আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয়শিবিরের শেল্টার থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে এক রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে উখিয়ার ক্যাম্প ১০ এর এফ ১৬ ব্লকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত রোহিঙ্গা যুবকের নাম মোহাম্মদ জসিম (২৫)। তিনি এফসিএএন নং ৬০০৮৩৪ এর শেল্টারে থাকতেন। এপিবিএন- ৮ এর সহকারী পুলিশ সুপার (অপস্ এন্ড মিডিয়া) মো. ফারুক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ক্যাম্প ১০ এর এফ ১৬ ব্লকে প্রবেশ করে এফসিএএন (নং ৬০০৮৩৪) এর শেল্টার থেকে মোহাম্মদ জসিমকে ডেকে বের করে। তারপর ব্লকের একটি গলিতে এনে তার  বুকে পরপর তিনটি গুলি করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই জসিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুর্বৃত্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে উখিয়ার কুতুপালং ২ নম্বর ক্যাম্পে মোহাম্মদ সালাম (৩৭) নামের এক যুবককে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তরা কী কারণে এ যুবককে গুলি করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে বিশেষ অভিযান চলছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সালাম বর্তমানে উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর দুই রোহিঙ্গা নেতাসহ গত ৩ মাসে ক্যাম্পে ১২ রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন।


আরও খবর



ডিবি কার্যালয়ে ইনু, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম। গ্রেপ্তারের পর একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ইনুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব অভিযোগে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে তোলা হবে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাসানুল হক ইনুকে নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২১ আগস্ট ডিএমপির নিউ মার্কেট থানায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়। মামলা নং-৪।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয় বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে একবার সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অতিরিক্ত এসপি ও এএসপি পদমর্যাদার ৩৩ কর্মকর্তার বদলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৩৩ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা আলাদা আদেশে তাদের বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, বর্ণিত কর্মকর্তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে তাদের নামের পাশে উল্লিখিত পদে/স্থানে বদলি ও পদায়ন করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের সই করা আদেশে এ বদলি/পদায়ন করা হয়।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম বদল হচ্ছে : আসিফ

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দায়িত্ব গ্রহণের পর আজ (রোববার) সচিবালয়ে প্রথমবারের মতো অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এ কথা জানান তিনি। ইনস্টিটিউটের নতুন নাম বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ড. ইউনূ‌সের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। গত বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেন তিনি।

দায়িত্ব গ্রহণ শেষে আজ রোববার প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে অফিস শুরু করেন আসিফ। এসময় তাকে বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। নিজের রুমে ঊর্ধ্বতন সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নতুন এই ক্রীড়া উপদেষ্টা।

পরে গণমাধ্যমে আসিফ মাহমুদ জানান, প্রথম দিনে আমরা তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার প্রথমটি হলোযুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আছে, এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে সহিংসতার সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে। অনেক শিক্ষার্থী ও জনতা মারা গিয়েছে। আমরা মনে করি, তিনি এর পেছনে জড়িত। সেই জায়গা থেকে শুধু আমাদের নয় প্রতিটি মন্ত্রণালেয়ে এটা করা হবে। তাই শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে আমরা এটিবাংলাদেশ জাতীয় যুব ইনস্টিটিউট করছি। দ্রুতই এটা সম্পন্ন করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন হুমকির মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে আসিফ মাহমুদ বলেন, এরইমধ্যে আমরা বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই বিষয়ে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। আমি আজকেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব। তিনি যেহেতু একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। তিনি অবশ্যই আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা এই বিষয়ে সবার সঙ্গেই কথা বলব। কিছু দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও জানান, আমাদের যে কাজগুলো চলমান আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর বিসিবির বিষয়ে বলতে চাই, তারা যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাদেরকে আমরা তো আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দিতে পারব। আর বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার প্রধান কো-অর্ডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম এই আবেদন দায়ের করেন।

সাভারের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবীর এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আবেদন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনকে এই অভিযোগে দায়ী করার আর্জি জানানো হয়েছে।


আরও খবর



শরীয়তপুরে দোকানির মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুরের জাজিরা থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের তদন্তের দায়িত্ব পালনের সময় সেবাগ্রহীতাদের থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদনের পর যখন স্থানীয় থানায় তদন্তের জন্য পাঠানো হয় তখন থানা থেকে এসআই হুমায়ুন কবির সেবাগ্রহীতার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে থানায় এসে দেখা করতে বলেন। পরে সেবাগ্রহীতারা যখন থানায় আসেন তখন তাদের থানার সামনে অবস্থিত একটি দোকানি সাথে দেখা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে যেতে বলেন। সেবাগ্রহীতারা যখন ঐ দোকানি  সাথে দেখা করেন তখন ঐ পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশনা মত তাদের কাগজপত্র যাচাই করে চাহিদামত পেলে পাঁচশো থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত দাবী করা হয়। যারা চাহিদামত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান তাদের তদন্ত প্রতিবেদন নেগেটিভ দেয়া হবে বলে প্রদান করা হয়।

জাজিরা পৌরসভার দক্ষিণ বাইকশা এলাকার বাসিন্দা রাকিব হাসান ইউরোপের একটি দেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে ভিসার আবেদন করেছেন। সেখানে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, "আমি অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ফি ৫০০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। পরে জাজিরা থানা থেকে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবির আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট, পাসপোর্টের ফটোকপি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি নিয়ে থানায় যেতে বলেন। পরে তার চাহিদামত কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ফোন দিলে তিনি আমাকে থানার সামনে থাকা একটি কম্পিউটার সেন্টারের সামনে যেতে বলেন।

আমি সেখানে যাওয়ার পর এসআই হুমায়ুন আমার কাগজপত্র গুলো হাতে নিয়ে ঐ কম্পিউটার দোকানের লোক এর কাছে দিতে বলে সে সব বুঝে রাখবে বলে সেখান থেকে চলে যান। পরে ঐ কম্পিউটার দোকানি আমাকে বসতে বলেন। একটু পর দোকানি আমাকে বলেন, কাগজপত্র সব ঠিক আছে। ১ হাজার টাকা দাও। তখন আমি কিসের টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খরচ আছে তাই দিতে হবে। কোন উপায়ন্তর না দেখে আমি তাকে ৫০০ টাকা দেই।

তখন তিনি ৫০০ টাকায় হবেনা বলে আমাকে ফিরিয়ে দেন এবং বলেন, কাজ ঠিকমত হতে হলে অন্তত ৮০০ টাকা দিতে হবে। যদি এখন না পারো তাহলে গিয়ে বিকাশে পাঠিয়ে দিও। এরপর আমি চলে আসার পর টাকার জন্য আমাকে অনেকবার ফোন দেয়া হয়েছিল। পুলিশ এখনো আমাদের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ খাওয়া বন্ধ করলো না। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই কষ্ট পাই। সে কষ্টে ফেসবুকে একটি পোস্টও করি। ফেসবুকের সেই পোস্ট ডিলিট করার জন্যও আমাকে অনেকবার ফোন করে বলা হয়েছে।"

জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন, 'অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করার দুদিন পর জাজিরা থানা থেকে এক পুলিশ সদস্য ফোন করে কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। থানায় যাওয়ার পর থানার সামনে থাকা কম্পিউটারের দোকানে কাগজপত্র দিয়ে যেতে বলা হয়। পরে সেখানে কাগজপত্র জমা দিলে ওই দোকানের এক লোক খরচ লাগবে বলে ১ হাজার টাকা চায়। টাকা না দিতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ হতে হলে টাকা দিতে হবে। পরে ৫০০ টাকা দিতে বাধ্য হই।'

এছাড়াও আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী একই অভিযোগ করে বলেন, সরকার অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদনের ব্যবস্থা করেছে সেখানে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আপলোড করে তারপর আবেদন দাখিল করতে হয়। আর আবেদনের সাথে ৫০০টাকা ফ্রি নেয়া হয়। এরপরও তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা সরাসরি এসে তদন্ত না করে থানায় বসে বসে আমাদের ভুক্তভোগীদের হয়রানি করে। আবার বাড়তি টাকার দাবী করে। আর যদি কোন ভুল পায় তাহলে তো ভোগান্তির শেষ থাকেনা। একারনে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার অবনতি হয়েছে।

টাকা দাবীর বিষয়ে জানতে চাইলে কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক বলেন কারো কাছে কোন টাকা চাইনি। এরপর তিনি ফোন রেখে দেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত পুলিশের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। এরপর মুঠোফোন বন্ধ করে রাখেন। পরে থানায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

নিউজ ট্যাগ: শরীয়তপুর

আরও খবর