প্রাণ ভয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সাড়ে
সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে বাংলাদেশ চায় তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন।
শনিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর হোটেল কন্টিনেন্টালে
‘বিশ্ব মানবপাচার
প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে আইওএম (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা) আয়োজিত
অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পদ
সীমিত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও সহায়তা নিশ্চিত করছে। কিন্তু
যতই দিন যাচ্ছে এই বাস্তুচ্যুত নাগরিকরা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাদেশ
দ্রুতই মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায়।
মানবপাচারের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল
বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক ও টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে
মানবপাচার বেড়েছে। বিশেষ করে মহামারি করোনাকালে এই প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মানবপাচার
রোধে পাচারকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে মানবপাচার
রোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মানবপাচার ইস্যুকে সরকার গুরুত্ব দেয় জানিয়ে
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার সূচকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্তরে অবস্থান করছে।
এ থেকে এটাই প্রমাণিত যে বাংলাদেশ মানবপাচারের বিরুদ্ধে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ কে আব্দুল মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো আকতার হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ
ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বাংলাদেশে নিযুক্ত
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চর্ড, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চেটারসন ডিকসন,
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন স্কট ব্র্যান্ডন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের
প্রতিনিধি দলের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জেরেমি অপরিটসো, বাংলাদেশে জাতিসংঘের
আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর চিফ অব মিশন আব্দুসসাত্তর
ইজয়েভ প্রমুখ।