নারায়ণগঞ্জের
রুপগঞ্জের চনপাড়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ শ্রমিক ও এক স্থানীয় বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। সেখানে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
আহতরা হলেন-
পৃথক কারখানার শ্রমিক মো. সানি (১৭), পারভেজ (২১), মো. রুমান (১৮) এবং স্থানীয় বাসিন্দা
ইমন (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চানপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার নিয়ন্ত্রণে ছিলেন সম্প্রতি কারাগারে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলু। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার আধিপত্য নিজেদের দখলে নিতে জয়নাল গ্রুপ, শমসের গ্রুপ ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপ উঠে পড়ে লেগেছে। এ নিয়ে ওই ৩ গ্রুপই আলাদাভাবে বিভিন্ন সময় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গণধর্ষণের শিকার তরুণী
বুধবার সকালে
জয়নাল গ্রুপের সঙ্গে শমসের ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সাধারণ
মানুষের বাড়ি ঘর ও দোকানপাটেও লুটপাট চালানো হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন
আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এসময় ওই চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এদের মধ্যে
ইমনকে প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর
দেখে তাকেও ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নাজমুল আলম জানান, ইমনকে কিছুক্ষণ আগে আনা হয়। গুলিবিদ্ধ হবার কারণে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে আগুন: আজ আরও ২১ লাশ হস্তান্তর
এদিকে ঢামেকে
চিকিৎসাধীন আহতদের সূত্রে জানা গেছে, তারা সবাই চনপাড়ায় থাকেন। সকালে স্থানীয় কয়েকটি
গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। তখন তারা সেখান দিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তারা গুলিবিদ্ধ
হন। সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, সম্রাট
ও রুমানের পা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আর সানির পুরুষাঙ্গের পাশে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তার
অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ঢামেক
পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঘটনাটি রুপগঞ্জ থানা এলাকার।
তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
রূপগঞ্জ থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।