আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য রূপপুরে পৌঁছেছে পঞ্চম চালান। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রকল্প এলাকায় ঢোকে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িটি।

পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার স্যানাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালানটি সড়কপথে রূপপুরে আনা হয়েছে। গাড়িটি ঢাকা থেকে আসার সময় ভোর ৫টা থেকে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছা পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ইউরেনিয়ামের চালান প্রকল্পের মধ্যে ঢোকার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

আরও পড়ুন>> ২৮ অক্টোবর ঘিরে নাগরিকদের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালানটি বিশেষ বিমানে করে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আমদানি করা পারমাণবিক এ জ্বালানি সড়ক পথে নেওয়া হয় রূপপুরে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম, ৬ অক্টোবর দ্বিতীয়, ১৩ অক্টোবর তৃতীয় ও ২০ অক্টোবর ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান ঢাকা থেকে সফলভাবে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছে। মোট সাতটি চালানের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও দুটি চালান দেশে আসবে। মোট সাতটি চালানে আসা জ্বালানি দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এক বছর ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।


আরও খবর



তালতলীতে হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মোঃ নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিক মোঃ  নয়া  মিয়া ফকির একই গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই সোবাহান ফকির বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



শিশুদের নিডো-সেরেলাকে বাড়তি চিনি মেশাচ্ছে নেসলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাকে বাড়তি চিনি পাওয়া গেছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। বাড়তি চিনির এসব পণ্য বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতে সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে- বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, থাইল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতেই এই প্রবণতা বেশি। এসব দেশে নেসলের ব্র্যান্ড নিডো বেশ পরিচিতি। আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, শিশুদের জন্য নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবগুলোতেই বাড়তি চিনি আছে।

যৌথ এ গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি পণ্য চালু আছে। যার প্রতিটিতেই বাড়তি চিনি আছে। গড়ে এসব পণ্য থেকে একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার খাওয়ানো হয় তাতে বাড়তি চিনির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম।

বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতেও নেসলের শিশুখাদ্য বাড়তি চিনির প্রমাণ মিলেছে। বিপরীতে, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে এসব পণ্যে বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



শপথ নিলেন আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত ৩ বিচারপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।

এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে ওইদিন প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল আটজনে।


আরও খবর



চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ জন কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপ-পরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)।

এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে।

চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু এখন হয়েছে উল্টো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।


আরও খবর



চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচন

নেই ব্যবসায়িক লাইসেন্স অথচ ভোটার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বহু নাটকীয়তার পর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলে ১৪জন, দুলাল-বাবলু-আরমান প্যানেলে ২২জন ও একক প্যানেলে সৈয়দ আব্দুল করিম'র ছবি সম্মিলিত তালিকা প্রকাশ করে ৩টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছিলো।

কিন্তু শনিবার (১৩ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নির্বাচনের তারিখ পেছানোর জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছিলো আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলটি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ান। সে সময় ভোটের মাঠে থাকার কথা জানালেও সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তারা ভোট বর্জন করেন। সেই সাথে একক প্রার্থী সৈয়দ আব্দুল করিম ও বর্জন করেন। ফলে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই অংশ নিয়েছে দুলাল-বাবলু ও আরমান প্যানেল। তবে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

এবারের নির্বাচনে ৫ হাজারের অধিক ভোটারের মধ্যে অনেকেরই ব্যবসায়িক লাইসেন্স (ট্রেড লাইসেন্স) নেই, অথচ ভোটারের লাইনে দাড়িয়ে ভোট প্রদান করছে এমন ভোটারের সংখ্যাও কম নয়। প্রশ্ন ওঠে নির্বাচনের নামে চেম্বারে হচ্ছে টা কি?।

সদরের জগন্নাথপুর থেকে ভোট দিতে এসেছেন মোটরসাইকেল মেকানিক এক ভোটার। নিজস্ব বৈধ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারেননি, নেই ট্রেড লাইসেন্স। তবে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে ভোট দেন তিনি। এই ভোটার জানান, মুঠোফোনে তাকে জানানো হয়েছে তিনি চেম্বারের ভোটার। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হিমাগারে কাজ করে এমন শ্রমিকদের একাংশকে ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে। ওষুধ কোম্পানীতে চাকরি করে এমন ব্যক্তিও ভোটার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিমাগারে কাজ করা এক শ্রমিক বলেন, আমি হিমাগারে কাজ করি। কিন্তু আমার বংশ পরম্পরায় ব্যবসায়ী। তাই আমি চেম্বারের ভোটার। আমার হিমাগার মালিক আমাকে এমন সুযোগ করে দিয়েছেন। ওষুধ কোম্পানীতে চাকরি করা এক ব্যাক্তি ভোট প্রদান করে জানালেন তিনিও মোবাইলে জানতে পেরেছেন ভোটের কথা। এর আগে এলাকার এক ছোট ভাই তার থেকে আইডি কার্ড আর ছবি জমা নিয়েছিলেন।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন দুলালি আক্তার। নিজ বাড়িতে তার একটা দুলালি ফার্মেসি নামের প্রতিষ্ঠান আছে। যার ট্রেড লাইসেন্স আর ড্রাগ লাইসেন্স কোনটিই মনে নেই তার। তিনি বলেন, মামা হিমাগারে ম্যানেজার। তিনি ভোটার হতে সাহায্য করেছেন।

জাতীয় তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঠাকুরগাঁও সদস্য সচিব মো: মাহবুব আলম রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ১২ বছর পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এখানে সাধারণ শ্রমিক সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ভোটার হয়েছে। অনেকেই আছে যারা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না। তাহলে অন্য যে প্যানেলটি অভিযোগ করেছে নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা হয়নি। সেটার প্রমাণ পাওয়া গেলো। এই নির্বাচনে ব্যবসায়িরা তাদের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে।

এব্যাপারে  ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনী বোর্ডের আহ্বায়ক সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: বেলায়েত হোসেন বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রার্থী অভিযোগ করছেন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট তা জানানোর সুযোগ ছিল। নির্ধারিত সময়ে আপিল কর্তৃপক্ষ বরাবর ভোটার তালিকা নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা নিষ্পত্তি হয়েছে। আপিল নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর অভিযোগ করায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।

ভোটের মাঠে একক ভাবে লড়াই করেছেন দুলাল-বাবলু ও আরমান প্যানেল। মোট ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৩৮ জন।


আরও খবর