চলমান রোহিঙ্গা
সংকট নিরসন ও এ মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
নিউইয়র্কে
জাতিসংঘ ভবনে অনুষ্ঠিত ১৮তম এশিয়া কো-অপারেশন ডায়লগ (এসিডি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের
বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য
জানায়।
বৈঠকে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমারের প্রায় ১২ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের- যারা রোহিঙ্গা নামে পরিচিত, বাংলাদেশ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে দ্রুত তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
আরও পড়ুন>> বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব
তিনি আশঙ্কা
প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গারা যদি তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে না পারে, যদি
তাদের নিজ দেশে স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ দেওয়া না হয়, তাহলে এ বিপুল জনগোষ্ঠী এশিয়াসহ
অন্যান্য অঞ্চলেও নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকিতে পরিণত হতে পারে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের ইস্যু আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতেও বৈঠকে অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসিডির প্রতিষ্ঠাতা
সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিক উন্নয়ন ও এশিয় দেশগুলোর ঐক্যকে আরও
শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে এসিডি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে উল্লেখ
করেন মোমেন। তিনি এসিডির পৃষ্ঠপোষকতায় মানবসম্পদ উন্নয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ
কর্মসূচি গ্রহণের প্রস্তাব করেন- যাতে এশিয়ার বিশাল মানবসম্পদকে এই অঞ্চলের উন্নয়ন
চাহিদা মেটাতে কাজে লাগানো যায়।
বৈঠকে ড. মোমেন
বিশ্বের ক্রমবর্ধমান ও জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির
উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং এশিয় ঐক্যকে শক্তিশালী
করার জন্য এসিডির মিশনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে খাদ্য, পানি, জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আগ্রহের কথাও জানান তিনি।
বৈঠকে এসিডি’র সেক্রেটারি জেনারেল, বাহরাইনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ এসিডি
সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।