আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঋণ খেলাপিদের জন্য বিশাল সুযোগ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি মার্চে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এবার সেটাও নিয়মিত করার বিশাল সুযোগ করে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলার অনুযায়ী খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে এখন আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে। আগে যা ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ।

এ ঋণ পরিশোধ করা যাবে ৫ থেকে ৮ বছরে। আগে সময় দেওয়া হতো সর্বোচ্চ দুই বছর। এমনকি এখন নতুন করে ঋণও নিতে পারবেন  খেলাপিরা।

সার্কুলার অনুযায়ী পর পর চারবার ঋণ খেলাপি হলেও ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। অর্থাৎ ১৮ বছর ঋণের সব টাকা ফেরত না দিলেও গ্রাহকের আইনি সমস্যা হবে না।

সার্কুলারে বলা হয়েছে কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব, বহির্বিশ্বের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নতুন করে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নতুন নীতিমালা জারি হয়েছে। এছাড়া, শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থও দেখা হয়েছে এখানে।

ব্যাংকগুলোকে এই সার্কুলারের আলোকে নিজস্ব নীতিমালা করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরও বলা হয়েছে, যে সব গ্রাহক আর্থিক দুরবস্থায় রয়েছে অথবা গৃহীত ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ আদায়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে এরূপ ক্ষেত্রে যাতে নিয়মমাফিক পুনঃতফসিলিকরণ বা পুনঃ পুনঃ পুনঃতফসিল পরিহার করা যায় সে লক্ষ্যে নীতিমালায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এও বলেছে, ঋণগ্রহীতা কর্তৃক তহবিল অন্যত্র স্থানান্তর কিংবা তিনি একজন অভ্যাসগত ঋণখেলাপি হলে তার পুনঃতফসিলিকরণের আবেদনপত্র বিবেচনাযোগ্য হবে না। তার ঋণ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, শ্রেণিকৃত কোনও ঋণ সর্বোচ্চ ৩  বার পুনঃতফসিলযোগ্য হবে। তবে, খেলাপি ঋণ আদায়ের স্বার্থে বিশেষ বিবেচনায় ৪র্থ বার পুনঃতফসিল করা যাবে।

সার্কুলারে আরও যা আছে

# মেয়াদি ঋণ ১০০ কোটি টাকার কম হলে গ্রেস পিরিয়ডসহ ৬ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

# ১০০ কোটি ও তদূর্ধ্ব, কিন্তু ৫০০ কোটি টাকার কম হলে ৭ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

# ৫০০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব হলে ৮ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে। এছাড়া চলমান ও তলবি ঋণ ৫০ কোটি টাকার কম হলে ৫ বছর বাড়ানো যাবে।

# ৫০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব কিন্তু ৩০০ কোটি টাকার কম হলে ৬ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

# ৩০০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব হলে ৭ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

# কোনও গ্রাহকের ঋণ হিসাব ২য় পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ ৭ বছর হলে ৩য় পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৬ বছর। ৪র্থ পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৫ বছর।

# কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রথমবার পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৩ বছর এবং ২য় ও পরবর্তী প্রতিবার পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ২ বছর ৬ মাস।

# ঋণের পরিমাণ বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস হবে। তবে, গ্রাহকের ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনায় গ্রেস পিরিয়ডের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ বছর নির্ধারণ করা যাবে।

# পুনঃতফসিলের সর্বোচ্চ মেয়াদকাল সব ঋণগ্রহীতার জন্য সমহারে প্রযোজ্য হবে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতার ক্ষতির পরিমাণকে যথাযথভাবে বিবেচনায় নিয়ে পুনঃতফসিলের মেয়াদকাল নির্ধারণ করতে হবে।

# মেয়াদকাল নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের পর্ষদ/নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থাপিত স্মারকে এবং সভার কার্যবিবরণীতে সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ থাকতে হবে।

# নিয়মিত (অশ্রেণিকৃত: স্ট্যান্ডার্ড বা এসএমএ) মেয়াদি ঋণ (চলমান, তলবি বা অন্য কোনও প্রকার ঋণ রূপান্তরের মাধ্যমে সৃষ্ট নয়)-এর বিদ্যমান অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মেয়াদ বর্ধিত করে ঋণ পুনর্গঠন করা যাবে। কোনও ঋণ হিসাবকে ঋণের মেয়াদের মধ্যে শুধু একবার এরূপ পুনর্গঠন সুবিধা দেওয়া যাবে।

# কোনও প্রকার ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ ছাড়া মেয়াদি ঋণ পুনর্গঠন করা যাবে। ঋণ পুনর্গঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদ/নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।

# তলবি ঋণ, চলমান ঋণ বা মেয়াদি ঋণ বিভিন্ন প্রকৃতির হওয়ায় এ জাতীয় ঋণগুলোকে একত্রিত করে একক ঋণ হিসেবে পুনঃতফসিল করা যাবে না। তবে, একই প্রকৃতির একাধিক ঋণ হিসাবকে (পুনঃতফসিলের ক্রম একই হওয়া সাপেক্ষে) একত্রিত করে একক ঋণ হিসেবে পুনঃতফসিল করা যাবে।

# শ্রেণিকৃত কোনও ঋণে সার্কুলার জারির আগে ৪ বা ততোধিকবার পুনঃতফসিলকৃত হলে বিশেষ বিবেচনায় ঋণ হিসাবটি সর্বশেষ একবার পুনঃতফসিল করা যাবে, যা ৪র্থ বার হিসেবেই গণ্য হবে।

# ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত এরূপ পুনঃতফসিলিকরণের সুযোগ থাকবে। ৪র্থ বার পুনঃতফসিলিকরণের পরও কোনও ঋণ খেলাপি হলে পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ব্যাংক আবশ্যিকভাবে অর্থ ঋণ আদালত, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, সালিশি, দেউলিয়া আদালত কিংবা অনুরূপ কোনও আদালতে মামলা দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেবে।

# শ্রেণিকৃত কোনও ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ছাড়া কিংবা পুনঃতফসিলিকরণের যে কোনও পর্যায়ে বর্ণিত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কোনও বাধা নেই।

# জাল-জালিয়াতি বা অন্য কোনও প্রতারণার মাধ্যমে সৃষ্ট ঋণের ক্ষেত্রে এ সার্কুলারে বর্ণিত সুবিধা প্রদান করা যাবে না।

# কোনও ঋণগ্রহীতা প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট নগদে দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের আবেদন করলে ব্যাংক আবশ্যিকভাবে আবেদনপত্র গ্রহণের ৩ মাস সময়ের মধ্যে তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেবে।

# কোনও গ্রাহক কর্তৃক চেক, পে অর্ডার বা অন্য কোনও ইনস্ট্রুমেন্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অর্থ ডাউন পেমেন্ট হিসেবে প্রদান করা হলে ব্যাংক ওই ধরনের ইনস্ট্রুমেন্ট নগদায়নের পর পুনঃতফসিলিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করবে।

# পুনঃতফসিলিকরণের উদ্দেশ্যে ঋণগ্রহীতা কর্তৃক ব্যাংককে আগাম অবহিত করা সাপেক্ষে অব্যবহিত ৯০ দিন পর্যন্ত জমাকৃত একীভূত অর্থ ডাউন পেমেন্ট গণ্য করা যাবে।

# বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, প্রতিটি পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ক্রেডিট কমিটি লিখিতভাবে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের যথার্থতা সম্পর্কে প্রত্যয়ন করবে।

# ব্যাংকের তারল্য অবস্থা এবং অন্যান্য গ্রাহকের ঋণ প্রাপ্যতার ওপর পুনঃতফসিলিকরণের প্রভাব সম্পর্কেও ওই প্রত্যয়নপত্রে ব্যাখ্যা থাকতে হবে।

 


আরও খবর



নাফ নদীতে বিজিপির গুলিতে দুই বাংলাদেশি জেলে আহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মাঝেরপাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইল ও মোহাম্মদ ফারুক। এর মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার দুপুর ১টার দিকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

টেকনাফের সাবারাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা প্রণয় রুদ্র জানান, আহতদের মধ্যে ফারুকের শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বিজিপি নাফ নদী

আরও খবর
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




তীব্র গরমে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।

শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।

তবে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালু করতেও মত দিচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা করতে পারেএমন কাজ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তারা।

তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানো, ক্লাস কমিয়ে হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে নেওয়া কিংবা অনলাইনে ক্লাস চালু করাসব বিষয় সামনে রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে সিদ্ধান্তই আসুক, তা শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি আর বাড়ছে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাপপ্রবাহ যদি না কমে, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখার জন্যও শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্লাস একেবারে বন্ধ রাখার চেয়ে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ির কাজ (অ্যাসাইনমেন্ট) দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ালেখার মধ্যে রাখা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে কাতারের আমির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেছেন সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা।

একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকালে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর



বলিভিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ১৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বলিভিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মিনিবাস ও ট্রাক্টর-ট্রেইলারের সংঘর্ষে শিশু-নারীসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ওরুরো ও পোটোসির সংযোগকারী একটি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

ওরুরোর পরিবহন ও সড়ক নিরাপত্তা পরিচালক জুলিও লারিয়া স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, পোটোসি থেকে লবণ পরিবহনকারী ট্রাক্টর-ট্রেইলারের চালক সম্ভবত ক্লান্তির কারণে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যার ফলে তিনি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ঘটনাস্থলে একটি দীর্ঘ ব্রেকিংয়ের চিহ্ন আছে। অর্থাৎ তিনি চেষ্টা করেও আর তার লেনে ফিরে আসতে পারেননি। ফলে মিনিবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে।’

লারিয়া জানান, ওরুরো ও পোটোসির মধ্যবর্তী সীমান্ত প্রস্থানের শহর ভিচুলোমায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মিনিবাসের একজন যাত্রী ও ট্রেলারে থাকা অন্য একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুরুতর আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি গাড়িচালকদের অনুরূপ ট্র্যাজেডি রোধে গতির সীমা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গতির কারণে এ মহাসড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।’


আরও খবর



এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

স্বর্ণে দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটেগরি ভেদে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সাত দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের ৪২০ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর