আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

র‍্যাঙ্কিংয়ে কোহলির বড় লাফ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তিন দিন পেরিয়ে গেলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের মহানাটকীয় মহারণ এখনো চোখে লেগে আছে। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ৫৩ বলে ৮২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে ভারতকে জিতিয়েছেন বিরাট কোহলি।

মেলবোর্নের সব আলো কেড়ে নেওয়া কোহলি ম্যাচসেরার পুরস্কার তো পেয়েছেনই, এবার র‍্যাঙ্কিংয়েও সুখবর মিলেছে। আজ প্রকাশিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শীর্ষ দশে উঠে এসেছেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা। ছয় ধাপ এগিয়ে এখন আছেন নয়ে। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৬৩৫।

৮৪৯ রেটিংয়ে যথারীতি শীর্ষে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করছিলেন সূর্যকুমার যাদব। তবে রোববারের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি নেমে গেছেন তিনে। সূর্যকুমারের জায়গা নিয়েছেন ডেভন কনওয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ৯২ রানের পুরস্কার পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার।

ব্যাটসম্যানের টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে পরের পাঁচ স্থান বাবর আজম, এইডেন মার্করাম, ডেভিড ম্যালান, অ্যারন ফিঞ্চ ও পাতুম নিশাঙ্কার। শীর্ষ দশের শেষজন আরব আমিরাতের মুহাম্মদ ওয়াসিম।

দুই মাস আগেও র‍্যাঙ্কিংয়ের ৩৫ নম্বরে নেমে গিয়েছিলেন কোহলি। ছন্দ হারিয়ে নিজেকে খুঁজতে থাকা ভারতের সাবেক অধিনায়ককে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে না রাখারও জোর দাবি উঠেছিল।

তবে লাইফ লাইন হিসেবে পাওয়া এশিয়া কাপ কোহলিকে কক্ষপথে ফিরিয়েছে। আরব আমিরাতে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৬ রান, গড়টাও ঈর্ষণীয়৯২! টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। ঘুচিয়েছেন ১০২০ দিনের আক্ষেপ।

এর পর থেকেই আছেন দারুণ ছন্দে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ে উপহার দিয়েছেন কার্যকর দুটি ইনিংস (৬৩ ও ৪৯*)। সেসবের সুবাদে ২০ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছিলেন ১৫ নম্বরে। এবার ঢুকে পড়লেন সেরা দশে।

কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। দলের মতো তিনিও ছিলেন নিষ্প্রভ। টি-টোয়েন্টির দাবি মেটাতে না পেরে প্রথমবার ছিটকে যান শীর্ষ দশের বাইরে।এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেরা ব্যাটসম্যানদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় উঠে এলেও পরে আবার নেমে যান। 

বোলারদের টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান ফিরে পেয়েছেন রশিদ খান। আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার সিংহাসন থেকে সরিয়ে দিয়েছেন জশ হ্যাজলউডকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন রশিদ। বৃষ্টিতে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ পণ্ড হয়ে যাওয়ার ঘূর্ণি-জাদু দেখাতে পারেননি তিনি।

ওদিকে শনিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের দিনে বেদম পিটুনি খান হ্যাজলউড। গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো করলেও তাঁকে হারাতে হয়েছে শীর্ষ স্থান। 

টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়কের রেটিং পয়েন্ট ২৬১।

১৪ পয়েন্ট কম নিয়ে তাঁর ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী। পাকিস্তানের বিপক্ষে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে (৩ উইকেট ও ৪০ রান) তিনে উঠে এসেছেন ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া।


আরও খবর



বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা যেভাবে পরিণত হলো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙতি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার। আমরা তো তিমির বিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ।

২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ বা বাংলা বর্ষবরণ, যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আনন্দে মাতবে গোটা দেশ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। এদিনের অন্যতম আকর্ষণ বর্ণিল সাজ আর আয়োজনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাই কদিন ধরেই শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালকায় চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা তৈরিতে জোর প্রস্তুতি চলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা।

ইতিহাস

বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি আগের নয়। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার খর্বিত মৌলিক, মানবিক অধিকার আর বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার। ঠিক এই সময় হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে আশার বাণী শোনাবার জন্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছে।

চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই শোভাযাত্রা পুনরায় চারুকলার গেটে এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষ একটি উৎসব হিসেবে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে পালিত হয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে প্রথমে চারুকলায় হওয়া শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে এর নাম দেয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে হওয়া প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। এ শোভাযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং ধর্মের মানুষেরা অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের সময়। ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি সংস্কৃতিক বলয় তৈরির জন্য প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পাখি, মাছ, ফুল, মুখোশ বানানোর কাজ। এই শোভাযাত্রা আরও একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে।


আরও খবর



মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর



শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

এর আগে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।

তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তিন তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।


আরও খবর



রাজধানীর শ্যামবাজারঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে জেটিতে থাকা একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। এমভি বাঙালি নামে লঞ্চটির তিনতলায় এ আগুন লাগে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় লঞ্চে কোনো যাত্রী ছিল না।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগুনের ফোন পাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। বর্তমানে সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনে ২টি ইউনিটসহ মোট ৪টি ইউনিট কাজ করছে।

আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ জানা যায়নি।


আরও খবর



নারী ইউপি মেম্বারকে চড় দিয়ে খেলেন জুতাপেটা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারি চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাড়িঘর।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় কোন একটি বিষয় নিয়ে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল হাই ও ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য একই গ্রামের রাহেলা বেগমের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আব্দুল হাই উত্তেজিত হয়ে রাহেলা বেগমকে চড় মারলে রাহেলা বেগম আব্দুল হাইকে জুতাপেটা করেন। এ ঘটনার পর আব্দুল হাই ও রাহেলা বেগমের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যার জেরে রাত ১২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ৫টি বাড়িঘর।

আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ৫ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, সরকারি চাল বিতরণ নিয়ে মান্দারকান্দি গ্রামের ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের মধ্যে ঝামেলা হয়। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর