাচে তাদের জয় দুটি। পাকিস্তান ও লাওসের বিপক্ষে।

তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচের অনভ্যাস সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ভোগাতে পারে সাবিনাদের। গত বছর সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর থেকেই বাংলাদেশে মেয়েদের ফুটবলটা একটু যেন এলোমেলো। সাফ জেতার পর ১০ মাস আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলারই সুযোগ মেলেনি বাংলাদেশের মেয়েদের। বসে থাকার এই সময়টা অনেক ওলটপালটও দেখেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। কয়েকজন নিয়মিত খেলোয়াড় অভিমান করে কিংবা পারিবারিক কারণেই অবসরে গেছেন। দীর্ঘদিনের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন দায়িত্ব ছেড়েছেন। গত জুলাই মাসে নেপালের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ম্যাচঅনুশীলনের অভাবটা ভালোই বোঝা গিয়েছিল। শুধু অনুশীলনকে পুঁজি করে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসে বিশ্বমানের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে মেয়েদের। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জাপানের কাছে ৮০ গোলে উড়ে যাওয়ার পর ভিয়েতনামের বিপক্ষে ৬১ গোলের হার। নেপালের বিপক্ষে যে ম্যাচটিকে জয়ের লক্ষ্য বানিয়ে খেলতে যাওয়া হয়েছিল, জেতা হয়নি সেটিও (১১ ড্র)। সব মিলিয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ম্যাচ না খেলতে পারার ব্যাপারটি ভোগাচ্ছে দলকে। এর ওপর দলের সবচেয়ে কুশলী ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকারের অনুপস্থিতি চিন্তায় ফেলছে সবাইকে।

সিঙ্গাপুরের মান যাই হোক, পেশাদার কাঠামোর মধ্যেই তাদের বিচরণ। দেশটিতে মেয়েদের ফুটবল লিগ নিয়মিত। ২০২৩ সালেই সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ৮টি। সামনেও যে প্রতিটি ফিফা উইন্ডো ব্যবহার করার পরিকল্পনা তাদের, সেটি কোচ বেনশেরিফা নিজেই বলেছেন, নিজেদের দলকে আমরা নতুন করে তৈরি করছি। সামনে ফিফা উইন্ডোতে যে ম্যাচগুলো আছে, সেগুলো খেলব। এর আগে বাংলাদেশে এসেছি নিজেদের ঝালিয়ে নিতে। আমাদের প্রস্তুতি কতটা হয়েছে, আরও কতটা লাগবে, সেটা বুঝতে পারব বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে। এশিয়াডে আমরা বাংলাদেশ দলকে দেখেছি। দলটা যথেষ্ট ভালো। আমরা এ ম্যাচটিকে প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছি।

সিঙ্গাপুরের কোচ বেনশেরিফা এমন কথা বলতে পারছেন। কিন্তু বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী জানেন না, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এ দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর আবার কবে জাতীয় দল মাঠে ফিরবে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের দাবিটা জানিয়ে রেখেছেন, আমরা সারা বছর ট্রেনিংয়ের মধ্যেই থাকি। কিন্তু ম্যাচ খেললেই আসলে বোঝা যাবে, এই ট্রেনিং কতটা কাজে এসেছে। আমরা এমন ম্যাচ বেশি করেই খেলতে চাই। নিয়মিতই খেলতে চাই।

নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ঘাটতি নিয়ে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধানটা বাংলাদেশের মেয়েরা অতিক্রম করতে পারবে কি না, সেটি আজ কমলাপুরের শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামেই দেখা যাবে।


আরও খবর



চাকরি হারাচ্ছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, বেতন ফেরত দিতে হবে সুদসহ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের ২৫ হাজার শিক্ষক চাকরি হারাচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের এক আদেশ অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষককে চাকরি ছাড়তে হবে। একইসঙ্গে এই সময়ে তারা যে বেতন তুলেছেন তা ১২ শতাংশ সুদসহ ফেরত দিতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের জন্য এই আদেশ বড় এক ধাক্কাই। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি দেবাংশু বাসাক ও মো. শাব্বার রশিদির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানান, স্কুলশিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ ছিল। তারা খালি ওএমআর শিট জমা দিয়ে শিক্ষক হয়েছেন।

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও আদেশ দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ছাটাইকৃত শিক্ষকদের বেতন ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। বেতন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের। ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া শুধুমাত্র একজন শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। সোমা দাস নামে ওই শিক্ষিকার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। বেঞ্চটি সিবিআইকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আরও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ারের তালিকা প্রকাশ, আছেন সৈকত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপ নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে আইসিসিও। বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা প্রকাশ করল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

শুক্রবার (৩ মে) বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের জন্য আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। ২৬ জনের তালিকায় ম্যাচ রেফারি আছেন ৬ জন, আর আম্পায়ার আছেন ২০ জন। আম্পায়ারদের তালিকায় আছেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। 

গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করে সুনাম কুড়িয়েছেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার। কয়েকদিন আগেই পেয়েছেন আইসিসির এলিট প্যানেল আম্পায়ারের স্বীকৃতি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করার আগে মেয়েদের বিশ্বকাপ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত।

চলতি বছরের ১ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আসরে অংশ নেবে ২০ দল। ২৮ দিন ব্যাপী আসরের পর্দা নামবে ২৯ জুন।

বিশ্বকাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের তালিকা

আম্পায়ার: ক্রিস ব্রাউন, কুমার ধর্মসেনা, ক্রিস জেফানি, মাইকেল গগ, আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক, রিচার্ড এলিংওর্থ, আল্লাহুদিন পালেকার, রিচার্ড কেটেলবোরো, জয়ারামান মাদানাগোপাল, নিতিন মেনন, স্যাম নোগাস্কি, এহসান রাজা, রশিদ রিয়াজ, পল রাইফেল, ল্যাংটন রুসিয়ার, শহীদ সৈকত, রডনি টাকার, অ্যালেক্স হোয়ার্ফ, জোয়েল উইলসন ও আসিফ ইয়াকুব।

ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন, জেফ ক্রো, রঞ্জন মাদুগালে, অ্যান্ড্রু পাইক্রফট, রিচি রিচার্ডসন ও জাভাগাল শ্রীনাথ।


আরও খবর



বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ২৭ দশমিক ৬৪ স্কোর নিয়ে ২ ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম অবস্থানে বাংলাদেশ। এ বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) শুক্রবার (৩ মে) এই সূচক প্রকাশ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে নেপাল; ৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ৭৪তম অবস্থান দখল করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১০৬তম অবস্থানে। এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থান থেকে ছিটকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভুটান। ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের পেছনে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত। এই তিন দেশের বৈশ্বিক অবস্থান যথাক্রমে ১৫০, ১৫২ ও ১৫৯তম।

গত বছরের ১৬১ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৫৯তম অবস্থান পেয়েছে ভারত। আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ স্থান পেয়েছে। ২৬ ধাপ পিছিয়ে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ১৭৮তম, পয়েন্ট মাত্র ১৯ দশমিক ০৯।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই প্রতিবেদনে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কর্মস্থল হিসেবে মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে নরওয়ে। তাদের পয়েন্ট ৯১ দশমিক ৮৯। শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তা যাচাই করা হয়। এই সূচকে পাঁচটি বিষয় আমলে নেয়া হয়। এগুলো হলো-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নিরাপত্তা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের মুক্ত গণমাধ্যম রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, যাতে রাজনৈতিক সূচকের উল্লেখযোগ্য হ্রাস থেকে নিশ্চিত হয়েছে। এ বছর এই সূচকের বৈশ্বিক গড় সাত দশমিক ছয় শতাংশ কমেছে।


আরও খবর



বিএনপি দিনে দিনে আরও দুর্বল হচ্ছে: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন, প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে সিমপ্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতারা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তার সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। এখন অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে!

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির নেতারা টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালান। বিএনপির নেতাদের বোঝা উচিত, বিরোধীদল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত।

অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল, সেসব কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনো শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যোগ করেন সেতু মন্ত্রী।


আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশু-সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) সম্মেলনের ৮০তম সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনো বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে, তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু তারাই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।


আরও খবর