সাবেক দল সানরাইজার্স
হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচটা মোটেও ভালো যাচ্ছিল না রশিদ খানের। বল হাতে আরেকটু হলে
অর্ধশতকই ছুঁয়ে ফেলছিলেন। তবে ব্যাট হাতে শেষ ওভারে সে যেন সুদে আসলে পুষিয়ে দিলেন
আফগান মহাতারকা। মার্কো ইয়ানসেনের সেই ওভারে মারলেন তিন ছক্কা, তাতে শেষ ওভারে ২৫ রান
তুলে জেতার অবিশ্বাস্য কাজটাও করে বসেছে গুজরাট টাইটান্স। জিতেছে পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে।
তাতে আট ম্যাচ শেষে আইপিএল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও চলে এসেছেন রশিদরা।
দিনের শুরুটা
অবশ্য তেমন কিছুর আভাস দেয়নি মোটেও। টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামা গুজরাট শুরু থেকেই ঝড়ের
মুখে পড়েছে। পাওয়ারপ্লেতে কেন উইলিয়ামসন আর রাহুল ত্রিপাঠিকে ফেরালেও দিয়ে বসেছিল ৫৩
রান, যা হায়দরাবাদকে দিয়েছিল বড় রানের ভিত।
এরপর সেই ভিতে
দাঁড়িয়ে অভিষেক শর্মা আর এইডেন মার্করাম মিলে রানটা বড় করার কাজটা করে গেছেন। তৃতীয়
উইকেট জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৬০ বলে ৯৬ রান। তবে এরপরই যেন কিছুটা ছন্দপতন ঘটে
দলটির। দলীয় ১৪০ রানে অভিষেক ফেরেন ৪২ বলে ৬৫ রান করে। এরপর নিকলাস পুরান ফেরেন দুই
অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই। ১৮তম ওভারের শেষ বলে যখন ৪০ বলে ৫৬ করা মার্করাম বিদায় নিলেন,
দলের রান তখন ১৬২; 'লড়াকু' সংগ্রহটা বড় রানে রূপ দেওয়ার আশায় তখন ঢেকে গেছে ধোঁয়াশায়।
এক বল পর ফিরলেন ওয়াশিংটন সুন্দরও। শঙ্কাটা গাঢ় হলো আরও।
১৬২
থেকে যে দশ বলের ব্যবধানে ১৯৫ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে হায়দরাবাদের সংগ্রহ, সেটার কৃতিত্বের
সিংহভাগ পাবেন শশাঙ্ক সিং। সাতে নেমে তিনি খেলেছেন ৬ বলে ২৫ রানের দারুণ এক ক্যামিও।
মেরেছেন একটি চার আর তিনটি ছয়। তাতেই গুজরাটকে রান পাহাড়ে চাপা দেয় হায়দরাবাদ। প্রতিপক্ষের
এমন সংগ্রহের দিনে গুজরাটের বোলারদের দিনটা স্বাভাবিকভাবেই কেটেছে খুব বাজে। তবে সবচেয়ে
বেশি ঝড়টা গিয়েছে রশিদ আর দলটির আরেক বিদেশি বোলার লোকি ফার্গুসনের ওপর দিয়ে। রশিদ
বল হাতে চার ওভারে দিয়েছেন ৪৬, আর লোকি ফার্গুসন ফিফটিই করে ফেলেছেন রীতিমতো, দিয়েছেন
৫২ রান।