আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত আর নেই

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আর নেই। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এম এ মুহিতের ভাই বাংলাদেশ পল্লী শিশু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ এস এ মুয়িয সুজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এস এ মুয়িয সুজন জানিয়েছেন, রাত সোয়া ১২টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা ও বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টায় তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। এরপর দাফনের জন্য মরদেহ নেওয়া হবে সিলেটে। রায় নগরের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন জানান, নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়স্থ সাবেক অর্থমন্ত্রীর বাসভবনে জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার দুপুর ১২টায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ। ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্ম নেওয়া মুহিত তার মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী ও বাবা আবু আহমদ আবদুল হাফিজের ১৪ সন্তানের মধ্যে ছিলেন তৃতীয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার ছোট ভাই।

আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন তিনি। পরের বছর একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। অংশ নিয়েছিলেন ভাষা আন্দোলনে। ছাত্রজীবনে সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। বিদেশে চাকরিরত অবস্থায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন তিনি। আর ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।

১৯৫৬ সালে আবদুল মুহিত যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি)। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হিসেবে ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। অর্থনৈতিক পরামর্শক হিসেবে ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসে যোগদান করেছিলেন। ছিলেন পাকিস্তান কর্মপরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ও উপ-সচিব। ওয়াশিংটন দূতাবাসে কূটনীতিকের দায়িত্ব পালনের সময় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের জুনে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন।

১৯৭১ সালে গঠিত অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াশিংটন দূতাবাসে ইকনমিক কাউন্সেলরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। এছাড়াও, ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুহিত।

১৯৮১ সালে আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন। এরপর তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি এবং উন্নয়ন বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থা বা ইফাদেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ১৯৮২-১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেনন মুহিত। পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), আইডিবি ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আবুল মাল আবদুল মুহিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহা ঐক্যজোটের মনোনয়নে সিলেট-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ জানুয়ারি ৬ তারিখে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বছর বাজেট উপস্থাপন করেছেন জাতীয় সংসদে।

২০২১ সালের ২৫ জুলাই আবদুল মুহিত করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত মার্চের শুরুতে আবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন কিছুদিন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ১৪ মার্চ সিলেট ঘুরে আসেন। সিলেট সিটি করপোরেশন ১৬ মার্চ তাকে গুণীশ্রেষ্ঠ সম্মাননা’ দেয়।


আরও খবর



রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন পুতিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি।

এ সময় জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় পুতিনকে। বেইজিং বিমানবন্দরে পুতিনকে পুরনো বন্ধু মন্তব্য করে স্বাগত জানান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এছাড়া চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া পুতিনের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করে "পুরনো বন্ধুর" রাষ্ট্রীয় সফর হিসাবে বর্ণনা করেছে।

পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর। বৃহস্পতিবার এ খবর জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সফরকালে পুতিনের সাথে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এছাড়া দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করবেন তাঁরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈঠকে রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন, বিশেষ করে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং রাশিয়ার বাজারে চীনা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির প্রবাহ র্নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা করেছেন পুতিন, যা রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইতে পারে চীন।

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এমন পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।

সফরে আজ বিকেলের সিকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।

গতকাল বুধবার বেইজিং সফরের প্রাক্কালে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন। এতে তিনি বলেন, ইউক্রেনসংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের পরিকল্পনায় তাঁর সমর্থন রয়েছে। কেননা ইউক্রেনসংকটের পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে বেইজিংয়ের পূর্ণ ধারণা আছে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হরিতলা নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মাধবপুর থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খান জানান, রাত দেড়টার দিকে হরিতলা নামক জায়গায় একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারেরে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রাইভেটকার থেকে এক নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্বার করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহগুলো হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, সিলেট থেকে মাজার জিয়ারত শেষে ৫ জন ঢাকায় ফিরছিলেন।পথে সিলেটগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হয়েছেন।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর



টানা ৮ দফা কমার পর বাড়লো সোনার দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা আট দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। রোববার (৫ মে) থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

আট দফা দাম কমার পর এখন সোনার দাম বাড়লো। শনিবার (৪ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুস সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৬৩ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭১২ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ১৯ হাজার ২২৩ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৩ এপ্রিল সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮০৭ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫৫২ টাকা কমিয়ে ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হবে।

সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুপুর ১টার মধ্যে সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৮ মে) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, বরিশাল এবং কুমিল্লা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া অপর এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪