আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম
রাস্তাতো নয় এ যেন মরণ ফাঁদ

রৌমারীতে শুকনো মৌসুমে ধুলা আর বর্ষায় কাদা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন কাচা রাস্তায় অবৈধ ট্রাক্টর (কাঁকড়া) গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তা গুলো যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

গ্রামীণ বিভিন্ন সড়কে অসংখ্য অবৈধ ছয় চাকার বালুভর্তি ট্রাক্টর (কাঁকড়া) ব্যাপক হারে দাপিয়ে বেড়ার ফলে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এসকল রাস্তাগুলো। ভেঙ্গে পড়ছে এসব রাস্তার অবকাঠামো। চরম ভোগান্তিতে পড়ছে এখানকার মানুষজন। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জান ও মাল।

নিত্যদিনই বালুভর্তি ট্রাক্টরগুলোর চাপে রাস্তাগুলোতে ঠিকমত যাতায়াত করতে পারছে না অন্যান্য যানবাহন। এতে করে চলাচলের দুর্ভোগে পড়েছে এ এলাকার বাসিন্দারা।

এমনি চিত্র দেখা গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ দারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন কাচা রাস্তায়। বিশেষ করে উপজেলার ডিসি রাস্তা হতে আমবাড়ি, তেলির মোড়, কাজাইকাটা, কাউনিয়ার চর, চর গয়টা পাড়াসহ উত্তর কাউনিয়ার চর গ্রামের রাস্তাগুলোর কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বেহাল দশা। এ সড়কগুলোর সঙ্গে রৌমারী উপজেলা শহর এবং হাসপাতালে যাওয়ার মূল সড়ক যুক্ত থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের।

অতিরিক্ত হারে বালুবাহী ট্রাক্টর চলাচলের ফলে রাস্তায় উড়ছে প্রচুর পরিমাণে ধুলাবালি। এই সড়কগুলো দিয়ে একটি গাড়ি চলে গেলে পেছনে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত ধুলাবালিতে অন্ধকার থাকছে। বাতাসে ধুলাবালি উড়ার কারনে শাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। রাস্তাগুলো দিয়ে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও সাইকেল চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখানকার মানুষদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। আবার অনেকে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে বাধ্য হয়ে চলাচল করছেন পায়ে হেঁটে।

দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর ও তেলিরমোড় এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল হাই ও নুরুল ইসলাম, রাকিব হাছান বলেন, 'আমরা অতি কষ্টে জীবন যাপন করছি। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একাধারে এই রাস্তাগুলো দিয়ে ট্রাক্টর চলাচলের কারণে শতশত জায়গায় খানাখন্দে ভরে গেছে। অতিরিক্ত কাঁকড়া গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তার মুল মাটি উঠে গেছে। যার কারণে প্রচুর পরিমাণে ধুলা উড়ছে।'

মমিনুল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, 'কী আর করমু ভাই! আগে তো নিজের জীবন বাঁচাতে হবে। ধুলার কারণে নিজেরাই থাকতে পারি না। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলে গেলে তাদের জন্য চিন্তায় থাকতে হয়। কখন যে কোন দুর্ঘটনা ঘটে। কেননা ধুলার কারণে তো সামনে কিছুই দেখা যায় না।'

রাস্তার দু-পাশে থাকা বাড়ি ঘরের মানুষজন এবং দোকানিরা বলেন, 'শুকনো মৌসুমে ধুলা আর বর্ষায় কাদা। অনেক সমস্যার মধ্যে আছি আমরা। দুই-এক ঘণ্টা পরপর রাস্তায় পানি দেওয়ার দরকার। অনেকবার কাঁকড়া গাড়ির মালিকদেরকে পানি দিতে বলা হলেও তারা আমাদের কথায় কোনো কান দেয়না।'

দাঁতভাঙ্গা দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সাথী আকতার, আলপনা খাতুন, লিপি পারভিন বলেন, 'সকালে বাড়ি থেকে যে জামাকাপড় পড়ে স্কুলে আসি, তা ধূলার কারনে নষ্ট হয়ে যায়। সেই জামা কাপড় পড়ে পরের দিন আর স্কুলে আসা যায় না। এক সেট কাপর একবার  ছাড়া দুইবার পড়া যায় না। রাস্তায় অতিরিক্ত কাঁকড়া গাড়ি চলাচল করায় সবসময় ধুলা উড়ছে সামনে কিছুই দেখা যায় না।'

একই কথা বলেন দাঁতভাঙ্গা হাইস্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থী মোঃ রনি হাছান, আরিফুল ইসলাম, বাবুল মিয়া। তারা বলেন, 'রাস্তায় অতিরিক্ত ধুলার কারণে আমাদের সব সময় সর্দিকাশিসহ শাসকষ্ট লেগেই থাকে  অতিরিক্ত কাঁকড়া গাড়ি চলাচলের  কারণে আমাদের স্কুলে যাতায়াত করা খুবি অসুবিধা হয়ে পরেছে।'

১নং দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ মিয়া বলেন আমার ওয়ার্ডের রাস্তা গুলোর 'খুবি বেহাল দশা! কিছু রাস্তায় অতিরিক্ত বালু বোঝাই   কাঁকড়া গাড়ি চলার কারনে এই রাস্তা গুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।'

এবিষয়ে রৌমারী উপজেলার ১নং দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম (রিয়াজুর) বলেন, কাঁচা রাস্তা দিয়ে তো ট্রাক্টর চললে রাস্তা খারাপ হবে এটা স্বাভাবিক। এসব গাড়ি চালকদের বলা হয়েছে রাস্তায় পানি দিয়ে গাড়ি চালাতে। যাতে মানুষজনের অসুবিধা না হয়। আমার ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক ট্রাক্টর (কাঁকড়া) রয়েছে। এসব গাড়ি বেশি পরিমাণে চলাচল করার ফলে রাস্তাগুলোর সমস্যা হয়েছে। অন্যন্য বাহনগুলো এবং মানুষ জন চলতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।


আরও খবর



এবার ডিবি অফিসে ভাত খেলেন শামীম ওসমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার ডিবি অফিসে ভাত খেলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি। ডিবির হারুনের ভাতের হোটেলে খাওয়ার বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, হারুন ভাইয়ের নয়, উনার স্ত্রী আমার বোন, তার হোটেলে খেয়েছি।

ডিবি থেকে বের হয়ে শামীম ওসমান বলেন, হারুন ভাই আমার অনেক আগের পরিচিত। এক সাথে রাজনীতি করেছি। সে কারণেই দেখা করতে আসা। পাশাপাশি নির্বাচন সামনে দেশকে নিয়ে অনেকেই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। এসব তথ্য তাকে দিয়েছি। এমপি হিসেবে নয় সাধারণ মানুষ হিসেবে তথ্যগুলো দিয়ে গেলাম। ডিবির হারুন ভাই ক্যাপাবল অফিসার সে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

বিএনপি নির্বাচনে নেই এমন প্রশ্নে শামীম ওসমান বলেন, খেলা হবে, তবে পরিচ্ছন্ন খেলা হবে। ফাউল কম হবে। গত ২০ নভেম্বর শামীম ওসমান জানিয়েছিলেন তাকে অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনে একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন শামীম ওসমান। সেখানে তিনি বলেন, আমি যদি বলি ধর বিএনপি, পাঁচ মিনিটের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিটা বাড়িতে হামলা হবে। কারা করবে, আমার কর্মীরা করবে। তাহলে দোষটা কার হবে, আমার না আমার কর্মীদের? আমার হবে। সুতরাং যারা অগ্নিসন্ত্রাসের নির্দেশ দিচ্ছেন, তারা ছাড় পাবেন না। 

আরও পড়ুন>> ঢালাওভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া যাবে না : কাদের

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান। সংবাদ সম্মেলনে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় দলীয় অনুসারীরা তার পাশে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামী ১৫-২০ দিন সারা দেশে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, বাঘে ধরলে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না। তিনি ঘুড্ডির সুতা ছাড়তে থাকেন, তারপর একসময় টান দেবেন। জনগণকে কষ্ট দিলে তিনি মানবেন না। ধ্বংসাত্মক কাজ যেন কেউ না করে। তাহলে আমরা কাউকে রক্ষা করতে পারব না। হিমালয় পর্বত নড়ে যাবে, কিন্তু শেখ হাসিনাকে নড়ানো অনেক কঠিন।

তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধ নেননি বলেও মন্তব্য করেন শামীম ওসমান।


আরও খবর



নির্বাচনের আগে দুই কাজ নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের আগে দুটি কাজ নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে একটি কাজ হলো, নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া। আর আরেকটি কাজ হলো,  বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলের আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলা মোকাবিলা এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিকূল পরিস্থিতি চলছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা দলের কার্যক্রমকে জোরদার করতে সহায়ক হবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, আমাদের হাতে সময় একেবারেই কম। নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হলে আমাদের হাতে সময় একেবারেই কম।

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দেশে বিভিন্নভাবে সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে বলেন তিনি। ২৮ তারিখে বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাভাবিক আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা অস্বাভাবিক পথে যাচ্ছে। তাদের পুরোনো চোরাগোপ্তা হামলা, গাড়ি পোড়ানো, আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করছে। তারা সরকার তথা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সরাসরি পারছে না, তাই চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে।

সামনে কঠিন পথ অতিক্রম করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আপনাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে, যেসব জায়গায় তারা হামলা চালায়, সেসব জায়গায় আমাদের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি জোরদার করতে হবে। প্রস্তুতি নিয়ে, জায়গা চিহ্নিত করে অবস্থান নিয়ে সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। সরকারি দলের অনাগ্রহ, আলস্য আমরা দেখিনি। আমরা লক্ষ্য করছি আদর্শের প্রশ্নে নেত্রীর প্রতি আনুগত্য, নেত্রীর নির্দেশে আদেশ পালনে প্রত্যেকে সক্রিয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সামনে আরও কঠিন পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে। সেভাবে আপনাদের প্রস্তুত করুন। এটা শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, এটা আদর্শের লড়াই।  উন্নয়ন আর অর্জনের জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এই যুদ্ধ জয়ের প্রতিজ্ঞা নিয়েই নেমেছে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা। এই সংকট আস্তে আস্তে কেটে যাবে।

পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির উসকানি আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইন্ধন তো আছেই। এখানে পরিষ্কারভাবে বিএনপি এবং তার দোসরদের কালো হাত বিস্তৃত হয়ে আছে। তারাই উসকানি দিচ্ছে, তারাই গুজব সৃষ্টি করছে

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন,  উসকানি আর গুজব সৃষ্টি করে তারা নিরীহ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছে। কোথায় ছিল শ্রমিকদের বেতন ৮০০ টাকা। আর সেই বেতন এখন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যেটা ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন দেশের অবস্থাও বুঝতে হবে। নেত্রী গতকাল পরিষ্কার করে সেটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে বিজিএমইএএর দুইএকজন নেতারাও ছিলেন। তাঁরা শুনেছেন। এ ব্যাপারে বেশির ভাগ সমাধান হয়ে গেছে।

তবে কোনাবাড়ী ও আশুলিয়া, এই দুটি জায়গায় কিছু সমস্যা আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনে করি, আমাদের শ্রমিকেরা বর্তমান বাস্তবতার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে সমাধানে এগিয়ে আসবেন।

পোশাকশ্রমিকদের পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত মনিটর করছেন বলছে উল্লেখ করেন কাদের। তিনি বলেন, এটা নিয়ে খুব একটা ষড়যন্ত্র করে, ওই ২৮ তারিখের মতো কিছু একটা করবে সে আশার গুড়ে বালি।’ শ্রমিকেরা কারও কথায় বিভ্রান্ত হয়ে নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করবে না বলে তিনি আশা করেন।

যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কঙ্গোতে সেনা নিয়োগের সময় পদদলিত হয়ে নিহত ৩৭

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী ব্রাজাভিল সেনাবাহিনীর নিয়োগ কার্যক্রমে পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৭ জনের প্রাণ গেছে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনাতোলে কোলিনেত মাকোসো এক বিবৃতিতে বলেন, এই দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। কত লোক আহত হয়েছেন, সেই সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বে একটি ক্রাইসিস ইউনিট গঠন করা হয়েছে। সম্ভাব্য নিয়োগপ্রত্যাশীদের ব্রাজাভিলের কেন্দ্রস্থলে মিশেল ডি'অরনানো স্টেডিয়ামে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 

আরও পড়ুন>> অবশেষে হামাসের সঙ্গে সমঝোতা করতে রাজি হলো ইসরাইল

স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার রাতেই বহু লোক ওই স্টেডিয়ামে এসে অবস্থান নেন। তখন পদদলিত হওয়ার ঘটনা শুরু হয়ে। কিছু লোক জোরপূর্বক গেট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। ঠেলাঠেলি করতে গিয়ে তারা পদদলিত হন।

৫৮ লাখ বাসিন্দার দেশে বেকারত্ব প্রবল। বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শ্রমশক্তির ৭৫ ভাগ অনানুষ্ঠানিক খাত, স্ব-নিযুক্ত বা নিম্ন-উৎপাদনশীল চাকরি করেন। গেল সপ্তাহে মধ্য আফ্রিকার দেশটির সেনাবাহিনী ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী দেড় হাজার লোকবল নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।


আরও খবর



হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন কূটনীতিক ও বিতর্কিত নোবেল বিজয়ী হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

স্থানীয় সময় বুধবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস এর বরাতে নিশ্চিত করেছে এ খবর।

কিসিঞ্জার ছিলেন একজন হার্ভার্ডের একজন অধ্যাপক যিনি পরবর্তীতে রাজনীতিতে নাম লেখান। মার্কিন-সোভিয়েত শীতল যুদ্ধের অন্যতম কারিগর মনে করা হয় তাকে। 

আরও পড়ুন>> ইউক্রেনের গোয়েন্দাপ্রধানের স্ত্রীর শরীরে বিষ প্রয়োগ

তিনি ছিলেন ৫৬তম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং জেরাল্ড ফোর্ড এর আমলে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ৮ম মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক। রাজনীতি করতেন রিপাবলিকান দলে। জার্মানিতে জন্ম নেওয়া এ কূটনীতিক ছিলেন ইহুদী ধর্মের অনুসারী।


আরও খবর



বায়ু দূষণে আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণ নিয়ে স্বস্তির খবর নেই রাজধানীবাসীর। ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ১৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। এদিন বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আর সবচেয়ে ভয়াবহ দূষণের কবলে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

বায়ুদূষণের একিউআই স্কোর ৩৭৮ নিয়ে তালিকায় শীর্ষে লাহোর। ভারতের রাজধানী দিল্লি ৩১০ স্কোর নিয়ে রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ২৯২ স্কোর নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর কলকাতা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের শহর করাচি। শহরটির একিউআই স্কোর ২৭০। এছাড়া ১৮২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় শহর, ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা কুয়েতের কুয়েত সিটির স্কোর ১৬৯।

বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।

বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাঁদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়।

৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। ঢাকায় গত জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারির মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।


আরও খবর
কমবে বৃষ্টি, বাড়বে শীতের অনুভূতি

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩