আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৭ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ অক্টোবর ২০21 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ অক্টোবর ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে সাত জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ও আজ বুধবার ভোরে টেকনাফের চাকমারকুল ও উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ ভোরে চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে একরাম হাসান ওরফে মাস্টার একরামকে (২৩) গ্রেপ্তার করে এপিবিএন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার ভোরে চাকমারকুল ক্যাম্পের বি ব্লকের সাব ব্লক বি/৭-এর কাশেম ও রশিদের ঘরের সামনে ৮ থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অবস্থান নিচ্ছে মর্মে সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আট থেকে ১০ জন দুষ্কৃতকারী দৌড়ে পালাতে থাকে। এ সময় এপিবিএন সদস্যরা ধাওয়া করে দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী একরাম হাসান ওরফে মাস্টার একরামকে (২৩) একটি দেশি এলএমজিসহ গ্রেপ্তার করে। তিনি চাকমারকুল ক্যাম্পের এ/২ ব্লকের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি আরসার সক্রিয় সদস্য ও ক্যাম্প লিডার। তাঁর নামে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার ভোরে কক্সবাজারের চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে একরাম হাসান ওরফে মাস্টার একরামকে (২৩) অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে এপিবিএন।

অপরদিকে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে উখিয়া উপজেলার  কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চানমিয়া মাঠ সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে দেশি অস্ত্রসহ ছয় জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে ১৪ এপিবিএন পুলিশ।

আটক রোহিঙ্গারা হলেন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চানমিয়া মাঠসংলগ্ন এলাকার জাবের (২৪), শফিকুল ইসলাম (৩২), সৈয়দ মোহাম্মদ (৫২), মো. জমির (২৭), মৌলভী হামিদ হোসেন (৪১) ও মো. হোসেন প্রকাশ ইদ্রিস (৪৩)।

ইরানি পাহাড় এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার পীযুষ চন্দ্র দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবিপিএন সদস্যরা। এ সময় একটি রামদা, একটি কিরিচ, তিনটি ধামা, একটি নান চাকু ও একটি রডসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কক্সবাজার ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মো. নাইমুল হক জানান, আটকেরা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস, কমিটি বিলুপ্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরানের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে ওই বিজ্ঞপ্তিতে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিওর বিষয়টি উল্লেখ না করে কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে।

জানা যায়, গত দুই তিন দিন আগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়। ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এক মিনিট ৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে নারীর সঙ্গে মিঠুকে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে দেখা যায়। এই ভিডিওটি ফাঁসের পরে উপজেলা ছাত্রলীগের ভেতরে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এর জেরেই শেষমেশ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে, গত গত ১২ এপ্রিল উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া তালতলী থানায় ওই নারীসহ দুই জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বর্তমানে জেল-হাজতে রয়েছেন ওই নারী। ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ওই মামলায় ২নং সাক্ষী।

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করতে মেয়াদোত্তীর্ণ তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে।


আরও খবর



এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড: ৫ বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কেড়ে নেয় ২৬টি প্রাণ। আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।

ঘটনার প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

ওই দিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য।

ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

নিউজ ট্যাগ: এফআর টাওয়ার

আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারের তালিকায় বাংলাদেশের আজিজ খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪ সালের বার্ষিক বিলিয়নিয়ারের তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস। এতে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে উঠে এসেছে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খানের নাম।

এ তালিকায় স্থান পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি তিনি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

জ্বালানি, বন্দর, ফাইবার অপটিকস এবং রিয়েল এস্টেটের নানা ব্যবসা করে সামিট গ্রুপ। আজিজ খান বাস করেন সিঙ্গাপুরে। দেশটির শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আছে তার নাম।

ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, আজিজ খানের কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। বর্তমানে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন আজিজ খানের মেয়ে আয়েশা। বাংলাদেশেও এই কোম্পানির ব্যবসা রয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত হওয়ায় এর সম্পদের হিসেব-নিকেশ সেখানেই হয়।

তিন সন্তানের বাবা মুহাম্মদ আজিজ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। সেনা কর্মকর্তার ছেলে পড়াশুনার পর আবাসন খাতের ব্যবসা শুরু করেন। ট্রেডিং ফার্ম হিসেবে সামিটের যাত্রা শুরু হলেও পরে আবাসনে মনোযোগ দেয় কোম্পানিটি।

ফোর্বস বলছে, আজিজ খান ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় ঢুকে যান। ওই বছর তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯১ কোটি মার্কিন ডলার। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সাল তার সম্পদ কমে ৮৫ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। ২০২০ সালে আবারও তার সম্পদের পরিমাণ বেড়ে ৯৫ কোটি ছাড়িয়ে যায়।

এর পরের দুই বছরে তার সম্পদ আরও বেড়ে যায়। ২০২১ সালে মুহাম্মদ আজিজ খানের সম্পদ বেড়ে ৯৯ কোটি ডলার হয়। আর তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে সামিট পাওয়ারের এই চেয়ারম্যান প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরের বিলিয়ন ডলারের ধনীর ক্লাবে ঢুকে যান।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




রিজভীর মানসিক পরীক্ষা করা দরকার: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মানসিক পরীক্ষা করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অর্থপাচার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাচারকৃত অর্থ বেশিরভাগ হয়েছে বিএনপির আমলে। পরে যে হয়নি তা নয়, পরেও হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নানা ইন্টারন্যাশনাল ল এবং কমপ্লিকেশন আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।

দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয়, দুর্ভিক্ষ বিরাজমান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী সাহেবের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, ওনার মানসিক পরীক্ষা করা দরকার। দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বা দুর্ভিক্ষ বিরাজ করছে; এটি রিজভী সাহেব যখন বলতে পেরেছেন তখন তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। দেশের মানুষের মধ্যে কোনো হাহাকার নেই। দেশের মানুষ সবাই খেতে পারছে। ওনার মানসিক সুস্থতা পরীক্ষা করার জন্য আমি ড্যাবের ডাক্তারদের অনুরোধ জানাব।

বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে এসে এপিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে এবং তার শাস্তি হয়েছে। খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র আরাফাত রহমানের পাচারকৃত টাকা সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল পরপর বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেগুলো ঢাকার জন্য রিজভী সাহেব আবোল-তাবোল বলছেন।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ইরানের হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হলো ইসরায়েলের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের নজিরবিহীন হামলায় অনেকটাই কুপোকাত ইসরায়েল। দেশটির এখন পর্যন্ত কী পরমিাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে নতুন একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তারা প্রতিহত করেছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইডিএফ জানায়, শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ হামলা প্রতিহত করেছে তারা। ইসরায়েলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অ্যারো ব্যবহার করে তারা হামলা প্রতিহত করেছে বলেও দাবি করে ইসরায়েলের এই বাহিনী।

তবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে এই বাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে।

অ্যারো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধীরগতির ড্রোনের বদলে উচ্চতায় থাকা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরাস্ত করতে পারে। এটির নকশাই এভাবে তৈরি। গাজা যুদ্ধের শুরুতে ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইসরায়েল।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানের হামলায় একজন আহত হওয়ার খবর জেনেছেন তারা। তিনি বলেন, ইরানের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানার পরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ঘাঁটিতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তা জানানো হয়নি।

হামলায় কে আহত হয়েছেন, তা নিয়ে হাগারি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্যারামেডিক সাত বছরের এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়েছে। আরাদ অঞ্চলে বেদুইন অধ্যুষিত এলাকায় গোলার আঘাতে মেয়েটি আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবিসিকে জানিয়েছে, দেশটির ভেতরে চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নাগরিকদের আর আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকতে হবে না। তবে জমায়েত ও সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম এবং স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪