লংকানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের
তৃতীয় ও শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা শ্রীলংকা জানিথ
লিয়ানাগের অপরাজিত সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৫
রান করেছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ
চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলছে দুদল। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে
ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লংকান অধিনায়ক কুসল মেন্ডিস।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা লংকান শিবিরে শুরুতেই
জোড়া আঘাত করেন তাসকিন আহমেদ। দলীয় দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পাথুম নিশাঙ্কাকে
(১) এলবির ফাঁদে ফেলেন এই ফাস্ট বোলার। নিজের পরের ওভারে আভিস্কা ফার্নান্দোকে (৪)
উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে ফেরান।
একাদশে ফিরেই সাফল্য পেয়েছেন মোস্তাফিজুর
রহমান। নিজের প্রথম ওভারেই ১৪ রানে থাকা সাদিরা সামারাবিক্রমাকে উইকেটকিপার মুশফিকের
ক্যাচে বিদায় করেন তিনি।
দলীয় ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই
উইকেটের দেখা পান রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের বল খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটকিপার মুশফিকের
ক্যাচে পরিণত হন লংকান অধিনায়ক কুসল মেন্ডিস। তিনি ৫১ বলে ২৯ রান করেছেন। এরপর লংকান
শিবিরে নিজের দ্বিতীয় আঘাত করেন মোস্তাফিজ। ২৫তম ওভারের শেষ বেলে উইকেটে সেট হওয়া
চারিথ আসালাঙ্কাকে ফেরান তিনি। চারিথ ৪৬ বলে ৩৭ রান করেন।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের জোড়া আঘাতে
কোণঠাসা হয়ে পড়ে শ্রীলংকা। এই অফস্পিনার দুনিথ ওয়াল্লালাগেকে ফেরানোর পর ওয়ানিন্দু
হাসারাঙ্গাকে ব্যক্তিগত ১১ রানে বোল্ড করেন।
অন্যদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত
আগলে রাখেন লিয়ানাগে। অষ্টম উইকেট জুটিতে মহেশ থিকশানার সঙ্গে ৭৮ বলে মূল্যবান ৬০
রানের পার্টনারশিপ গড়েন। অবশেষে জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার থিকশানাকে ১৫ রানে ফেরান তিনি।
তবে অসাধারণ ব্যাট করা ডানহাতি লিয়ানাগে নিজের নবম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি
তুলে নেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ১০২ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি
উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। এছাড়া ২টি করে উইকেট দখল করেন মোস্তাফিজ ও মিরাজ।
এই ম্যাচটি দুদলের জন্য অলিখিত ফাইনাল।
কেননা প্রথম দুই ম্যাচে ১-১ ব্যবধানে সমতা রয়েছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দাপুটে
৬ উইকেটে জিতে নেয়। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে বসে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ একাদশে আজ ৩টি পরিবর্তন এসেছে।
লিটন দাস দল থেকেই বাদ পড়েছেন। তাইজুল ইসলাম জায়গা হারিয়েছেন। আর তানজিত হাসান সাকিব
ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন। তাদের পরিবর্তে এনামুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন
এসেছেন।
অন্যদিকে লংকান দলে একটি পরিবর্তন এসেছে।
দিলশাস মাদুশঙ্কার পরিবর্তে মহেশ থিকশানা এসেছেন।