কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বড় কোনো অঘটন না ঘটলেও প্রায় তিন শতাধিক বাড়ির ছাউনি উড়ে গেছে। রোহিঙ্গারা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের খবর শুনে আমরা খুবই আতঙ্কিত ছিলাম। যদি বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটে আমাদের উপায় কী?
উখিয়ার বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা আবদুস সালাম (৩৮) বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রমের সময় বাতাসের তীব্র গতিবেগ ছিল। প্রাণপণ চেষ্টা করছিলাম ঘরের ছাউনি রক্ষার জন্য। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে মোখার কাছে হেরে গেলাম।’
আরও পড়ুন>> মোখা'র তাণ্ডবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
১৯ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা ছৈয়দ আলম বলেন, ‘বাতাসে প্রথমে আমার ছাউনি উড়ে যায়, পরে বেড়া। অনেক চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারিনি। সকাল থেকে না খেয়ে আছি। এনজিওর এক কর্মী এসে দুই প্যাকেট বিস্কুট দিয়ে গেলেন। তা খেয়ে আছি। রাতে চুলো জ্বলবে না। সেখানে বৃষ্টির পানি।’
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা নয়ন জানান, ‘বাতাস বেশ কিছু বাড়িঘরের ছাউনি ও বেড়া উপরে ফেলেছে শুনেছি, আমাদের সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছে। কেউ অভুক্ত থাকবে না।’