আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রোজায় আমদানি পণ্যের দাম বেশি থাকবে ৩০ ভাগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবার রোজায় আমদানি করা পণ্যের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম না বাড়লেও দেশে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে। এমন আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন খোদ সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান। সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। সরকারি এই কর্মকর্তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, আমদানির ক্ষেত্রে যদি স্বাভাবিকভাবে এলসি খোলা না যায়, তাহলে দাম বাড়বেই।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রাজধানীর কাওরান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান। এফবিসিসিআই-এর সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ এ সভাটিতে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ী নেতারাও যোগ দেন।

সভার শুরুতে কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা তাদের বক্তৃতায় বলেন, আমদানি না হওয়ায় আদা-রসুনের দাম বাড়ছে। ভারত থেকে রসুন আমদানি বন্ধ ছিল। চীন থেকেও আমদানি হচ্ছে না। আদা-রসুন আমদানিতে এলসি স্বাভাবিক না হলে দাম আরও বাড়বে। ডলারের মূল্য অনেক বেড়েছে। ব্যাংকে এলসি খোলা যাচ্ছে না। অনেক জটিল হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আসন্ন রমজান সামনে রেখে এলসি জটিলতা দূর করাসহ শুল্ক প্রত্যাহার করে পণ্য আমদানি বাড়ানোর সুযোগ দিতে হবে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এখন থেকে যদি পণ্য আমদানি করা না যায়, তাহলে রমজানে দাম বাড়বে।

এদিকে সভায় কোনো ধরনের রাখঢাক না রেখে খোলাখুলি আমদানি পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কার বিষয়টি সামনে আনেন সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবার রোজায় আমদানি করা পণ্যের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম না বাড়লেও দেশে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে। এর বেশি বাড়বে না।

ক্যাবের সহসভাপতি নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর জন্য একেক সময় একেক বাহানা সামনে নিয়ে আসেন। একসময় বলেন, ডলার সমস্যা, আবার এর মধ্যে বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি দাম বাড়াচ্ছে। এখন আবার এলসি সমস্যাকে অজুহাত হিসাবে এনেছেন। তিনি বলেন, রমজানের জন্য যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রয়োজন; সেগুলো ইতোমধ্যেই এলসি করা হয়েছে। কারণ পণ্য আসার দুই থেকে তিন মাস আগে এলসি করতে হয়। সে অনুসারে রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য ইতোমধ্যেই বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এলসি ইস্যুটা একটা অজুহাতমাত্র।

সভায় উপস্থিত ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে। বাজারে অভিযান চালালে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার প্রমাণ আমরা আগেও পেয়েছি।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে এফবিসিসিআই-এর সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, অসাধু ব্যবায়ীরা খুবই নগণ্য। তবে তাদের জন্য সবার ওপর দায় পড়ে। আমরা ব্যবসায়ীরা সরকারের সব আইনকানুন মেনে ব্যবসা করতে চাই। এজন্য এলসি এবং ডলারের দাম সমন্বয় করে বাজারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখতে হবে।

সব শেষে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আসন্ন রমজানে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। তাছাড়া কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বাজার অস্থির হয়ে যায়। আসন্ন রমজানে এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে ভোক্তা অধিদপ্তর। রমজানের আগে আমাদের দেশি পেঁয়াজ উঠবে। এতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। ৫০ টাকার মধ্যেই থাকবে দাম। কিন্তু আদা-রসুনের বাজার অস্থির। রমজান আসার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। হঠাৎ করে আদা-রসুনের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে উঠেছে। কিছু পণ্য আমদানিনির্ভর। ডলারের দাম বাড়ার হিসাব অনুসারে ২৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারত। কিন্তু ডলার বাজারের তুলনায় পণ্যের দাম আরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তর এবার কঠোর অবস্থানে থাকবে।

আদা-রসুনের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, মূল্য যাচাইয়ে গত সপ্তাহে আমাদের টিম বাজার নিয়ে কাজ করেছে। সেখানে আমরা কাওরান বাজার, শ্যামবাজারসহ পাইকারি, খুচরা এবং আড়তে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আদা, রসুন, শুকনা মরিচ ও হলুদ আমদানিনির্ভর পণ্য। ফলে এই পণ্যগুলোর সঙ্গে এলসি জড়িত। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে দেশীয় উৎপাদন দিয়ে সম্পূর্ণভাবে বাজারের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। ফলে এই পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা না গেলে অবশ্যই বাজারে ঘাটতি দেখা দেবে। এখন বিবেচ্য বিষয় হলো-সামনে রমজানের পর আসবে কোরবানির ঈদ। তাই এসব পণ্য যদি আমদানি সচল না রাখতে পারি, তাহলে স্থানীয় উৎপাদন দিয়ে এই বাজার ধরে রাখা যাবে না। একইভাবে আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।  সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে যে পরামর্শ এসেছে, তা সুপারিশসহ লিখিত প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

নিউজ ট্যাগ: রোজায় আমদানি

আরও খবর



বান্দরবানের ছয় উপজেলায় বন্ধ সোনালী ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে গত দুদিনে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলা বাদে জেলার ছয়টি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম উত্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. মোসা খান  জানান, মঙ্গলবার ও বুধবারের ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বান্দরবানের সদর শাখা ছাড়া সব উপজেলার সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর আগে বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা। এ সময় সোনালী ব্যাংকে থেকে ১৫ লাখ ও কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা।


আরও খবর



কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়: বেনজীর আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহুল পঠিত একটি জাতীয় দৈনিকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ হয়েছে সে ব্যাপারে সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হলে মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) এ নিয়ে ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান বেনজীর।

তিনি লিখেছেন, দু একজন অনেক ক্ষিপ্ত, খুবই উত্তেজিত হয়ে এক্ষুণি সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রবন্ধ লিখে ফেলছেন। দয়া করে সামান্য ধৈর্য্য ধরুন। ঘোষণাই তো আছে কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়’।”


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন, চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে দেশ। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। আজকের তাপমাত্রা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে।

অপরদিকে, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ধান রক্ষার জন্য ধানের শীষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই ৫-৭ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখুন। এ সময় জমিতে যেন পানির ঘাটতি না হয়।

এদিকে, তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকেই গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।

শহরের কয়েকজন রিকশাচালক বলেন, রোদের তাপে মনে হচ্ছে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। সকাল ও বিকেলের পর থেকে যাত্রী পেলেও দুপুরে বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ফাঁকা। পেটের দায়ে এই তীব্র গরমেও রিকশা চালাতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চলমান তাপপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




৭ দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।

বুধবার স্থানী সময় সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটের দিকে ঘটা এই ভূমিকম্পের কম্পন তাইওয়ানের পাশাপাশি অনুভূত হয়েছে চীন, ফিলিপাইন এবং জাপানেও। এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। সুনামির সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্র এপিসেন্টার তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেন, পূর্ব উপকূলে সাগর তীর বা ডাঙ্গা থেকে অল্প খানিক দূরত্বে, অর্থাৎ সাগরের অগভীর অংশে এই এপিসেন্টারের অবস্থান। এ কারণে তাইওয়ান এবং তার প্রতিবেশি দেশগুলোতে পূর্ণমাত্রার কম্পণ অনুভূত হয়েছেগত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

তাইওয়ানের টেলিভিশন চ্যানেল টিভিবিএস ও অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে ধসে ও হেলে পড়া অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও স্কুলগুলো থেকে লোকজন-শিক্ষার্থীদের সরানো হচ্ছে। বাড়িঘরের ধংসাবশেষের আঘাতে বেশ কয়েকটি যানবাহন ধ্বংস হওয়া এবং বাড়িঘর-দোকানপাটের আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্রের ছড়ানো ছিটানো অবস্থার ফুটেজ প্রকাশ করেছে টিভিবিএস।

ভূমিকম্পের জেরে তাইওয়ানের পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে টিভিবিএস। তবে এখনও হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায় নি।

এর আগে ১৯৯৯ সারের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। সেই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছিল অন্তত ৫ হাজার ভবন।


আরও খবর



চলতি বছর ছাড়াতে পারে তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস মানুষ। রাজধানীসহ অনেক জেলায় বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরজুড়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এর মধ্যে এপ্রিলে গরমের তীব্রতা পৌঁছাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।  বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, এসির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এ বছরের তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কেন?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

এ নিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়।

এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।

ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি।


আরও খবর
বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪