আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রথম চালান পৌঁছানোর দুই সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান এসে পৌঁছেছে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর প্রকল্পে।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে সড়ক পথে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে। রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) কান্তি কুমার মদক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কান্তি কুমার মদক জানান, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইউরেনিয়ামের গাড়ি রূপপুর প্রকল্পের ভেতরে প্রবেশ করে। এর আগে জেলার প্রবেশ সীমানা ঈশ্বরদীর মুলাডুলিতে এসে পৌঁছায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশেষ বিমানে ঢাকায় এসে পৌঁছায় রূপপুরের জন্য আনা ইউরেনিয়াম। 

আরও পড়ুন>> আজ আ.লীগ কার্যালয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রতিনিধিদল

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাশিয়া থেকে ঢাকায় আসার পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান রূপপুরে আনা হয়েছিল। গত শুক্রবার আনা হয় ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান।

ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালানের গাড়িবহর ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া মোড় হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকার ভেতরে পৌঁছালে আজও কর্মরত বাংলাদেশি ও রাশিয়ার কর্মীরা স্বাগত জানায়।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, প্রথম চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে আমদানি করা পারমাণবিক জ্বালানি সড়কপথে রূপপুরে নেওয়া হয়। আরও চালান দেশে আসবে। প্রথম চালান আসার পর থেকেই রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রটি পারমাণবিক স্থাপনায় উন্নীত হয়েছে। ৫ অক্টোবর রূপপুরে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে পারমাণবিক জ্বালানি সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



ইউনিক পরিবহনের ছিল না ফিটনেস, রুট পারমিট, এমনকি ট্যাক্স টোকেনও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ইউনিক পরিবহনের যে বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হন, সেই বাসটি ফিটনেস ছাড়পত্র ও ট্যাক্স টোকেন ছাড়াই তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলাচল করছে।

এমনকি যেই ঢাকা-মাগুরা রুটে দুর্ঘটনাটি হয়, সেই রুটে বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-১৭৫৯) চলাচলের অনুমোদনও ছিল না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বাসটির চট্টগ্রাম-বগুড়া রুটে চালানোর অনুমোদন থাকলেও ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে তা আর হালনাগাদ করা হয়নি।

কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বেশ কয়েকটি ধারা লঙ্ঘন করে কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই দূরপাল্লার এই বাসটি চলাচল করেছে।

অন্যদিকে যে পিকআপের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়, পণ্য পরিবহনের সেই পিকআপটিও বিধি লঙ্ঘন করে যাত্রী পরিবহন করছিল।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ঘটা এই দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেকে আহতও হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা সবাই পিকআপের (যশোর-ন ১১-১৩৩৯) যাত্রী ছিলেন।

বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, বাসটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বার্ষিক ফিটনেস ছাড়পত্র নেয় এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ফিটনেস ছাড়পত্র ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, বাসটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ট্যাক্স টোকেন হালনাগাদ করে, যার মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৬ ধারা অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ ট্যাক্স টোকেন নিয়ে গাড়ি চালালে কোনো ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

বাসটি চট্টগ্রাম-বগুড়া রুটে চলাচলের অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রুট পারমিটের মেয়াদও শেষ হয়ে যায় বলে সূত্র জানিয়েছে।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চালালে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বাসটির মালিক কে?

বিআরটিএর নথি অনুযায়ী, ইউনিক পরিবহনের সেই বাসটির মালিক ঢাকার তেজগাঁও এলাকার ইসহাক মিয়ার ছেলে শামসুল হুদা।

শামসুল হুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাঁচ-ছয় বছর আগে তিনি নাজমুল হোসেন নামে একজনের কাছে বাসটি বিক্রি করেছেন।

কিন্তু বাসটি শামসুল হুদার কোম্পানি ইউনিক পরিবহনের ব্যানার ব্যবহার করছিল।

নতুন মালিক তার প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ব্যবহার করতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, তারা এটা ব্যবহার করতে পারবে না। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে, অনেক বাস এই পদ্ধতি অবলম্বন করে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শামসুল হুদা জানান, তিনি বাসটির নতুন মালিককে বিক্রয় রশিদ দিয়েছেন। কিন্তু নতুন মালিক কেন বিআরটিএতে গিয়ে মালিকানা দলিল পরিবর্তন করেননি, তা তিনি জানেন না।

বিষয়টি নিয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাসটির রুট পারমিট বা ফিটনেস ক্লিয়ারেন্স না থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই।

টেলিফোনে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করব এবং তখন সবকিছু প্রকাশ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি বাসটির বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকার কাছে ঘুরতে পারেন যেসব জায়গায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

নববর্ষসহ ঈদের ছুটিটা এবার বেশ লম্বা। এদিকে ছুটিতে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষই গ্রামে ছুটেন। তবে যারা রাজধানীতে ঈদ উদযাপন করবেন ও ছুটি কাটাবেন তার চাইলে ঢাকার আশপাশেই ঘুরে বেড়াতে পারেন কয়েকটি জনপ্রিয় স্পটে। ঈদের ছুটিতে পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দল বেঁধে ঘুরে আসতে পারেন এসব স্পটে। চলুন কয়েকটি স্পটের কথা জেনে নেয়া যাক।

সোনারগাঁ জাদুঘর : বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনটি সোনারগাঁ জাদুঘর হিসেবেই পরিচিত। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এর অবস্থান। এক সময় মসলিনের জন্য বিখ্যাত ছিল সোনারগাঁ। মসলিনের বিকল্প জামদানি শাড়ি সরাসরি তৈরি করতে দেখা যাবে কারুপল্লীর ভেতরে। এখানে দেখার মতো রয়েছে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর ও ফাউন্ডেশন চত্বর। লেকঘেরা ফাউন্ডেশন চত্বরে রয়েছে কারুপল্লী, নৌকা ভ্রমণ ও টিকিট কেটে মাছ ধরার সুযোগ।

বার ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈসা খাঁ দীর্ঘদিন সোনারগাঁ শাসন করেছেন। সোনারগাঁয়ের চারদিকে নদী দিয়ে ঘেরা ছিল বলে সহজে সোনারগাঁকে কোনো শত্রু আক্রমণ করতে পারতো না। ১৯৭৫ সালে এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর। কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা।

জিন্দা পার্ক : কম সময়ে ও কম খরচে ঘোরার জন্য যেতে পারেন পূর্বাচল হাইওয়ের কাছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত জিন্দা পার্কে। সারাদিন সবুজের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে ফিরে আসতে পারেন কিংবা থেকে যেতে পারেন রাতেও। খাওয়া দাওয়ার জন্য পার্কের ভেতরেই আছে রেস্টুরেন্ট।

জল জঙ্গলের কাব্য : জল জঙ্গলের কাব্য গাজীপুর জেলার পুবাইলে অবস্থিত। নগর জীবন থেকে বের হয়ে খোলামেলা গ্রামীণ পরিবেশ উপভোগ করতে চাইলে জায়গাটি আদর্শ। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা ও রাতের খাবারসহ সব সুবিধা পেয়ে যাবেন এখানে।

ড্রিম হলিডে পার্ক : ড্রিম হলিডে পার্ক ঢাকার পাশেই নরসিংদীতে অবস্থিত একটি থিম পার্ক। পরিবার পরিজনদের নিয়ে সারাদিন হৈচৈ আর আনন্দে মাতামাতি করতে অথবা পিকনিক করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাটি থেকে। রাতে থাকার জন্যও রয়েছে রিসোর্টের সুব্যবস্থা।

পানাম নগরী : বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের পানাম নগরী বীর ঈশা খাঁর সময়কালে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। সোনারগাঁয়ের রাজকার্য পরিচালিত হতো পানাম নগরী থেকে। বর্তমানে যে পানাম দাঁড়িয়ে আছে তার অবকাঠামো ব্রিটিশ আমলের। প্রাচীন পানাম চাপা পড়ে আছে আধুনিক পানামের নিচে।  এখানে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য অট্টালিকা, মসজিদ, মন্দির, মঠ, ঠাকুরঘর, গোসলখানা, নাচ ঘর, খাজাঞ্চিখানা, টাকশাল, দরবার কক্ষ, প্রশস্ত দেয়াল, ভোজনালয়, বিচারালয়, প্রমোদ কুঞ্জ ইত্যাদি।

পানাম নগরীতে দেখা যায় চারশ বছরের পুরনো মঠ-বাড়ি। এর পশ্চিমে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য কুঠি নীলকুঠি রয়েছে। আছে পোদ্দার বাড়ি, কাশিনাথের বাড়ি, সোনারগাঁয়ের একমাত্র আর্টগ্যালারিসহ নানা প্রাচীন ভবন। পানামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পঙ্খিরাজ খাল। শেরশাহ আমলে নির্মিত সোনারগাঁ থেকে সিন্ধু পর্যন্ত ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড-ট্রাংক রোডের কিছু অস্তিত্ব পানামে আজো দৃষ্ট হয় বলে হাল আমলে তা পাকা করা হয়।

বাংলার তাজমহল : ২০০৮ সালে সোনারগাঁয়ের মতো অজপাড়া গায়ে ভারতের আগ্রার তাজমহলের আদলে নির্মিত বাংলার তাজমহলর ফটক সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে বসানো টাইলস, বিদেশি ডায়মন্ড ও পাথর, গম্বুজের ওপরে ব্রোঞ্জের তৈরি চাঁদ-তারায় আরও দৃষ্টিনন্দন বাংলার তাজমহল। প্রবেশ মূল্য রাখা হয় মাত্র ৫০ টাকা।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এতে ঘটছে একের পর এক রেকর্ড। সর্বশেষ কার্যদিবস শুক্রবারও সোনার দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে দামি এই ধাতু। প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ২৩০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

শুধু শুক্রবার নয়, মার্চজুড়েই বিশ্ববাজারে সোনার দাম এমন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা দুই দশমিক ২৬ শতাংশ। মার্চ মাসে বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় উত্থান হলেও এখনো দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে সোনার চাহিদা বাড়লে ও তেজাবী সোনার দাম বাড়লে নতুন করে আবার দাম বাড়ানো হতে পারে।

এ বিষয়ে বাজুসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, সোনার অস্বাভাবিক দাম হওয়ার কারণে দেশের বাজারে বিক্রি অনেক কমে গেছে। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা বাড়লে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানো হতে পারে। এ জন্য আগামী কয়েকদিন স্থানীয় বাজারের চিত্র পর্যবেক্ষণ করবে বাজুস।

নতুন করে দাম বাড়ানো হলে বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। অবশ্য বর্তমানে রেকর্ড দামেই বিক্রি হচ্ছে দামি এই ধাতু। দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ আট হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে রোববার (৩১ মার্চ) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর এরই মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৮০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে।

বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে এখন প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা দুই দশমিক ২৬ শতাংশ।

আর মার্চ মাসেরে শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ৪৩ দশমিক ৬৩ ডলার। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

এদিকে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংর চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ডটা আমরা দেখেছি প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার এই বছর হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বাবাজারে সোনার দাম বাড়ছে, আমাদেরকেও তার সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে হবে। আমরা বেশি দামে কিনলে, বেশি দামে বিক্রি করবো। এর বিকল্প নেই। দাম বেশি হওয়ার কারণে এখন আমাদের সেল কম হচ্ছে। দামটা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দামটা কমলে হয় তো তখন মানুষ আবার কেনাকাটা শুরু করবে।


আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সদর দপ্তরে জঙ্গি হামলায় নিহত ২৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ সিস্তান-বেলুচেস্তানে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সদর দপ্তরে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১১ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও সন্দেহভাজন ১৬ সুন্নি মুসলিম জঙ্গি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, চাবাহার ও রাস্ক শহরে জইশ আল-আদল গ্রুপ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ হয়েছে। সন্ত্রাসীরা চাবাহার ও রাস্কে গার্ডস সদর দপ্তর দখলের উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটির ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ মিরাহমাদি রাষ্ট্রীয় টিভিকে এ কথা বলেছেন। লড়াইয়ে আরও ১০ রেভল্যুশনারি গার্ড আহত হয়েছেন।

শিয়া মুসলমান অধ্যুষিত ইরানে আদিবাসী সংখ্যালঘু বালুচ জাতিগোষ্ঠীর আরও বেশি অধিকার এবং আরও ভালো জীবনযাত্রার দাবি জানিয়েছে জাইশ আল-আদল। সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে গত কয়েক বছরে হওয়া বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে গোষ্ঠীটি।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এই প্রদেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সুন্নি মুসলিম জঙ্গিদের মধ্যে নিয়মিত লড়াই হতে দেখা যায়। মাদক পাচারকারীদের সঙ্গেও নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত লড়াই হয়।

আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা বিশ্ব এবং অন্যান্য দেশে মাদক পাচারের মূল পথগুলোর একটি গেছে ইরানের ওপর দিয়ে।


আরও খবর



গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর